1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ঋণে জর্জরিত শ্রীলংকা ও এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ

সরদার মাহামুদ হাসান রুবেল : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২

বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার পরিস্থিতি কি একই? তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের বলবো দয়াকরে দেশের মানুষের মধ্যে পেনিক সৃষ্টি করবেন না।

আসুন জেনে নিই শ্রীলংকার বর্তমান পরিস্থিতিঃ

দেশটির অর্থনীতিকে বেসামাল করে তুলেছে বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র সংকট। একই সঙ্গে দেশি ঋণ ও বিদেশি বন্ডের টাকা শোধ করতে সরকার যেভাবে টাকা ছাপিয়েছে তার ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এ মুহূর্তে দেশটি এক প্রকার নিরুপায় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। খাদ্য, ওষুধ ও নিত্যপণ্যের আমদানি বন্ধ থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছে সরকার। দ্বিগুণ-তিন গুণ দাম দিয়েও বাজারে খাদ্য কিনতে পারছে না সাধারণ লংকাবাসী। শিশুখাদ্যেরও অভাব দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতিকে আরো প্রতিকূল করে তুলেছে জ্বালানি পণ্যের অভাব। কেরোসিনের জন্য জ্বালানির দোকানে লম্বা লাইনে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষারত মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকেও অলস বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। যেটুকু উৎপাদন হচ্ছে, তা দিয়ে বাসাবাড়ি ও কারখানাগুলোয় দিনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে মাত্র ২ ঘণ্টা করে। বাকি ২২ ঘণ্টা ব্ল্যাক আউটেই থাকছে শ্রীলংকা। প্রয়োজনীয় মুদ্রণ উপকরণের অভাবে দেশটির সংবাদপত্রগুলোর এখন বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। যেগুলো টিকে রয়েছে সেগুলো কোনোমতে সংক্ষিপ্ত কলেবরে প্রকাশিত হচ্ছে। কাগজের অভাবে দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় এখন পরীক্ষা নেয়াও বন্ধ। সব মিলিয়ে দেশটির সাধারণ নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের পথ এখন পুরোপুরি রুদ্ধ। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়, নভেম্বরে শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি ১১.১ শতাংশে পৌঁছেছে। দ্রব্যমূল্যের দাম এতোটা বেশি যে সচ্ছল মানুষের পক্ষে তাদের পরিবারকে ঠিক মতো ভরণপোষণ করা কঠিন থেকে কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এরই মধ্যে মানুষকে বাস্তুচ্যুত করতেও শুরু করেছে শ্রীলংকার চলমান সংকট। জাফনা ও মান্নার উপদ্বীপ হয়ে শরণার্থী হিসেবে শ্রীলংকানরা ভারতে পালিয়ে যেতে শুরু করেছে।

শ্রীলংকা অর্থনৈতিক ভাবে দেওলিয়া হওয়ার কারন হচ্ছে তাদের ধূর্ত রাজনীতিকদের লোভ। সীমাহীন দূর্নীতি তাদের এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। কোভিডের কারনে শ্রীলংকায় টুরিস্ট বন্ধ ছিল এজন্য তাদের ইকোনমি ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু আমার মতে এটাই মূল কারন হতে পারে না। কারন মাত্র দশ ভাগ আয় আসে টুরিজম থেকে। যা অন্য ভাবেও সামাল দেওয়া যেত। তবে এটা ঠিক ওই সময় পশ্চিমা দেশগুলোতে কর্মরত অনেক শ্রীলঙ্কান কর্মী চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছে । দেশের মধ্যেও সংক্রমণ মারাত্মক আকারে পৌঁছায়, বাধ্য হয়ে অনেক গার্মেন্ট কারখানা এবং চা বাগান বন্ধ হয়ে যায়। কাজ হারিয়ে ঘরে বেকার বসে থাকে লাখ লাখ শ্রমিক। বেড়ে যায় বেকারত্বের হার। মহামারিতে সংকট মোকাবিলায় হিমশিম খায় সরকার। সব মিলিয়ে, রফতানি ও রেমিট্যান্সের মতো অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাতগুলো একটা বড় ধরনের ধাক্কা খায়। সংকট মোকাবিলায় আমদানি কমিয়ে ডলার জমা রাখার উদ্যোগেও ব্যাপক অনিয়মের কথাও উঠে এসেছে।

মূলত করোরনা শুরুর আগে ২০১৪ সাল থেকেই ঋণের বোঝা বাড়তে শুরু করে কলম্বোর। সেই সঙ্গে ক্রমেই মুখ থুবড়ে পড়ে জিডিপি। ২০১৯ সালে তা পৌঁছে যায় ৪২.৮ শতাংশে। বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে এবছর সব মিলিয়ে অন্তত ৭.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার শোধ করতেই হবে রাজাপক্ষে প্রশাসনকে। যা ক্রমেই অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মূল কারণ বিশাল বৈদেশিক ঋণ। শুধু চীনের কাছ থেকেই ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ নিয়েছে তারা। গত বছর সংকটের মধ্যে আরও এক বিলিয়ন ডলার নেয় কলম্বো। এখন এসব ঋণ কিস্তিতে তাদের শোধ করতে হচ্ছে। শুধু চীন নয়; ভারত ও জাপানের কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়েছে তারা। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে রিজার্ভ থেকে ২৫ কোটি ডলার ধার দিয়ে শ্রীলংকার পাশে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। শর্ত ছিল, তিন মাসের মধ্যে ঋণের অর্থ পরিশোধ করবে দেশটি। যদিও সে শর্ত পরিপালনে অনেক আগেই ব্যর্থ হয়েছে শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশটির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঋণের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে সেটিও ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে এসেছে। আগের ঋণ পরিশোধ না করলেও কারেন্সি সোয়াপের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে আরো ২৫ কোটি ডলার চেয়েছে শ্রীলংকা। যদিও বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনায় দেশটিকে নতুন করে আর কোনো অর্থ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কমিটমেন্ট ঠিক রাখতে না পারার কারনে তাদের আর সেভাবে কেউ সাহায্য ও করছে না।

২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশটির বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ কমছে। সে সময়ে সাড়ে ৭ বিলিয়ন ছিল, যা কমে ২ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে, যা দিয়ে দেশটির মানুষের জন্য মাত্র এক মাসের খাবার আমদানি করা সম্ভব। অর্থনীতির এই পরিস্থিতির মধ্যে গত মে মাসে সরকার আকস্মিকভাবে সার ও কীটনাশক নিষিদ্ধ করে অর্গানিক পদ্ধতি অনুসরণের জন্য কৃষকদের বাধ্য করে। এতে খাদ্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে আসে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার পাশাপাশি এমন দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির প্রধান কারণ সরকারের উচ্চ ব্যয় এবং ট্যাক্স হ্রাস, যা রাজস্ব খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এ ছাড়া বিপর্যয়কর পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়ন শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

আসুন এবার দেখি বাংলাদেশের পরিস্থিতিঃ

যারা স্বপ্ন দেখেন আমাদের অর্থনীতি শ্রীলংকার মতো হতে পারে সেইসব বুদ্ধিজীবীদের কাছে প্রশ্ন? এমন কোন পরিস্থিতি কি আপনারা বাংলাদেশে দেখতে পাচ্ছেন?  বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদনে কোন ঘাটতি নেই। আমাদের প্রধান খাদ্য আমদানি নির্ভর নয়। বাংলাদেশে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্সের পরিমান দিন দিন বাড়ছে। এখন পর্যন্ত কোন নিন্মমূখিতা দেখা যায়নি। দেশে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ ৪৪.৪০ বিলিয়ন ডলার। ২১ বছর পর শেখ হাসিনা সরকার ১৯৯৬ সালে বিদ্যুৎ পেয়েছিল মাত্র ১৬০০ মেগাওয়াট। পরবর্তী ৫ বছরে ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট করে রেখে গেলেও ২০০১-পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার পরবর্তী ৫ বছরে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন এক মেগাওয়াটও বাড়াতে পারেনি। উপরন্তু কমিয়ে ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে নিয়ে আসে। ২০০৯ সালে ফের সরকার গঠনের পর থেকে বিদ্যুৎকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়াসহ একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন আজকের পর্যায়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।

খাদ্য উৎপাদনে নীরব বিপ্লব বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে ঈর্ষণীয় পর্যায়ে উন্নীত করেছে। কৃষিজমি কমতে থাকা, জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্যানুযায়ী, সবজি ও মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয়। ধান ও আলু উৎপাদনে যথাক্রমে চতুর্থ ও সপ্তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও দুর্যোগসহিষ্ণু শস্যের জাত উদ্ভাবনেও শীর্ষে বাংলাদেশের নাম। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন তিন গুণেরও বেশি, গম দ্বিগুণ, সবজি পাঁচ গুণ এবং ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে দশ গুণ। দুই যুগ আগেও দেশের অর্ধেক এলাকায় একটি ও বাকি এলাকায় দুটি ফসল হতো। বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে দুটি ফসল হচ্ছে। সরকারের যুগোপযোগী পরিকল্পনা, পরিশ্রমী কৃষক এবং মেধাবী কৃষিবিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণবিদদের যৌথ প্রয়াসেই এ সাফল্য। আর এভাবেই প্রধান খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর শীর্ষ ১০ দেশের একটি। সদ্য বিদায়ী মার্চে প্রবাসীরা দেশে প্রায় ১৮৬ কোটি মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন, যা স্থানীয় মুদ্রায় ১৬ হাজার ৩৩ কোটি টাকার মতো (প্রতি ডলার ৮৬.২০ টাকা ধরে)। এই আয় গত আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রতিবছরই রমজান মাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এবারে অবশ্য রমজান শুরু হওয়ার আগেই প্রবাসী আয় চাঙা হয়ে উঠেছে। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চলতি এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয় মার্চের তুলনায় বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ক্ষতি কাটাতে ৭২ হাজার কোটি টাকার বেশি আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছে সরকার।

সদ্য বিদায়ী মার্চে প্রবাসীরা দেশে প্রায় ১৮৬ কোটি মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন, যা স্থানীয় মুদ্রায় ১৬ হাজার ৩৩ কোটি টাকার মতো (প্রতি ডলার ৮৬.২০ টাকা ধরে)। এই আয় গত আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রতিবছরই রমজান মাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এবারে অবশ্য রমজান শুরু হওয়ার আগেই প্রবাসী আয় চাঙা হয়ে উঠেছে। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চলতি এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয় মার্চের তুলনায় বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ক্ষতি কাটাতে ৭২ হাজার কোটি টাকার বেশি আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছে সরকার।

করোনার মধ্যে শিল্প ঋণের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের ২০ হাজার কোটি টাকা, রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষ ও কৃষকের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা, রফতানি উন্নয়ন ফান্ড ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, প্রিশিপমেন্ট ঋণ পাঁচ হাজার কোটি টাকা, গরিব মানুষের নগদ সহায়তা ৭৬১ কোটি টাকা, অতিরিক্ত ৫০ লাখ পরিবারকে দশ টাকা কেজিতে চাল দেয়ার জন্য ৮৭৫ কোটি টাকা। এছাড়াও করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্যখাতে বাজেটের অতিরিক্ত ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আনতে সরকারের তরফ থেকে প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এতো বড় আকারের প্রণোদনা প্যাকেজ এর আগে আর দেয়া হয়নি। জিডিপির অনুপাতে বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ অনেক কম এবং রিজার্ভের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে তাই ঋণের ফাঁদে পড়ার কোন আশঙ্কা নেই বাংলাদেশের। বরং বাংলাদেশ-বিরোধী শক্তি দেশে- বিদেশে বসে মিথ্যা-বানোয়াট-কাল্পনিক তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে এবং বিদেশে উন্নয়ন সহযোগীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে।

তাই দয়াকরে কথায় কথায় হতাশা প্রকাশ করবেন না। আপনাদের হতাশার মূল কারন কিন্তু আমরা জানি। বরং হতাশা প্রকাশ করে যাদের ক্ষমতায় বসাতে চান তারা ক্ষমতায় আসলে দেশে শ্রীলংকান পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। ইনশাআল্লাহ্‌ যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ। পথ হারাবে না বাংলাদেশ।

লেখক : সরদার মাহামুদ হাসান রুবেল – কৃষি ও সমবায় উপ-কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ। 


সর্বশেষ - রাজনীতি