এদিকে কোভিড পরিস্থিতিতে এমন সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে ড. কনক সরওয়ার এর বরাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়েছে।
“মাদ্রাসার ছাত্ররা সাবধান! ৬ এপ্রিল জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে সরকার লকডাউনের নামে সব আবাসিক- অনাবাসিক মাদ্রাসা সম্পুর্ন বন্ধ ঘোষণা করেছে! প্রাপ্ত গোপন তথ্য হলো, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা গ্রেপ্তার এবং গুমের একটি তালিকা করেছে; মাদ্রাসার ভেতর থেকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব নয় বলে এই নতুন আদেশ জারি করা হয়েছে। সবাই প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। করোনা সংক্রমণের যে তথ্য দেয়া হচ্ছে তাতে যে যেই অবস্থানে সেখানে থাকাই নিরাপদ। এই সময়ে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের থাকা- খাওয়া এবং নিরাপত্তার জন্য যার যার অবস্থানে থাকাই নিরাপদ।” – যা আসলে পুরোটাই গুজব।
এই কনক সরওয়ার সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় তিনি বিদেশে পালাতক আছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট একজন ব্যক্তির নাম কনক সারোয়ার। তাকে সাংবাদিক না বলে সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট বলা যেতে পারে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তার কর্মকাণ্ডের দরুন দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি দেশের বিভিন্ন সংবেদনশীল ইস্যু থেকে শুরু করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে উসকে দেয়া,সরকারবিরোধী প্রোপাগান্ডা, বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করা সব ধরণের কাজ করে সমালোচিত হয়েছিলেন।
একুশে টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন ২০১৫ সালে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ও দেশদ্রোহীর মামলায় গ্রেপ্তার করেন। ২০১৫ সালে ৯ মাস জেল খেটেছেন তিনি। এছাড়াও ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগে ইউটিউবসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যম থেকে প্রবাসী সাংবাদিক ড. কনক সরওয়ারের কন্টেন্ট সরিয়ে নেয়ার আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ১৭ই নভেম্বর ২০২০ হাইকোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
দেশের সার্বিক উন্নয়নযজ্ঞে কোণঠাসা হয়ে পড়া বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য নতুন কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। দুর্নীতি, অর্থ পাচার, জঙ্গি সম্পৃক্ততা ও নৈতিক স্খলনের দায়ে দণ্ডিত, পলাতক এবং চাকরিচ্যুত কর্নেল শহীদ উদ্দিন খানকে দিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এই দেশবিরোধী চক্র। সেই চক্রের সাথে হাত মিলিয়ে কনক সরওয়ার তার চরিত্রের প্রমাণ দিয়েছেন অনেক আগেই।
বিদেশে থেকে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ এবং সাংবাদিকতার ফোকাসে প্রতিনিয়ত প্রতিহিংসা এবং ষড়যন্ত্রমূলক বার্তা প্রদান করে থাকেন। যার প্রমাণ চিহ্নি প্রতারক সামি, তাসনিম খলিল, সাজাপ্রাপ্ত আসামি কর্নেল শহীদ, মেজর দেলোয়ার ও অর্থলোভী, সমাজ ধিক্কৃত লেফটেনেন্ট জেনারেল হাসান সারওয়ার্দীর মতো দেশবিরোধী মানুষ এর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তাদের নিয়ে তার ইউটিউব চ্যানেলে লাইভে এসে তাদের মিথ্যাচারকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা।
তার মূল উদ্দেশ্যই হল দেশ উন্নয়নে বাঁধা দেয়া, দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। এবং সরকার বিরোধী মিথ্যাচার করে দেশের মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা। সেনাবাহিনীর দু’জন অবাঞ্ছিত সদস্যকে নিয়ে প্রায়সই লাইভ-এ এসে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমকে আরো শক্ত করছে এবং দেশের জনগণকে মিথ্যাচার দিয়ে বিভ্রান্ত করছে।
সর্বশেষ, ‘লকডাউনে’ চালু কওমিসহ সব মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশনায় নতুন ‘গুজব’ সৃষ্টি করেছেন তিনি। তার এসব দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র দেশের সাধারণ মানুষের কাছে বেশ পরিচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার টাকা খেয়ে এই চক্রটি বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে বেশ আগে থেকেই সক্রিয়। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সঠিক তথ্য প্রচার করে সচেতনতা বৃদ্ধি করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন তারা।