শিল্পকারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে ৫০০টি প্লট বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিসিক।মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্লট বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগ্রহী উদ্যোক্তারা প্লটের মূল্যের ২০ শতাংশ পরিশোধ করে তা বরাদ্দ নিতে পারবেন। বাকি টাকা এককালীন বা পাঁচ বছরে ১০টি কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে তাদের। এ জন্য আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে নিজ নিজ জেলার বিসিক শিল্পনগরী কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে উদ্যোক্তাদের। পরে সংশ্লিষ্ট জেলার প্লট বরাদ্দ কমিটির মাধ্যমে তা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে বরাদ্দ পাওয়ার ১৮ মাসের মধ্যে সেখানে কারখানা স্থাপনের শর্ত দিয়েছে বিসিক।
বিসিক সূত্রে জানা গেছে, দেশের ১৭টি জেলার বিভিন্ন শিল্পনগরীতে এসব প্লট রয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক খালি প্লট রয়েছে গোপালগঞ্জ (১৩১) ও মৌলভীবাজারে (১১৯)। এরপর চুয়াডাঙ্গায় ৫০টি, ঝালকাঠিতে ৪৩টি, বরগুনায় ৪০টি, মাদারীপুরে ৩৮টি ও খাগড়াছড়ির বিসিক শিল্পনগরীতে আছে ৩৮টি খালি প্লট। এ ছাড়া সুনামগঞ্জ ও লালমনিরহাটে ৯টি করে, মেহেরপুরে ৬টি, শরীয়তপুর ও রাঙামাটিতে ৫টি করে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪টি, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে ৩টি, পাবনা ও পঞ্চগড়ে ২টি করে এবং কক্সবাজারে ১টি প্লট খালি আছে।
সংস্থাটির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১ সালে জুন পর্যন্ত সারা দেশে বিসিকের ৭৬টি শিল্পনগরীতে ১০ হাজার ৮৯৭টি প্লট আছে। এর মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ১০ হাজার ৪৪০টি প্লটের।
বিসিক সূত্রে জানা যায়, খালি থাকা প্লটগুলো মূলত ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রস্তুত করা। এ ছাড়া নতুন কিছু প্লটও গত এক-দেড় বছরে কারখানা স্থাপনের উপযোগী করা হয়েছে। তবে করোনার কারণে এত দিন অনেকেই প্লট বরাদ্দ নিতে চাননি। তাই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সংস্থাটি।
বিসিকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, সারা দেশের ১০ হাজার ৪৪০টি প্লটে প্রায় ৫ হাজার ৯৮১টি শিল্পকারখানা স্থাপন করা হয়েছে। এসব কারখানায় বিনিয়োগ করা হয়েছে প্রায় ৪১ হাজার ২১৭ কোটি টাকা। প্রায় ৬ লাখ ৮৬ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে কারখানাগুলোয়।