1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বিদেশী ঋণ সহায়তায় নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ

বানিজ্য প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ২৬ মার্চ, ২০২২

বিদেশী ঋণ সহায়তায় নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসেই (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে প্রায় ৬ বিলিয়ন (৬০০ কোটি) ডলারের ঋণ সহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ২০ পয়সা) টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৯ শতাংশ বেশি। এর আগে আট মাসে এত বেশি বিদেশী ঋণ সহায়তা কখনোই আসেনি দেশে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) বিদেশী ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি ও ছাড়ের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে বাংলাদেশকে ৪৮৪ কোটি ৫৩ লাখ (৪.৮৪ বিলিয়ন) ডলার ছাড় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দাতারা। পাওয়া গেছে ৫৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার (৫.৯ বিলিয়ন) ডলার। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, জুলাই-ফেব্রুয়ারি দাতারা বাংলাদেশকে যে ঋণ সহায়তা দিতে চেয়েছিল তার থেকেও ২২ শতাংশ বেশি ছাড় করেছে। বিদেশী ঋণ সহায়তা প্রাপ্তিতে এমনটা খুব কমই দেখা যায়। ছাড় করা ঋণ সহায়তার মধ্যে ৫৭৪ কোটি ৩০ লাখ ৩০ হাজার ডলার পাওয়া গেছে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে। ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার খাদ্য অনুদান এবং ১৫ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার ডলার প্রকল্প অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ৩৭৩ কোটি ৬২ লাখ ৬০ হাজার (৩.৭৩ বিলিয়ন) ডলার ছাড় করে দাতারা। সে হিসাবেই এই আট মাসে বিদেশী ঋণ সহায়তা বেড়েছে ৫৮ দশমিক ৯০ শতাংশ।

ইআরডির তথ্যে দেখা যায়, গত অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ৩৯৬ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার (৩.৯৬ বিলিয়ন) ডলারের ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দাতারা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে সেই প্রতিশ্রুতির চেয়ে ২২ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৪ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার করেছে।

বেসরকারী গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বিদেশী ঋণ কোভিড মোকাবেলায় সরকারকে যথেষ্ট সহায়তা দিয়েছে। পরপর দুই বছর ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি ফরেন এইড অবাক করার মতো, চলতি অর্থবছরেও সেই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। ‘এই কঠিন সময়েও সরকারকে কোন ধরনের অর্থসঙ্কটে পড়তে হয়নি। উন্নয়নকাজ থেমে থাকেনি, টিকা কিনতে সমস্যা হয়নি।’ এসব কারণেই বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে বলে মনে করছেন আহসান মনসুর।

ইআরডির তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের এই আট মাসে টিকা কেনা এবং বাজেট সহায়তা বাবদ ইতোমধ্যে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের মতো পেয়েছে বাংলাদেশ। এই আট মাসে আগে নেয়া ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ সময়ে সরকার আসল ও সুদ বাবদ উন্নয়ন সহযোগীদের ১৩৩ কোটি ৫১ ডলার শোধ করেছে। গত অর্থবছরে একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ১১৮ কোটি ৭৪ লাখ ডলার।

ইআরডির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ৭১০ কোটি (৭.১ বিলিয়ন) ডলার ঋণসহায়তা পেয়েছিল বাংলাদেশ। তার আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিদেশী ঋণ আসে বাংলাদেশে। ওই বছর ৭৩৮ কোটি (৭.৩৮ বিলিয়ন) ডলার ঋণ পাওয়া গিয়েছিল।

বাংলাদেশে বিদেশী ঋণ বাড়তে থাকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে। ওই বছরই এক লাফে অর্থছাড় ৩০০ কোটি থেকে ৬৩৭ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। তারপর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসেছিল ৬৫৪ কোটি ডলার।


সর্বশেষ - রাজনীতি