1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় ভাসানচরে ১৩ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ

ভাসানচর প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

ঘূর্ণিঝড়, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরকে রক্ষায় ১৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ভূমি থেকে বাঁধের উচ্চতা ১৯ ফুট। মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত এক লাখ রোহিঙ্গার প্রতিরক্ষা ও বসবাসের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে এখানে।

সরেজমিন দেখা গেছে, চারদিকে সবুজের সমারোহ। পুরো চর ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে উঁচু বাঁধের সুরক্ষাব্যবস্থা। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে নির্মাণ করা হয়েছে নান্দনিক সব স্থাপনা।

পাওয়ার চায়না সিনো হাইড্রোর প্রতিনিধি মো. ইউসুফ জানান, ১৩ হাজার একর আয়তনের এই দ্বীপটি সমুদ্রের মধ্যে থাকায় প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হিসেবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা রক্ষায় ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। চরের চারপাশ ঘিরে প্রথম ধাপে বাঁধটি ছিল নয় ফুট উঁচু। পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালে ১৯ ফুট উঁচু করা হয়। আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ১৭টি কালভার্ট থাকায় পানি জমে থাকার কোনো সুযোগ নেই। পুরো বাঁধে ঘাস লাগানো হয়েছে।
দ্বীপের চারপাশে উপকূলীয় বেষ্টনী গড়ে তোলায় খুশি বসবাসকারী রোহিঙ্গারা। তারা বলেন, বেড়িবাঁধ আছে বলেই আমরা এখানে আছি। এর কারণে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমরা রক্ষা পাব।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবসন কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, এখানে চারতলার ১২০টি সাইক্লোন শেল্টারও নির্মাণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভাসানচর অক্ষত থাকবে।

তিনি বলেন, ‘সবশেষ ঘূর্ণিঝড়ের সময় আমি এখানে ছিলাম। কিছুটা ভয় কাজ করলেও এখানে কোনো সমস্যা হয়নি।’
এদিকে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হাবিব উল আলম জানান, পাঁচ বছরের ঘূর্ণিঝড় পর্যবেক্ষণ করে এই বেড়িবাঁধ বানানো হয়েছে; সেই সঙ্গে ১৭টি কালভার্ট বানানো হয়েছে। বেড়িবাঁধের নিচে ড্রেজিং ব্যবস্থাও আধুনিক। যে কারণে পানি জমে থাকার কোনো সুযোগ নেই। পানি সরাসরি সমুদ্রে চলে যাবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।

ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জনকে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে ৩২ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে বসবাস করছেন।


সর্বশেষ - রাজনীতি