বাংলাদেশ, সিয়েরালিওন ও ভারতের কয়েকটি রাজ্যের দাফতরিক ভাষা ‘বাংলা’।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্য ‘বাংলা’কে দাফতরিক ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। এ ছাড়া ‘বাংলা’ আসাম এবং আন্দামান-নিকোবর রাজ্যের সহ-দাফতরিক ভাষা। বিপুল বাঙালি-অধ্যুষিত ঝাড়খন্ড রাজ্য ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ‘বাংলা’কে দ্বিতীয় দাফতরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করে। এ ছাড়া ও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাভাষী জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত উড়িষ্যা রাজ্যের সরকারি প্রচার-প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ডে হিন্দি ও উড়িষ্যার পাশাপাশি ‘বাংলা’ ব্যাপক প্রচলিত।
‘বাংলা’ বিশ্বের চতুর্থ বহুল ব্যবহৃত ভাষা। বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ ‘বাংলা’ ভাষায় কথা বলেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতে বসবাস করেন প্রায় ২৬ কোটি ‘বাংলা’ ভাষাভাষী । বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছেন আরো প্রায় ৪ কোটিরও বেশি মানুষ ।
পাকিস্তানের কারাচিতে প্রায় ২১ লাখ মানুষ ‘বাংলা’ ভাষায় কথা বলেন। করাচি সিটি কর্পোরেশনের অন্যতম দাফতরিক ভাষাও ‘বাংলা’।
ইংল্যান্ডে স্বীকৃত ৫ম অভিবাসী ভাষা ‘বাংলা’। সেখানে প্রায় ৮ লাখ লোক ‘বাংলা’ ভাষায় কথা বলেন।
ইংল্যান্ডের জনসংখ্যার এক শতাংশ ‘বাংলা’ ভাষাভাষী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘বাংলা’ ভাষাভাষীর সংখ্যা আড়াই লক্ষের বেশি।
লন্ডন, বার্মিংহাম, ম্যানচেস্টার, নিউ ইয়র্কসহ বেশ কিছু শহরে ‘বাংলা’ সংবাদপত্র, টিভি ও রেডিও সম্প্রচার, ‘বাংলা’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলা’ ভাষা শেখানো হয়। কিছু ‘বাংলা’ রেডিও সম্প্রচার হয় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে।
সকল ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। পাশাপাশি জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ‘বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাই।
লেখক : এ বি এম কামরুল হাসান – প্রবাসী চিকিৎসক, কলামিস্ট