1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থা লিখতে বাধ্য করা যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
সুপ্রিমকোর্ট

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থা লিখতে বাধ্য করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, রাজশাহীতে ধর্ষণের শিকার এক শিক্ষার্থীকে ‘রাজশাহী সরকারি নার্সিং কলেজে’ ভর্তি না নেওয়ায় এ রিটটি করা হয়েছিল। রিট করেছিলেন ফাহ্রিয়া ফেরদৌস ও নাহিদ সুলতানা জেনি।

২০১৩ সালের ৬ জুন দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় ধর্ষণের শিকার হন ওই শিক্ষার্থী। পরে ধর্ষকের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে দেওয়ার জন্য গ্রামের লোকজন চাপ দিতে থাকলে সালিশে অভিযুক্ত যুবক সবকিছু অস্বীকার করলে সালিশ ভেঙে যায়। এরপর প্রতিপক্ষের হুমকির মুখে মেয়ের পরিবার মামলা করতে পারে না।

একপর্যায়ে সন্তানসম্ভবা হলে ওই শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। তখন ওসিসি থেকেই ধর্ষণ মামলা করা হয় এবং পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণ হয় ওই যুবকই শিশুটির বাবা। ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন ওই শিক্ষার্থী।

এ সময় এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৪.১৯ পেয়ে তিনি এসএসসি পাস করেন। পরে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৩.১৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

ওই বছরের ৩০ মে আদালতের রায়ে ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। আদালতের রায়ে সন্তানের দায়ভার বাবাকে নিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাবার ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এরপর বিপত্তি ঘটে রাজশাহী সরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে। সন্তান হওয়ার কারণে বিবাহিত না হলেও তরুণীটিকে ফেলা হয়েছে বিবাহিত নারীর কাতারে। তিনি নার্সিং কলেজের ফরমই পূরণ করতে পারবেন না। বিয়ে না করলেও তার সন্তান রয়েছে। তাকে এখন বিবাহিত নারী হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। অথবা ফরমে তাকে স্বামী পরিত্যক্তা লিখতে হবে।


সর্বশেষ - রাজনীতি