প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির কাছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নামটি প্রস্তাব করেছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক সভায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজেই এ কথা জানান।
ওই দিন জাফরুল্লাহ চৌধুরী সার্চ কমিটির কাছে তাঁর প্রস্তাবিত আটটি নাম প্রকাশ করেন। কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিষয়ে সেদিন তিনি বলেন, ‘আমি সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম প্রস্তাব করেছি। কারণ তিনি যখন প্রতিরক্ষা সচিব ছিলেন, তখন তিনি দেখলেন ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তান আমলের হিসাবে বিদ্যুৎ বিল নেওয়া হয়। তিনি তখন সেই বিলের পরিমাণ বাড়াবার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আমি দেখলাম যেই ব্যক্তি সেনাবাহিনীর বিদ্যুৎ বিল বাড়াতে পারে, তার কোমরের জোর আছে। নির্বাচন কমিশন কমিশনে এমন একজন লোকই দরকার।’
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে। তিনি আইন, ধর্ম ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব ছিলেন। ‘জীবন পাতার জলছাপ’ ও ‘ট্রাজেকটরি অব অ্যা জুডিশিয়াল অফিসার’ তাঁর উল্লেখযোগ্য বই।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী সার্চ কমিটিতে যাদের নাম প্রস্তাব করেছিলেন তারা হলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, বিচারপতি নাজমুন আরা, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইকবাল করিম ভূঁইয়া, কাজী হাবিবুল আউয়াল, ড. সৈকত আলী ও খালেদ সামস।
তার প্রস্তাবিত নামের মধ্য থেকে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে বেছে নেওয়া হয়েছে – এমনটাই জানিয়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
একই সঙ্গে তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘খাঁটি মানুষ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। তার দ্বারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট উপহার দেয়া সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আমি আটজনের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। সেই তালিকায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়ালের নামও ছিল। আমি তার নাম প্রস্তাব করেছিলাম। সার্চ কমিটির সঙ্গে যখন আমি দেখা করি, তখনই ওনার নাম দিয়েছি। ওনাকে সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তাকেও অভিনন্দন জানাই।’
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বাকি চারজন হলেন— সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।