বাংলাদেশের দুর্গম ৬১৭টি ইউনিয়নের সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, গ্রোথ সেন্টার, টেলিকম অপারেটর ইত্যাদি স্থানে নেটওয়ার্ক সংযোগ প্রদান করাসহ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের নেটওয়ার্ক সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে বিসিসি’র ‘কানেক্টেড বাংলাদেশ’ প্রকল্প। অক্টোবর ২০১৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটি চলবে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত যেখানে প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৫০ হাজার ৪৪৩ লক্ষ টাকা।
একইসঙ্গে সারাদেশে ব্যাকবোন নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ইন্টারঅপারেবিলিটি, এফিশিয়েন্সি, ট্রান্সপারেন্সি, ইফেক্টিভনেস এবং কোয়ালিটি অফ সার্ভিসেস (এসওএস) বৃদ্ধি করার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বিসিসির কানেক্টেড বাংলাদেশ প্রকল্প। এই প্রকল্পের ফলে সেসব দুর্গম অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ইন্টারনেটের সুফল পূর্ণাঙ্গভাবে ভোগ করতে পারবেন।
টেলিযোগাযোগ সুবিধা বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) পরিচালিত ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওফ)’-এর অর্থায়নে কানেক্টেড বাংলাদেশ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ৮১০৬ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন, ইউনিয়নে ব্যাকবোন রাউটার ও ডিসি পাওয়ার সিস্টেম স্থাপন এবং পপ রুম সংস্কার কাজ চলছে।
প্রকল্প পরিচালক জানান, ‘ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় দুর্গম ও পার্বত্য অঞ্চল বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি এই ৩টি এলাকার ৫৯টি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। দুর্গম এলাকার পাশাপাশি সাগরের তলদেশ দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে শীঘ্রই সন্দ্বীপের ১৩টি ইউনিয়নকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে। ’