1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

নওগাঁয় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মালচিং চাষ পদ্ধতি

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৪

মালচিং হচ্ছে সবজি চাষের একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি। মালচিং এসেছে মালচ শব্দ থেকে, যার অর্থ হচ্ছে মাটি ঢেকে দেওয়া। বর্তমানে লাভজনক এই পদ্ধতিতে নওগাঁয় উচ্চমূল্যের ফসল চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা। পিকেএসএফ’র অর্থায়ন ও কারিগরি সহযোগিতায় স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা ‘মৌসুমী’ এই পদ্ধতি ব্যস্তবায়ন করছে। সরকার সহযোগিতা করলে মালচিং পদ্ধতিতে নিরাপদ সবজি চাষ জেলাজুড়ে বিস্তার লাভ করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার জগন্নাথপুর, বসন্তপুর, পাহাড়পুর, দোনোইল গ্রামের মাঠে মালচিং পেপারে চাষ করা হচ্ছে ক্যাপসিকাম, টমেটো, শশা, মরিচ, স্ট্রবেরি, বেগুন ও করলাসহ নানা সবজি। এমন পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেক কৃষক ফসল চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। মূলত রবি মৌসুমে জমিতে পানির স্বল্পতা থাকায় এই মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে কৃষকরা অল্প পরিশ্রম, সেচ, সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে ফসলের দ্বিগুন উৎপাদন পেয়ে লাভবান হচ্ছেন অনেক কৃষক। মৌসুমী’তে প্রশিক্ষণ শেষে সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে মালচিং পদ্ধতিতে ফসল চাষ শুরু করেন তারা।

জানা গেছে, বর্তমানে মৌসুমী’র তত্ত্বাবধানে ২২ জন কৃষক মালচিং পদ্ধতিতে প্রায় ৩৫ বিঘা জমিতে উচ্চমূল্যের ফসলসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করছেন। এই পদ্ধতিতে কীটনাশক ও সারের ব্যবহার কম হওয়ায় ভোক্তারা পাচ্ছেন নিরাপদ সবজি। অপরদিকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে পরিবেশ। প্রতিনিয়তই মালচিং পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী কৃষকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের ক্যাপসিকাম চাষি নিলুফা ইয়াসমিন জানান, প্রথমে তিনি ইউটিউবে মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ দেখে আগ্রহী হন। এরপর স্বামীসহ মৌসুমী’তে প্রশিক্ষণ নিয়ে ১২ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। বর্তমানে তিনি প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন। এই পদ্ধতিতে সবজি চাষে খরচ অনেক কম হওয়ায় বেশি লাভ করা সম্ভব। তাই আগামীতে আরও জমিতে এই পদ্ধতিতে অন্যান্য সবজি চাষ করবেন।

একই এলাকার আরেক চাষি ইবনে সাবিত জানান, তিনি মালচিং পদ্ধতিতে শশা ও করলা চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছেন। এই পদ্ধতিতে সবজি চাষ করলে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হয়। এতে করে ফলনও বেশি পাওয়া যায়। তাই আগামী মৌসুমে তিনি মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে তরমুজসহ অন্যান্য ফসল চাষ করবেন।

মৌসুমী’র কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আরিফ বলেন, তারা আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি বাণিজ্যকরণ পদ্ধতি হিসেবে মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে আসছেন। কৃষকরা যেন কম সময়ে, কম পরিশ্রমে ও অল্প খরচে দামি ফসলগুলো চাষ করে দ্বিগুন পরিমাণ নিরাপদ সবজি উৎপাদন করে অধিক লাভ করতে পারে- সরকারের সেই পদক্ষেপকে বাস্তবায়ন করতেই এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে উন্নয়ন সংস্থা মৌসুমী। মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষের ফলাফল অনেক ভালো হওয়ায় প্রতিদিনই আগ্রহী কৃষকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রুতই এলাকাজুড়ে মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ ব্যাপক হারে বিস্তার লাভ করবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাবাব ফারহান বলেন, সবজি চাষের উপজেলা হিসেবে খ্যাত বদলগাছী উপজেলার কৃষকদের কাছে মালচিং পদ্ধতি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। দেশের কৃষি ও কৃষকদের আধুনিক করতে এমন উন্নত কৃষি প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। তাই সরকারের পাশাপাশি মৌসুমী’র মতো অন্যান্য উন্নয়ন সংস্থাগুলো যদি কৃষির আধুনিকায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে আসে, তাহলে দেশের কৃষিকে অল্প সময়ে আরও অনেকদূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।


সর্বশেষ - রাজনীতি