1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

শেখ হাসিনার নেতৃত্বের অপরিহার্যতা

মো. সাখাওয়াত হোসেন : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে অসামান্য অবদান রেখে বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার সাহসী ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত বাঙালি জাতির জন্য আশীর্বাদ। বিশেষ করে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে। বেশ কিছু মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে এবং আরো কিছু প্রকল্পের উদ্যোগ সরকার নিয়েছে। করোনার বিশ্ব মহামারিতে যেখানে অনেক দেশের অর্থনৈতিক স্থিতি তলানির দিকে গেছে, সেখানে বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করে বিশ্বকে বাংলাদেশের সক্ষমতা জানান দিয়েছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ একসঙ্গে ১০০ সেতুর উদ্বোধন করেছে। বহুল প্রতীক্ষিত ও আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়েছে, মেট্রো রেলের উদ্বোধন হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন জানুয়ারি মাসে হবে। এসব মেগাপ্রকল্পের বাস্তবায়ন কিন্তু সহজসাধ্য ছিল না। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র অব্যাহত ছিল, ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করেই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে। শেখ হাসিনার বিরামহীন পথচলা কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, কণ্টকাকীর্ণ পথকে মাড়ি দিয়েই পথ চলতে হচ্ছে। শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য শত্রুপক্ষ বারবার আক্রমণ করেছে, এখনো ষড়যন্ত্র থেমে নেই। কেননা দেশবিরোধী চক্রটি সব সময়ই সক্রিয়, এসব জেনে-বুঝেই শেখ হাসিনাকে পথ চলতে হয়। শেখ হাসিনা বিভিন্ন বত্তৃদ্ধতা, বিবৃতিতে যে বিষয়টি বলার চেষ্টা করেন সেটি হচ্ছে, তিনি রাজনীতিতে এসেছেন মানুষের কল্যাণের জন্য, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় জীবন বাজি রাখতে তিনি সদাসর্বদা প্রস্তুত এবং তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে তা প্রমাণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নিরবধি।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিশেষ দিক হচ্ছে, তিনি যা বিশ্বাস করেন তা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। দলীয় কিংবা রাষ্ট্রীয় দুই জায়গায়ই তিনি কাজের ক্ষেত্রে তাঁর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে দেশের মানুষের কল্যাণে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করে থাকেন। সে কারণেই শেখ হাসিনা অনন্য এবং সমসাময়িক অন্য রাজনীতিবিদদের থেকে ব্যতিক্রম।

মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস ম্যাগাজিন এ বছর বিশ্বের ১০০ জন ক্ষমতাধর নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে এবং তালিকায় ৪২তম স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছর ফোর্বসের প্রকাশিত ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় ৪৩তম অবস্থানে ছিলেন শেখ হাসিনা। রাজনীতি ও নীতি শ্রেণিতে এ তালিকায় ২২ জন স্থান পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১১তম স্থানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার রাজনীতি ও নীতির বিষয়ে বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতার স্বীকৃতির পুরস্কার হিসেবে তালিকায় যোগ্যতম স্থানে শেখ হাসিনার অবস্থান রয়েছে। শেখ হাসিনার রাজনীতির যে স্থিরতা ও দৃঢ়তা সেটি বিশ্বব্যাপী উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীদের কাছে আদর্শ হিসেবে বিবেচিত।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষণা সংস্থা ‘দ্য স্ট্যাটিস্টিকস’ তাদের প্রতিবেদনে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে মনোনীত করেছে। নারী শিক্ষা ও নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রগতি অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ‘গ্লোবাল সামিট অব উইমেন’-এর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত সাধারণ পরিষদের সভায় নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে নিজস্ব ব্যক্তিত্ব আর প্রায়োগিক সামর্থ্য আরো বেগবান করেছেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা তাঁর বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো ক্যারিসমেটিক ক্ষমতা দেখিয়ে বিশ্বদরবারে বিশ্বনেতা হিসেবে নিজের আসনকে পাকাপোক্ত করে চলেছেন। তাঁর প্রাপ্তির চিত্র অন্তত সে কথাটিই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি এবং উন্নয়নের জন্য ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট, জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখায় জাতিসংঘ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ, দেশ ও সমাজে শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অস্ট্রেলিয়া থেকে ডক্টর অব ল; শান্তি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি, ব্রাসেলস থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি; মানবাধিকার রক্ষায় বিজপোর্ট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি; শান্তি স্থাপনে ইউনেসকো কর্তৃক হাটপাইয়েট-বোজনি; রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় রানডলপ ম্যাকন উইমেনস কলেজ থেকে পিরাল এস বুক-৯৯, ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনে বিশেষ অবদান রাখায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি থেকে সেরেস, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও গণতন্ত্র প্রসারে গান্ধী ফাউন্ডেশন, নরওয়ে থেকে গান্ধী পদক লাভ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাজেই আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যক্তি শেখ হাসিনার অসামান্য অর্জন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রশংসা কুড়িয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতন, ধর্ষণের শিকার হয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসা শুরু করে রোহিঙ্গারা। মানবতার দৃষ্টান্ত দেখিয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় সংবাদ সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিস থেকে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে জাতিসংঘের সাবেক দুই মহাসচিব কফি আনান ও বুট্রোস বুট্রোস ঘালি এবং ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মার্তি আহতিসারি এই সম্মাননা পেয়েছিলেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন থেকে স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পান। সুতরাং শেখ হাসিনার কাজের পরিধি ও কর্মব্যস্ততা বিশ্বময়, বিশ্বের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বরের প্রতীক হিসেবে শেখ হাসিনাকে কাজ করতে হয়, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় দায়িত্ব পালন করতে হয়।

বাংলাদেশের জনসাধারণের কাছে শেখ হাসিনা আস্থা ও ভরসার প্রতীক। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের কাছে শেখ হাসিনা ঐক্যের প্রতীক। পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষ সংকট, সমস্যা নিরূপণ ও সম্ভাবনার আলোকবর্তিকায় ব্যক্তি শেখ হাসিনাকে পরম আশ্রয়স্থল হিসেবে নিজেদের কাছে পেয়ে থাকে এবং এ দিকটিই ব্যক্তি শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্বকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মর্যাদা ও গৌরবের আসনে সমাসীন করেছে। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে শেখ হাসিনার বত্তৃদ্ধতা বিশ্ব ফোরামে আলোচিত ইস্যু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে জোরের সঙ্গে বলা যায়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বময় এবং সমসাময়িক সময়ে রাজনৈতিক বোদ্ধা হিসেবে শেখ হাসিনার খ্যাতি সর্বত্র।

 

লেখক : মো. সাখাওয়াত হোসেন – সহকারী অধ্যাপক ও সভাপতি, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।


সর্বশেষ - রাজনীতি