পিরোজপুরে নির্মাণ হচ্ছে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল। এতে পাল্টে যাচ্ছে দীর্ঘদিনের অবহেলিত উপকূলবাসীর স্বাস্থ্যসেবার চিত্র। আগে একটু সুচিকিৎসার জন্য ঢাকা বা খুলনা ছুটে যেতে হতো এই জেলার মানুষদের। তবে সেই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে দক্ষিণের জেলা পিরোজপুরের জনগণ।
এরই মধ্যে ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এ হাসপাতালের নির্মাণ কাজের শতকরা ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
জানা যায়, দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে ২৫০ শয্যার পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ। ১২তলা বিশিষ্ট হাসাপাতাল ভবনটি প্রাথমিক পর্যায়ে ৭তলা নির্মাণ করা হচ্ছে।
গণপূর্ত অধিদফতরের জেলা অফিস জানায়, এ ভবনের বেসমেন্ট এ ৩৫টি গাড়ি ও স্টোর থাকবে। প্রথম তলায় জরুরি ও বহির্বিভাগ এবং রেডিওলজি বিভাগ থাকবে। দ্বিতীয় তলায় থাকবে প্রশাসনিক অফিস ও বহির্বিভাগ। তৃতীয় থেকে ৬ষ্ঠ তলায় থাকছে পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড এবং অপারেশন থিয়েটার।
৭ম তলায় থাকবে কেবিন। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য দুটি করে চারটি কেবিন রিজার্ভ থাকবে। আর ২টি ভিআইপি কেবিনসহ ১৮টি কেবিন থাকার কথা রয়েছে। এ দিকে শহরের কেন্দ্রস্থলে ২৫০ শয্যার এ হাসপাতাল ভবন নির্মাণ হচ্ছে দেখে আনন্দিত হয়েছেন অনেকেই।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী মরিয়ম বেগম জানান, একটু সুচিকিৎসার জন্য ঢাকা বা খুলনা ছুটে যেতে হতো এ জেলার মানুষদের। তবে সেই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে পিরোজপুরের জনগণ। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই এবং দোয়া করি। পিরোজপুরবাসীর জন্য এই হাসপাতালটা অনেক জরুরি ছিল।
৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এ হাসপাতালের নির্মাণ কাজ ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করা ছিল বলে জানিয়েছেন গণপূর্ত অধিদফতর এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ সৈকত। তবে আরো ছয় মাস সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী জানান, হাসপাতালটি চালু হলে এখান থেকে করোনাসহ সব ধরনের চিকিৎসা সেবা আমরা দিয়ে যেতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর পিরোজপুরের ৫০ শয্যার হাসপাতালটিকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছিল। তবে মানুষের চিকিৎসাসেবার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১৮ সালে হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করার লক্ষ্যে নির্মাণ কাজ শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার।