1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

আমার রায় শেখ হাসিনার পক্ষে, একজন লৌহমানবীর পক্ষে

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

স্বামী-সন্তান ও বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে পশ্চিম জার্মানিতে থাকার দরুন ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কালো রাতে বেঁচে গিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বাবা, মা,ভাই সহ পরিবারের সকলকে হারিয়ে ছোট বোন শেখ রেহানা কে নিয়ে শুরু হয় তার সংগ্রামী জীবন। নিরাপদ আশ্রয় ছিলো না তখন তাদের দুই বোনের। ৬ বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সেদিন বাংলার আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়েছিলো তার বুক ভাঙা আর্তনাদে। তখন তার দল আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাকে ভরসা দিয়েছিলো ‘ শেখ হাসিনা ভয় নাই, আমরা আছি লাখো ভাই’ শ্লোগান দিয়ে। সেই আওয়ামী লীগের ই টানা দশম বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। যখন তিনি দেশে আসেন তখন এই দেশে শুধুই ছিলো তার বাবার পূরণ না হওয়া স্বপ্নের আহাজারি। দেশে তখন স্বৈরতন্ত্রের কালো থাবা। দলের অভ্যন্তরেও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই ভঙ্গুর দলকে আগলে ধরলেন শুধু বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে। চোখে তখন দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করার স্বপ্ন। দেশের মানুষকে সোনার বাংলা উপহার দেয়ার আশা। সকল মানুষের গনতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক মুক্তিই ছিলো তার লক্ষ্য। স্বামী সন্তান দূরে রেখে এই দলকে আগলে ধরলেন তিনি। শুরু হলো তার পথচলা।

ছাত্রজীবনে রাজনীতি করেছেন, মিছিল মিটিং করেছেন। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিলেন। এরমধ্যে তাকে হত্যার চেষ্টা হলো কয়েকবার। গুলি চালানো হলো জনসমাবেশে। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে সেদিন আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাদের কথা রেখেছিলো। মানব প্রাচীর হয়ে দাড়িয়েছিলো সেদিন এই কর্মীরা। একজন গুলি খেয়ে পড়ে গেলে আরেকজন সেই জায়গা দখল করে নিয়েছিলো। তবুও তারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সেদিন হারতে দেয়নি। কারন, সেদিন শেখ হাসিনা হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যেতো, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন হেরে যেতো।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তিনি দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে যায়। থমকে যায় দেশের উন্নয়নের চাকা। দেশকে অকার্যকর, জঙ্গিবাদি রাষ্ট্রে পরিনত করতে চেয়েছিলো বিএনপি জামায়াত জোট। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি জামায়াত সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে সেদিন শেখ হাসিনা ও তার পুরো দলকে শেষ করে দেয়ার লক্ষ্য ছিলো সাম্প্রদায়িক জঙ্গি গোষ্ঠীর। সেদিন ও আওয়ামী লীগের নেতারা মানব দেয়াল তৈরি করে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেন। গ্রেনেডের স্প্রিন্টার সেদিন ছুতে পারেনি শেখ হাসিনাকে, ভেদ করতে পারেনি আওয়ামী লীগের কর্মীদের অঙ্গিকার।

২০০৮ সালে বিশাল ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। মানুষের আশা ভরসার প্রতীক হয়ে দেশের দায়িত্ব পান শেখ হাসিনা। গত ১৫ বছর টানা ৩ বার ও মোট ৪ বার তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন । দেশের মানুষকে দিয়েছেন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি। যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচারের যে অঙ্গিকার তিনি করেছিলেন তা তিনি রেখেছেন । দেশের মানুষকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন তিনি। দেশকে তিনি নিয়ে গেছেন উন্নয়নশীলদের কাতারে। জনগণের বিদ্যুৎ চাহইদা পূরণ করেছেন। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলের মতো বৃহৎ প্রজেক্টের কাজ শেষ করেছেন। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র পায়ে মাড়িয়ে তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করেছেন। বাংলাদেশ আজ স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে । পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্র আজ দৃশ্যমান । এসব ই সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী রাজনীতি ও প্রবল ইচ্ছা শক্তির দরুন।

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী ও এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে আমার চাওয়া উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা পাক। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও জঙ্গিবাদের মধ্যে লৌহমানবীর মতো দাঁড়িয়ে থাকা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতেই থাকুক বাংলাদেশের দায়িত্ব। নিজের সবকিছু হারিয়ে এই দেশ, দেশের মানুষকেই আপন করে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তার হাত ধরেই পূরণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। আমরা এখন সে পথেই আছি। রূপকল্প-২০৪১ সালের যে ভিশন নিয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন দেশের একজন নাগরিক হিসাবে তাকে সমর্থন দেওয়া আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। আজ আমি চাই পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে। তাই আমার রায় হবে শেখ হাসিনার পক্ষে, একজন লৌহমানবীর পক্ষে।

লেখক: পৃথিবী আলম রাজ – শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।


সর্বশেষ - রাজনীতি