1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

আ’লীগের ১৮ এমপির বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে রাজশাহী-৩ আসনের দুইবারের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন স্বতন্ত্র হিসেবে ভোট করার ঘোষণা দিয়েও পরে পিছিয়ে আসেন।

দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উৎসাহ দিলেও শেষমেশ পিছিয়ে আসার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছিলেন, “নৌকার বিপক্ষে ভোট করা কষ্টদায়ক এবং যন্ত্রণাদায়ক। তাই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

তবে রাজশাহী-৪ আসনে টানা তিন বার নৌকা নিয়ে জিতে আসা এনামুল হক এবার এই প্রতীকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। তার প্রতীক কাঁচি।

নবম সংসদ নির্বাচনে এনামুলকে মনোনয়ন দিয়েই ১৯৯১ সালের পর প্রথমবারের মত আসনটি দখলে নেয় আওয়ামী লীগ। এবার সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে আবুল কালাম আজাদকে।

এনামুল ভোটের প্রচারে নেমে আজাদের মতই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের উন্নয়নের কথা বলছেন।

এনামুল বলেন, “আমি আশা করি এবার কাঁচি প্রতীকে ভোট দিয়ে ‘স্মার্ট বাগমারা’ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন এলাকাবাসী। ভোটাররা যদি সেই সুযোগ দেয়, তবে আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বাগমারায় নিয়ে এসে কাঁচি দিয়ে ফিতা কেটে ‘স্মার্ট বাগমারা’ উদ্বোধন করাব।”

আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমালোচনাও করছেন এনামুল। তিনি বলেন, “আমি গত ১৫ বছর ধরে এমপি। এই সময়ে এলাকায় কোনো রাজনৈতিক সহিংসতা ঘটেনি। একজন মায়ের বুকও খালি হয়নি। সেটিকে ইস্যু করেই আমি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। কিন্তু ভোটের প্রচার শুরুর পর থেকে বাগমারায় আগের সেই সন্ত্রাস ফিরিয়ে এনেছেন নৌকার প্রার্থী।

“তার অব্যাহত হুমকির কারণে অনেকে প্রকাশ্যে আমার পক্ষে কথা বলতে পারছেন না। পরাজয় হবে বুঝতে পেরে নৌকার প্রার্থী নানাভাবে এলাকায় জুলুম শুরু করে দিয়েছেন।”

এনামুলের বিপক্ষে গত কয়েক বছরে নানা অভিযোগ ওঠার পর এবার ক্ষমতাসীন দল নৌকা তুলে দিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় উপকমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহীর তাহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবুল কালাম আজাদকে।

আজাদ প্রচারে নেমে এনামুলের সমালোচনার জবাব দিচ্ছেন, সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে তুলে ধরছেন নানা অভিযোগও। তিনি বলেন, “নির্বাচন বিতর্কিত করার জন্য বহিরাগত কিছু লোকজন নিয়ে এসে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন।”

দুই পক্ষই দাবি করছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার পাশেই বেশি।

বিএনপি-জামায়াত ও সমমনাদের বর্জনের ফলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যে অভিনব দিকটি সামনে এসেছে, তা দল আওয়ামী লীগ এবার দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের প্রতি কেবল উদার না, তাদেরকে ভোট থেকে সরে না দাঁড়াতে উৎসাহ পর্যন্ত দিচ্ছে।

এদেরকে ঠিক ‘বিদ্রোহী’ বলাও কঠিন, কারণ আওয়ামী লীগ এবার দলের প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়াটাকে বিদ্রোহ হিসেবে দেখছে না, বরং তাদেরকে বাধা না দিতে বারবার বক্তব্য এসেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের পক্ষ থেকে।

দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার দিন গণভবনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এবার দশম সংসদ নির্বাচনের মত কোনো আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউকে বিজয়ী দেখতে তিনি চান না। কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তাকে বাধা দেওয়া হবে না।

তবে কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশেই আসুক না কেন, আসনে আসনে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নৌকার প্রার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে, সংঘাত সংঘর্ষও হচ্ছে।

সরাসরি ভোটে বর্তমান সংসদের সদস্য হওয়া ৭১ জনকে এবার প্রার্থী করেনি আওয়ামী লীগ। তাদের মধ্যে ১৬ জন মনোনয়ন না পেয়েও ভোটের লড়াইয়ে থাকতে মনস্থির করেছেন। এদের কেউ একবার, কেউ দুইবারের, কেউ তিনবারের সংসদ সদস্য। এখন তারা নৌকার বদলে নিজের মার্কায় ভোট চাইছেন।

তাদের বাইরে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের দুই জন সংসদ সদস্যও নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করছেন। এরা হলেন কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের আঞ্জুম সুলতানা সীমা ও মাদারীপুর-৩ আসনে তাহমিনা বেগম।

নৌকার বিরুদ্ধে ঈগলের ‘জোয়ার’ দেখছেন মুরাদ

জামালপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের দুইবারের সংসদ সদস্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এবার নৌকার বিরুদ্ধে। তার প্রতীক ঈগল।

মুদারের বাবা মতিয়র রহমানও এ আসনে নৌকা নিয়ে ১৯৯১ সালে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু হেরে যান বিএনপির সে সময়ের মহাসচিব আবদুস সালাম তালুকদারের কাছে।

বাবার ও নিজের প্রতীকের বিরুদ্ধে ভোট করার বিষয়ে এক প্রশ্নে সরাসরি জবাব না দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ঈগল পাখি নিয়ে আমরা বিজয়ী হব, এটা সরিষাবাড়ীর মানুষ বলে, আমি বলি না। সারা বাংলাদেশে ঈগল পাখির যে জোয়ারটা হয়েছে, সেটা আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমত, আমাদের কিছু না।”

আওয়ামী লীগের যেসব নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, তাদের একটি বড় অংশ এবার ঈগল প্রতীক বেছে নিয়েছেন।

আসনটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে মাহবুবুর রহমানকে। মুরাদ তার খুব সমালোচনা করছেন এমন না। বরং তিনি সরিষাবাড়ীর উন্নয়ন অব্যাহত রাখা ও একটি আদর্শ স্মার্ট এলাকায় পরিণত করার কথা বলে ভোট চাইছেন।

নির্বাচন ‘অবশ্যই অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে’ দাবি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেন, “কেউ যদি ভাবে, নির্বাচনে আমরা শুধু নৌকার প্রার্থী হয়েছি, সরকারদলীয় প্রার্থী, আমরা বিশেষ সুবিধা পাব, ভোট নিয়ে যাব, ভোট হয়ে যাবে, এসব হবে না। জনগণ এটা করতে দেবে না।”

সরকারদলীয় হুইপও নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী কেবল নৌকা নিয়ে বিজয়ী তিনবারের সংসদ সদস্য নন, তিনি জাতীয় সংসদের হুইপও।

আওয়ামী লীগ সেখানে মনোনয়ন দিয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পটিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে। তিনি নিজেই কিছুদিন আগে সামশুল হকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

নৌকার বিরুদ্ধে কীভাবে ভোট চাইবেন? এই প্রশ্নে সামশুল বলেন, “আমি আমার কর্মের কথাই মানুষের কাছে তুলে ধরছি।

“আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কিন্তু নয়, জনপ্রিয় নেতাদের স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। ঈগল প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগকে জয় উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে আমি নির্বাচন করছি।”

নৌকার বিরুদ্ধে নয়, ‘নিজের কথা’ বলছেন জয়া

সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীক পাওয়া শাল্লা উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বিপক্ষে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তার মার্কা কাঁচি।

জয়া এই আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী। স্বামীর প্রয়াণের পর তাকে দুইবার প্রার্থী করলেও এবার নৌকা দেয়নি আওয়ামী লীগ।

নৌকার বিপক্ষে লড়াইয়ে থাকা জয়া বলেন, “আমি আওয়ামী লীগেরই মানুষ। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে আছেন।

“আর নৌকার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি এটা কেন বলছেন? আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাই বলেছেন প্রার্থী হতে কোনো বাধা নেই।”

কী বলে ভোট চাইছেন- এমন প্রশ্নে জয়া বলেন, “আমি নৌকার বিরুদ্ধে কথা বলব কেন? এইবার যাকে নৌকা দেওয়া হয়েছে তিনি দুর্নীতিবাজ ও জুলুমবাজ। তাকে ভোট না দিয়ে আমাকে ভোট দেওয়ার কথা বলছি, আমার কাজ ও কর্মের জন্যই মানুষ আমাকে ভোট দেবে।”

আওয়ামী লীগের প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, “এই আসন ঐতিহাসিকভাবে নৌকার। এখানে নৌকাই বিজয়ী হয়। আমার রাজনৈতিক গুরু প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেন গুপ্তা মনোনয়ন না পেয়েও প্রার্থী হয়েছেন। এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ নয়, বিব্রতকর। তবে সুরঞ্জিত সেনই প্রমাণ করে দিয়েছেন এখানে সব শেষে ভেদাভেদ ভুলে নৌকাই বিজয়ী হয়।”

‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতার কথা বলছি’

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মামুন অর রশীদের বিপক্ষে।

ছানোয়ার বলেন, “দুই দুইবারের এমপি আমি, আমার এলাকায় যথেষ্ট উন্নয়ন করেছি। আমি জনগণের কাছে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আবার আমাকে নির্বাচিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আমি নৌকার বিরোধিতা করছি না, নিজের কর্ম ও জনগণের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা তুলে ধরি।”

আর নওগাঁ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের দুইবারের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দীন তরফদার ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন নৌকা নিয়ে লড়া সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।

ছলিম উদ্দীন বলেন, “আমি মনে করি এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হবে গত ১০ বছরে আমার নির্বাচনি এলাকার মানুষের জন্য আমি কিছু করেছি কি না। আমি বিশ্বাস করি এলাকার মানুষ উন্নয়ন কাজের জন্য আমাকে আবার নির্বাচিত করবে, আমার কাজই আমাকে আবার মানুষের সেবা করার সুযোগ দেবে।”

নওগাঁ-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী মো. নাহিদ মোর্শেদের বিরুদ্ধে লড়া সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক লড়ছেন ঈগল নিয়ে। তিনি বলেন, “দীর্ঘ সময় এমপি ও মন্ত্রী থাকার কারণে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার সব যোগ্যতা থাকলেও আমাকে তা দেওয়া হয়নি। আমি বিশ্বাস করি এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবাসে এবং এলাকার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য পুনরায় আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।”

নৌকা নিয়ে এতবার নির্বাচন করে এবার কীভাবে সেই প্রতীকের বিরোধিতা করবেন- এই প্রশ্নে ইমাজ উদ্দিন বলেন, “আমি আমার জনপ্রিয়তা ও কাজ দিয়েই নির্বাচিত হব, কারও বিরোধিতা করে নয়।”

পঙ্কজ নাথ ‘নির্ভার’

বরিশাল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথকে অবশ্য নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য দিতে হচ্ছে না। কারণ, এই আসনটিতে আওয়ামী লীগ যাকে প্রতীক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেই শাম্মী আহমেদের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেছে দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে।

ঈগল মার্কা পাওয়া পঙ্কজ বলেন, “আমি তো নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছি বিষয়টা এমন না। শাম্মীর দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে মনোনয়ন বাতিল হওয়ার একটা আশঙ্কা নেতাকর্মীদের মধ্যেও ছিল। নেতাকর্মীদের চাপেই আমি মনোনয়ন কিনেছিলাম। এখন তো সে বাতিল হল।”

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া ও পেকুয়া) আসন নৌকা পেতেন যিনি, সেই সালাহউদ্দিন আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেছে খেলাপি ঋণের কারণে।

আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম তবু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তার দলের সমর্থন পাননি। তার প্রতীক ট্রাক।

কেন্দ্রের নির্দেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থন জানিয়েছে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে।

ইবরাহিম বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ ছিলেন ১০ বছর। সম্প্রতি হঠাৎ করেই তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছেড়ে ভোটে আসার ঘোষণা দিয়ে চমক তৈরি করেন।

আরও যারা

সুনামগঞ্জ-১ আসনে আলোচিত-সমালোচিত সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন কেটলি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন নৌকার রনজিত চন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে।

গাইবান্ধা-৪ আসনের সংসদ সদস্য মনোয়ার হোসেন চৌধুরী মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ট্রাক নিয়ে লড়ছেন নৌকার কালাম আজাদের বিরুদ্ধে।

ঝিনাইদহ-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চল দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে ট্রাক প্রতীকে লড়ছেন নৌকা পাওয়া সালাউদ্দীন মিয়াজির বিরুদ্ধে।

যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের তিনবারের সংসদ সদস্য রণজিত কুমার এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তার প্রতীক ঈগল। আওয়ামী লীগ সেখানে দলের টিকেট দিয়েছে এনামুল হকের বাবুলকে।

সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি মনোনয়ন না পেয়ে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে আছেন নৌকার মো. আসাদুজ্জামান বাবুর বিরুদ্ধে।

ময়মনসিংহ-৯ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন নৌকার এম এ সালামের বিরুদ্ধে। তুহিনের প্রতীক ঈগল।

হবিগঞ্জ-২ নৌকা পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল। তিনবারের সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান মনোনয়ন না পেয়ে নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ঈগল প্রতীক নিয়ে।


সর্বশেষ - রাজনীতি