1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

অসহযোগ-অবরোধ: ৫৭ দিনে ২৯০ যানবাহনে আগুন

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

অসহযোগ ঘোষণার পর প্রথম বিএনপির ডাকা সকাল সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি ছিল গতকাল রবিবার। বরাবরের মতো এদিনও এর তেমন কোনো প্রভাব ছিল না রাজধানীজুড়ে। স্বাভাবিকভাবেই সব গণপরিবহন চলতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে যানবাহনের ভিড়, যথারীতি খোলা ছিল দোকানপাটও। কর্মচাঞ্চল্যময় দিন কাটলেও ওইদিন দুপুরে জুরাইন পোস্তগোলা এলাকায় রাইদা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএনপির ডাকা অবরোধ ও হরতালে সারাদেশে ২৯০টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটল।

সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়ার পর গতকাল রবিবার প্রথম দফা ও সব মিলিয়ে দ্বাদশ দফার অবরোধ কর্মসূচি পালন করে দিলটি। ওইদিন রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, কাকরাইল, পল্টন, সেগুনবাগিচা, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, সাইন্স ল্যাবরেটরি ও এলিফ্যান্ট রোডসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ও সড়ক ঘুরে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ডগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের মতোই মানুষজনের সরব উপস্থিতি। আর গণপরিবহন চলাচলের হারও স্বাভাবিক। এর পাশাপাশি প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, স্টাফ বাস, সিএনজি, মোটরসাইকেল ও রিকশার উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। এসব এলাকার দোকানপাট, মার্কেট, বিপণিবিতানও খোলা ছিল। স্বাভাবিক সময়ের মতোই ব্যস্ত সময় পার করছেন সড়কে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সদস্যরা। মালিবাগ রেলক্রসিং ট্রাফিক পুলিশ বক্স এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা জানান, অবরোধের কোনো প্রভাব সড়কে নেই। সকাল থেকেই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

তারা যথারীতি দায়িত্ব পালন করছেন। ঢাকা জেলার বাইরে থেকে যেসব বাস, মিনিবাস রাজধানীতে প্রবেশ করে সেসব বাসের উপস্থিতিও স্বাভাবিক। সাভার থেকে ছেড়ে আসা লাব্বাইক পরিবহনের বাস চালকের সহকারী আমিন বলেন, রাস্তাঘাট ফাঁকা। বেশ কয়েক জায়গায় যানজটেও পড়তে হয়েছে। রাস্তায় কোনো সমস্যা হয়নি। স্থানীয় রিকশাচালকরাও বললেন, সকাল থেকেই পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রীর দেখা পাচ্ছেন তারা। তবে বরাবরের মতোই সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সংশ্লিষ্ট থানা ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে। পাশাপাশি থানা পুলিশকে গাড়ি নিয়েও টহল দিতে দেখা যায়। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি গণতান্ত্রিক অধিকার। তা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। স্পষ্ট করে বলতে চাই গত কয়েক মাসে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নাশকতা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। অনেককে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড কখনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না। নাশকতার বিরুদ্ধে আমরা ‘শূন্য সহিষ্ণু’ নীতি অনুসরণ করছি।

তবে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধ কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই শনিবার রাজধানীতে ৩টি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে, গুলিস্তানে রজনীগন্ধা পরিবহনের বাস, মিরপুর-১৩ নম্বরে ট্রাস্ট পরিবহনের বাস ও কলাবাগানে শিকড় পরিবহনের বাসে আগুন দেয়া হয়। গতকাল রবিবার বেলা ২টা ৪০ মিনিেিটর দিকে জুরাইন পোস্তগোলা এলাকার সালাউদ্দিন পাম্পের পাশে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। দ্রুত পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২টা ৫৩ মিনিটে আগুন নেভায়। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দলের ডাকা অবরোধ ও হরতালে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৯০টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৮১টি বাস, ৪৫টি ট্রাক, ২৩টি কাভার্ড ভ্যান, ৮টি মোটরসাইকেল ও অন্যান্য ২৯টি গাড়ি রয়েছে।


সর্বশেষ - রাজনীতি