1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

গাইবান্ধার সমতল ভূমিতে কমলার বাম্পার ফলন

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বরেন্দ্র অঞ্চলে সমতল ভূমিতে চাষ হচ্ছে দার্জিলিং পাহাড়ের সুমিষ্ট রসালো কমলা। পাহাড়ি ফল হিসেবে কমলার পরিচিতি থাকলেও গাইবান্ধার সমতল ভূমিতে কমলা চাষের খবরে অনেকের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

বিদেশে যাওয়ায় প্রস্তুতি নিয়ে প্রতারণার শিকার যুবক আবদুল হালিম কমলার চাষ করে তার সংসারে এনেছেন সোনালি দিন। ২শ কমলার গাছ তাকে দেখিয়েছে নতুন দিনের পথ। গত দুই বছরে তিনি আয় করেছেন প্রায় ছয় লাখ টাকা। তার বাগানে বারি-২, চায়না-থ্রি ও দার্জিলিং জাতের কমলা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে হালিম সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিতি করেছেন। কমলা চাষ করে বেকারত্বের অভিশাপ ঘোচানোর পাশাপশি এখন অনেকের কাছে সৌভাগ্যের মূর্তপ্রতীক হয়ে উঠেছেন গোবিন্দগঞ্জের এই কমলাচাষি।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে শাখাহার ইউনিয়নের বাল্যা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হালিম (২৭)। কয়েক বছর আগে বেকারত্ব ঘোচানোর লক্ষ্যে বিদেশ যাওয়ার প্রস্ততি নেন। কিন্তু প্রতারণার শিকার হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন। একদিন ইউটিউবে ভিডিও দেখে কমলা চাষে আগ্রহী হন। বন্ধুর পরামর্শে ২০১৯ সালে নিজের পুকুর পাড় সংলগ্ন তিন বিঘা জমিতে শুরু করেন কমলা চাষ। ২০০ কমলা গাছ দিয়ে শুরু হয় তার কমলা বাগান। কমলা ধরতে শুরু করে ২০২২ সালে। সেই বছরই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রায় তিন লাখ টাকায় কমলা বিক্রি করেন। তার বাগানের কমলার স্বাদ, রস ও মিষ্টতা তুলনামূলক ভালো হওয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। এ বছর এখন পর্যন্ত লক্ষাধিক টাকার কমলা বিক্রি করেছে হালিম। এখনও গাছে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার কমলা রয়েছে। সমতলে কমলা চাষে সাফল্যের খবর শুনে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন তার বাগান দেখতে ভিড় করছেন অনেকে।

স্থানীয়রা বলেন, শুরুতে হালিমের কাজকে তেমন গুরুত্ব না দিলেও এখন গাছভর্তি পাকা কমলা দেখে আমরা অভিভূত। হালিম এখন এই এলাকার জন্য অনুকরণীয় এক আদর্শ কমলাচাষি। সরেজমিনে কথা হয় কমলাচাষি আবদুল হালিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিদেশে না গিয়েও সদিচ্ছার সফল প্রয়োগ করলে ও সবার উৎসাহ পেলে দেশের মাটিতেই অনেক কিছু করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী চাকরি না খুঁজে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার কথায় আমি উদ্বুদ্ধ হয়েছি। তার কথা আমাকে উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করেছে। হতাশাগ্রস্ত বেকার যুবক থেকে আমি এখন বেশ কয়েকজন মানুষের কর্মসংস্থান করতে পেরেছি।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, কমলা চাষ করে হালিম যে সফলতা দেখিয়েছেন তা কৃষি বিভাগের জন্যও একটি গৌরবময় সাফল্য। আগামীতে কৃষি বিভাগ থেকে তাকে আরও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া হবে।

কথা হয় বাগান দেখতে আসা উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের শক্তিপুর গ্রামের রানার সঙ্গে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তথা আমাদের উপজেলার মাটিতেও যে কমলা চাষ করা সম্ভব তা এখানে এসে দেখলাম। এখানকার কমলা বেশ মিষ্টি ও রসালো। একই কথা বলেন চাঁদপাড়া এলাকার সানু মিয়া। তার কথায়, এই কমলা বাগান দেখে আমি উৎসাহ পাচ্ছি। কমলাকে আগে বিদেশি ফল হিসেবে জানতাম। এখন মনে হচ্ছে এটি আর বিদেশি ফল নয়। এভাবে চাষিরা কমলা চাষ শুরু করলে বিদেশ থেকে আর কমলা আমদানি করতে হবে না। এতে দেশের অর্থ যেমন বাঁচবে তেমনি টাটকা ফলও পাওয়া যাবে।


সর্বশেষ - রাজনীতি