1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মুখস্থ নয়, শেখার প্রবল আগ্রহই প্রকৃত শিক্ষা!

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

“ভোর হলো দোর খোলো, খুকুমণি ওঠো রে, ওই ডাকে জুঁই-শাখে, ফুল-খুকি ছোটো রে”। ছড়াটি সবারই পড়া, তাই না? পাঠ্যবইতেই ছিলো, সবারই পড়তে হয়েছে, মুখস্থ লিখে নাম্বারও পেতে হয়েছে। ওই যে, “খুলি হাল তুলি পাল, ঐ তরী চললো, এই বার এই বার খুকু চোখ খুললো…” কিন্তু, কিন্তু খুলি হাল তুলি পাল ছিলো নাকি তুলি পাল খুলি হাল! নাকি ছাড়ি পাল, তুলি হাল?

খটকা লেগে গেলো না? সেই কত আগের পড়া, আজ আর মনে থাকে? এখন পরীক্ষায় লিখতে গেলে বেশ মুশকিল হতো। কিন্তু যে এই হাল, পাল, তরী এসব যে নিজের চোখে দেখেছে, হালের ব্যবহার কীভাবে করা হয়, পাল কেমন করে খাটানো হয়, এগুলো যার নিজের চোখে দেখার সুযোগ হয়েছে তার কি এতো বছর পরে এসেও ভুল হবে খুলি হাল তুলি পালে? হবে না। কারণ সে জানে হাল তোলার কিছু নেই, হাল খুলে দিতে হয়। সে দেখেছে পালে খোলার কিছু নেই, পাল তুলতে হয়, কীভাবে তুলতে হয় তাও তার দেখা আছে। তাই তার কিন্তু গড়বড় লাগবে না। কারণ সে ঝাল পরের মুখে খায়নি, খেয়েছে নিজের মুখে। অর্থাৎ তার লব্ধ জ্ঞানটুকুর উৎস কেবল পাঠ্যবইয়ের কটি লাইন আর ছবিতে আটকে নেই। সে শিখেছে মুখোমুখি হয়ে, সে শিখেছে হাতে কলমে। তার সেই শেখা তাই ভুলে যাবার নয়।

আর এই যথাসম্ভব হাতে কলমে শেখানোর প্রক্রিয়াটিই এ বছর থেকে বাংলাদেশে শুরু করা হয়েছে। যদিও প্রথম বারের মতো শুরু হওয়া ভিন্ন আঙ্গিকের এই শিক্ষাক্রমের আওতায় এ বছর ছিলো কেবল ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। আজকের আলোচনা সেই শিক্ষাক্রম নিয়ে যতোটা, তার চেয়ে বেশি সেই শিক্ষাক্রম নিয়ে উদ্ভুত আলোচনা সমালোচনা নিয়েই।

বিগত সময়জুড়ে, বিশেষ করে শিক্ষাবর্ষের এই প্রায় শেষ দিকটায় এসে, এই বছর জুড়ে চলা নতুন শিক্ষাক্রমটি বেশ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলেই প্রতীয়মাণ হয়। সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি নিয়মিত আলোচনার একটি প্রসঙ্গে পরিণত হয়েছে। আমরা গণমাধ্যমের প্রকাশিত একাধিক সংবাদে বিভিন্ন অভিভাবকের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখতে পেয়েছি, ইতোমধ্যে একজন অভিভাবকের নেতৃত্বে কিছু অভিভাবক এই শিক্ষাক্রম সংশোধনের জন্যেও সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ঘটেছে এমন আরো কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনা, এই শিক্ষাক্রমকে ঘিরে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত এই শিক্ষাক্রম নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট ভাইরাল হচ্ছে। গ্রুপ খোলা হচ্ছে ফেসবুকে, হোয়াটসএপে, সেগুলোতে প্রচারণা চলছে এই শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে।

এমন সময়টায় এসে সঙ্গত ভাবেই শিক্ষাক্রমটির সুযোগ, সম্ভাবনা ও সঙ্কট নিয়ে একটি আলোচনা প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছে।

নতুন শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে মূলত গুরুতর অভিযোগ তিনটি। প্রথমত, অভিভাভবকদের একাংশের মতে এই শিক্ষাক্রমে পাঠ্যবইয়ের গুরুত্ব কমে গেছে এবং শিক্ষার্থীদের মোবাইলমুখী করে তোলা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত যে প্রসঙ্গটি আলোচনায় আসছে সেটি যৌনশিক্ষা বিষয়ক। কপট-রক্ষণশীলতার বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষা কার্যক্রমের বেশ কিছু বিষয় বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এর আগে আমরা বিবর্তনবাদে পড়ানোর চেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত হতে দেখেছি। বিবর্তনবাদ পড়াতে গিয়ে বাংলাদেশে শিক্ষকদের জেলেও যেতে হয়েছে নিকট অতীতেই। সুতরাং পাঠ্যবইয়ে যৌনশিক্ষা বিষয়ক বা লৈঙ্গিক পরিচিতি বিষয়ক অধ্যায় থাকলে তাকে বাধাগ্রস্ত করার ব্যাপারে আগ্রহ বোধ করার মতো একটি অভিভাবক গোষ্ঠী থাকাটাই বাংলাদেশে প্রত্যাশিত ছিলো এবং এ ক্ষেত্রে আমরা তেমনটাই দেখতে পেয়েছি। তৃতীয়ত, এই শিক্ষাক্রমের ব্যবহারিক শিক্ষার প্রতি রাখা বাড়তি গুরুত্ব নিয়ে অভিভাবকদের একাংশের ক্ষোভ দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের কেনো রান্না শেখানো হচ্ছে, ঘর ঝাড়ু ঘর মোছা ইত্যাদি কি স্কুলের শেখানোর কথা কিনা এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন অভিভাবকদের একাংশ। জানতে চাচ্ছেন চাকরির পরীক্ষায় কী ডিম ভাজতে পারাটা কাজে আসবে নাকি ডিগ্রীটা কাজে লাগবে।
প্রশ্ন হলো, উত্থাপিত এই অভিযোগগুলো আসলে কতোটা সত্য?

যেমন আমরা যদি পাঠ্যবই নির্ভরতার প্রসঙ্গটি নিয়ে আলোচনা করি, তবে আমরা দেখতে পাই শিক্ষাক্রমটি পাঠ্যবইয়ের গুরুত্ব কমানোর জন্যে কোনো পদক্ষেপ নেয় নি। যেটা করা হয়েছে তা হলো পাঠ্যবইয়ের লেখার ধরণকে কিছুটা বদলে দেওয়া। খন্ডে খন্ডে ভাগ করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্যে তুলনামূলক সহজবোধ্য করা। এমন না যে বাংলাদেশ এই কাজটি নিজের খেয়ালখুশি মতো করেছে। একটি গবেষণাপত্র লেখার যেমন নির্দিষ্ট বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি আছে, তেমনি আধুনিক বিশ্বে এখন পাঠ্যবই রচনায়ও সুনির্দিষ্ট পদ্ধতির অনুসরণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেই পদ্ধতিতে একটি বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় কয়েক ভাগে ভাগ করা থাকবে। প্রথমে চিন্তা বা “সিনারিয়ো” দিয়ে যে অধ্যায়ের শুরু হবে, ভাগে ভাগে সেটি শেষ পর্যায়ে গিয়ে আলচনা করবে শিক্ষার্থী অধ্যায়টি থেকে কী শিখলো তা নিয়েও। এটি বিজ্ঞানসম্মত ও আধুনিকতর পদ্ধতি। একে অনেকটা শ্রমবিভাজনের সাথেও তুলনা করা যায় যেখানে একটানা অনেক কিছু পড়ার তুলনায় অল্প বিষয়বস্তুকে কাঠামোবদ্ধ প্রক্রিয়ায় বিশদভাবে পড়ে মূল শিক্ষাটি গ্রহণ করা হয়।

এক্ষেত্রে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এখন নতুন শিক্ষাক্রমে পড়ানোর জন্যে শিক্ষকদের পৃথক বই দেওয়া হয়, যা কিনা শিক্ষার্থীদের বইয়ের চেয়ে আলাদাও। যে বইতে নির্দেশনা দেওয়া থাকে শিক্ষক কোনো চ্যাপ্টার ঠিক কীভাবে পড়াবেন। মোট কতটা অংশ পড়ানোর পড় তিনি কতটুকু আলোচনা করবেন। কী কী আলোচনা করবেন। কোন প্রসঙ্গগুলো উল্লেখ করতে হবে ইত্যাদি। অর্থাৎ এই নতুন পাঠ্যবই সব শিক্ষকের দ্বারা একই শিক্ষণ নিশ্চিত করতে চমৎকার একটি পদ্ধতি প্রয়োগ করছে। শুধু শিক্ষকদের জন্যেই এখন কীভাবে পড়াতে হবে তা বোঝাটা সহজ হচ্ছে না, সব শিক্ষার্থী গ্রামে বা শহরে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষকের কাছে একটি পাঠের একই আলোচনা পাওয়ার অবকাশ সৃষ্টি হয়েছে।

তবে এ ক্ষেত্রে আমরা দুটি জিনিস দেখতে পাই, সম্পূরক ভাবে। প্রথমত, সবার জন্যে শিক্ষার প্রক্রিয়া এক হয়ে যাওয়ায় এখন আর ভালো স্কুল খারাপ স্কুলের কোনো ধারণা থাকার যৌক্তিকতা রইছে না। দ্বিতীয়ত, কোচিং নামক এক অদ্ভুত ব্যবসার যে বিশাল ক্ষেত্রে সাউথ এশিয়ায় গড়ে উঠেছে পুরো বিশ্বব্যবস্থার বাইরে গিয়ে, বাংলাদেশে সেটি বেশ বড় একটি হুমকির মুখে পড়েছে। অর্থাৎ এই নতুন শিক্ষাব্যবস্থা বাংলাদেশে পাঠ্যক্রম বা পাঠ্যপুস্তকের জায়গাটিতে কোচিং ব্যবসায়ী এবং মানসিক ভাবে অভিজাত বোধ করতে চাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অভিভাবক শ্রেণীর জন্যে নিঃসন্দেহে হুমকির।

যদি আমরা দ্বিতীয় প্রসঙ্গটিতে আসি, অর্থাৎ যৌনশিক্ষা ও লৈঙ্গিক সমতা বিষয়ক পাঠের ব্যাপারে অভিভাবক সমাজের আপত্তির প্রসঙ্গে, তবে আমাদের আসলে আলোচনার অবকাশ ভীষণ রকম কম৷ এটি এমন একটি প্রসঙ্গ, যেখানে আমাদের আলোচনা করার আদতেই কিছু নেই। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হওয়ার পথে বর্তমানে হাঁটছে। ২০২৬ পর্যন্ত একই গতিতে চলতে পারলে বাংলাদেশ বিশ্বকাঠামোয় একটি উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাবে। অর্থাৎ আমাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে যে একটি উন্নত দেশ হওয়া তো দূর, এখনো আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবেও স্বীকৃত না। আমাদের এই আপত্তিশীল অভিভাবক সমাজ কি জানেন, তারা তাদের যে সন্তানদের দুধেভাতে থাকার কামনা প্রতিনিয়ত ঈশ্বরের কাছে করেন, সন্তানদের যদি তাদের এই দেশেই রাখার প্রত্যাশা থেকে থাকে তবে এই দেশটিকে যে উন্নত দেশের কাতারে তারা দেখতে চান, সেই উন্নত দেশ হওয়ার পূর্বশর্তগুলো কী?
আমরা যদি রোস্টো’র ডেভেলপমেন্ট মডেলের দিকে তাকাই তবে অত্যন্ত তিক্ত সত্য হিসেবে আমরা এটি আবিষ্কার করি যে উন্নয়ন কাঠামোর চতুর্থ স্তরে পৌছানোর যথেষ্ট সম্ভাবনাময় দেশ হওয়া সত্ত্বেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা এখনো আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারি না কারণ আমাদের সমাজ এখনো অধিকাংশ অংশে “ট্র‍্যাডিশনাল সোসাইটির” গন্ডী পেরোতে পারেনি। ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ, অশিক্ষা, রক্ষণশীলতার মতো যেসব সঙ্কটকে রোস্টো সমাজ পরিবর্তনের অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তার সবকটি এখনো আমাদের সমাজে তীব্র ভাবে বিদ্যমান। রক্ষণশীল এই সমাজে যৌনতা একটি ট্যাবু। যৌনতাবিষয়ক আলোচনাকে প্রবল ভাবে নিরুৎসাহিত করা হয় এমন সমাজে, যদিও জনসংখ্যায় এই সমাজ বিশ্বে অষ্টম। সমগ্র বিশ্বে বাল্যবিবাহের মতো বর্বরতম সংষ্কৃতিটিতে দক্ষিণ এশিয়া সবচেয়ে এগিয়ে, এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাল্যবিবাহের হারে সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ, যে দেশটি বিগত বারো বছরে স্বাক্ষরতার হার ৩০% এরও বেশি বাড়িয়ে ৭৫% তে উন্নীত করেছে সেই দেশে এখনো ৬৪% বিয়েই বাল্যবিবাহের আওতাভুক্ত। অর্থাৎ রাষ্ট্রের বিদ্যমান আইনেই এই বিয়েগুলো রয়ে যায় অবৈধ। কেনো হচ্ছে এমন বিয়ে? কেনো একটি যথেষ্ট শিক্ষিত দেশ এমন বর্বর সংষ্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারা তো দূর, বেরিয়ে আসতে পারাকে প্রয়োজনীয়ও মনে করছে না? এর কারণ কি এই নয় যে, শিক্ষার হার বাড়লেও প্রকৃত শিক্ষা নিঃসন্দেহে এই মানুষগুলোর অন্তঃকরণে পৌঁছাতে পারেনি?

জনৈক অভিভাবক সংবাদ সম্মেলন করে বললেন যৌনতা বিষয়ক শিক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই। যখন ছেলেমেয়ে বড় হবে তারা এমনিতেই এসব বিষয় শিখে যাবে! কতটা লজ্জাজনক আমাদের জন্যে এই ব্যাপারটা যে এই দেশে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করতে পারার মতো একজন অভিভাবকও যৌনতা বলতে কেবলমাত্র সঙ্গম করতে পারাকেই বুঝেন! এবং তিনি মনে করেন ছেলেমেয়ে এটুকু শিখে ফেলতে পারাই যথেষ্ট। এর বেশি কোনো শিক্ষার তাদের প্রয়োজন নেই। আচ্ছা, দিহানের কথা মনে আছে? নিজের প্রেমিকার সাথে নিজের বাসায় বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হয়ে যে ছেলেটি প্রেমিকার মৃত্যুর কারণ হয়েছিলো। সদ্য তরুণ ছেলেটি খুব সম্ভবত এখনো জেলে আছে। মেয়েটি কবরে। এদের এই মর্মান্তিক পরিণতি কেনো হয়েছিলো? শারীরিক ভাবে তো দুজনই সাবালক ছিলো। হয়েছিলো কারণ যৌনতা বিষয়ক যথাযথ ধারণা তাদের গড়ে উঠেনি কখনোই, সে সুযোগই তারা পায়নি। যে কারণে বিকৃত যৌনাচারের ঝুঁকি সম্পর্কেও তাদের ন্যুনতম ধারণা ছিলো না। ফলাফলে একজন অকালে মর্মান্তিক ভাবে প্রাণ হারালো আর অপরজন স্বর্ণালী যৌবনের দিনগুলো কাটালো কারাগারে। ঠিক যেমন প্রাণ হারাতে হয়েছিলো ফরিদপুরের নাবালিকা সেই কিশোরীকে, বাল্যবিবাহের স্বীকার যে মেয়েটির পঁয়ত্রিশ বছরের প্রাপ্তবয়স্ক স্বামীরও ন্যুনতম যৌনতাজ্ঞান ছিলো না, যার ফলে দাম্পত্য ধর্ষণের পৌনঃপুনিক শিকার হয়ে ইনফেকশনজনীত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যাওয়া ছাড়া মেয়েটির সামনে বিকল্প কোনো পথ ছিলো না খোলা।

আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, একবিংশ শতকে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটি গণ্য করা হয় যে লবণাক্ততাকে, সেই লবণাক্ততায় পিরিয়ড মোকাবেলার দুর্বিষহ কষ্ট এড়াতে গর্ভনিরোধক পিল ব্যবহার করার মতো ভয়াবহ পথ বেছে নিয়েছে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মেয়েরা। যদিও লবণাক্ততার সঙ্কট অনস্বীকার্য, কিন্তু তাদের এই দীর্ঘ মেয়াদে নিজের এবং প্রজন্মের ক্ষতি বয়ে আনার মতো আত্মঘাতী পদক্ষেপটি কীভাবে সম্ভব হয়েছে? হয়েছে কারণ,আমরা আজও গর্ভনিরোধক, যৌন রোগ, যৌনতাজনীত ইনফেকশন, যৌন সুরক্ষা, পরিবার পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয়ে ন্যুনতম ধারণা রাখি না।

এ ঘটনাগুলো কেবলমাত্র বরফের সেই উপরের এক ভাগের অংশ যা দৃশ্যমান, কিন্তু বাকি এগারো ভাগ রয়ে যায় পানির নীচেই যা সম্পর্কে হয়তো আমাদের জানার সুযোগটুকুও মেলে না। দিনশেষে এই ২০২৩ সালে এসেও সভ্যতার উৎকর্ষ থেকে বঞ্চিত রয়ে যায় সোনার বাংলার কোটি কন্যা, লাখো পূত্র, কারণ আজও এই দেশে ধর্ম ও রক্ষণশীলতার ভ্রান্ত দোহাই দিয়ে মানুষকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে তার মৌলিকতম জানার প্রয়োজনীয়তা থেকে। আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় জনসংখ্যাটি হচ্ছে আমাদের তরুণ প্রজন্ম। বিশ্বায়নের ফলে সমগ্র বিশ্বমানবের সাথে যারা আজ সম্পৃক্ত। যাদের চলার গতি আজ সূর্যের আহ্নিক গতিকে হারা মানায়। এমন গতিতে চলতে গেলে সঙ্কোচের বিহ্বলতায় থমকে যাওয়ার কোনো অবকাশ রাখা যেতে পারে না। বিশ্বব্যাপী বহু পূর্ব থেকেই যৌনশিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা যখন শতভাগ স্বীকৃত এবং প্রতিষ্ঠিত সেই সময়টিতে এসে বাংলাদেশে এটি নিয়ে কোনো প্রকার আলোচনার অবকাশ থাকতে পারা আদতে উচিত নয়।

আমরা যদি তৃতীয় প্রসঙ্গটির দিকে দেখি, তবে এটি হচ্ছে নিঃসন্দেহে বরফ ভাঙার সময়৷ বাংলাদেশে অন্যতম জনপ্রিয় টিভি শো বেয়ার গ্রীলসের ম্যান ভার্সাস ওয়াইল্ড, যেখানে একজন পুরুষ প্রতিকূল পরিবেশে একা টিকে থাকার প্রক্রিয়া দেখান। আর বাংলাদেশে সবচেয়ে অজনপ্রিয় কর্মকান্ডের একটি হচ্ছে ছেলেদের রান্না করা। বাংলাদেশ আজও এই ধারণা লালন করতে গর্ব বোধ করে যে রান্নাবান্না মেয়েলি কাজ, ঘর ঝাড়ু ঘর মোছা ইত্যাদি কাজ মেয়েরা করবে আর বাজার করা, অফিস করার কাজগুলো করবে ছেলেরা। উন্নত বিশ্ব এমন বিভ্রান্তিময় ধারণাকে আরো ষাট বছর আগেই ছুড়ে ফেলে দিলেও আমরা অস্বীকার করতে পারবো না যে এই বছর দশেক আগেও আমাদের পাঠ্যবইয়ে পিতা মাতা ভাই বোনের চরিত্র পরিচিতিতে যে ছবিগুলো ব্যবহার করা হতো সেখানে মায়ের ছবিটি রান্নাঘরে আর বাবার ছবিটি ব্রিফকেস হাতে কর্মব্যস্ত ভাবেই দেখানো হতো। ভাইয়ের ছবিতে ফুটবল নিয়ে খেলতে দেখা গেলেও বোনের ছবিতে হাতে থাকতো পুতুল। অর্থাৎ আমাদের পাঠ্যপুস্তকের দ্বারাই অবচেতন মনেও আমরা শৈশব থেকেই লালন করে এসেছি লৈঙ্গিক বৈষম্যকে। আমরা কাজকে চিহ্নিত করতে চাই লিঙ্গ দ্বারা। অথচ এর বিপরীতটার নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিলো বাঙালির।

বিশ্বে আজ আমাদের প্রবাসী বাঙালির সংখ্যা অন্তত ৩৫ লক্ষ। এই জনগোষ্ঠীর আটাশ লাখের বেশি বসবাস করেন মধ্যপ্রাচ্যে, আমাদের আয় করে দেন বিপুল রেমিট্যান্স, অথচ তারা থাকেন স্বজনহীন একাকী অবস্থায়৷ এদের প্রায় সবাইকে নিজে রান্না করে খেতে হয়৷ নিজের গৃহস্থালী সব কাজই করতে হয় নিজের। এরা সবাই কিন্তু পুরুষই। লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী বিগত দিনে দেশের বাইরে গেলেন পড়াশোনা করার জন্যে। এদের বেশির ভাগকে একাকী জীবন কাটাতে হচ্ছে। রাঁধতে না জানলে না খেয়ে মরতে হবে। বাসায় যাকে জলটি পর্যন্ত গ্লাসে ঢেলে খাইয়ে দিতে হয়েছে আজ তার নিজে রেঁধে না খেলে খাওয়া জুটবে না।

এ জায়গা থেকে যখন অভিবাসনপ্রিয় বাঙালির রান্নাদি গৃহস্থালি কাজে দক্ষতা হওয়ার কথা ছিলো সার্বজনীন, তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি পাঠ্যপুস্তকে সহশিক্ষা কার্যক্রমকেও বন্ধ করার আবদার তুলছেন এক শ্রেণীর অভিভাবক। অথচ এই দেশেই এ ধরণের সহশিক্ষা কার্যক্রমের চর্চা হওয়ার কথা ছিলো সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক। এদের চিন্তা কতটুকু পরিণত তা নিয়ে প্রশ্ন জাগে যখন আমরা দেখতে পাই সংবাদ মাধ্যমে এরা বলছেন খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন ইত্যাদি কাজ স্কুল কেনো শিখাবে! বিদ্যালয়ের কাজ যে শুধু অঙ্ক আর ইংরেজি শেখানো নয়,বরং একটি পরিপূর্ণ মানুষ গড়ে তোলা, হাতে কলমে মানব জীবনে প্রয়োজন হতে পারে এমন সবকিছুর সাথে একটি শিক্ষার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, সেটাও যেনো এই অভিভাবকরা জানেন না বা মানতে চান না! অবশেষে বাংলাদেশ যে সেই কাজটিই করার চেষ্টা করছে তা সবার দ্বারা সমাদৃত ও সমর্থিত হওয়ার কথা ছিলো। অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি এক ধরণের মানসিক বৈকল্যে আক্রান্ত অভিভাবক শ্রেণী এটি নিয়েও ক্ষুব্ধ।

এই ক্ষোভকে তুঙ্গস্পর্শী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার। ছড়ানো হচ্ছে বিভ্রান্তিকর তথ্য। যে জিনিসগুলো পূর্বতর শিক্ষাক্রমের তুলনায় কেবলমাত্র ৫% হতে পারে কলেবরে, সেই নিয়ে বিপুল আলোচনা সৃষ্টি হচ্ছে, সেটিকেই মূখ্য করে দেখানো হচ্ছে। একজন শিক্ষার্থীকে পুরো টার্মে মাত্র একবার বাসায় নিজে রেঁধে স্কুলে তার প্রমান দেখাতে হবে। অথচ প্রচার করা হচ্ছে স্কুল পড়ানো বাদ দিয়ে রান্না শেখাচ্ছে। একটি ছাত্রকে একটি হাঁস বা মুরগী পালতে হবে, সেটি কতটা বড় হলো তা দেখাতে হবে, অথবা লালন করতে হবে একটি গাছ। কখনো যেতে হবে বাজারে। দলগত ভাবে বাজার করে আনতে হবে, অথবা একদিন বসে তৈরী করতে হবে সারা মাসের পারিবারিক বাজেট। এগুলোর কোনোটাই সারা বছর জুড়ে করতে হবে এমন না৷ এক দিন এক দিন করে এগুলো করানোর মাধ্যমে বিদ্যালয় এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীকে ধারণা দিতে যাচ্ছে কেবল, হাতে কলমে। অথচ সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে পড়ানো বাদ দিয়ে বিদ্যালয়ে এখন নাচ গান আর রান্না করা, বাজার করা শেখানো হচ্ছে, যা কিনা প্রকৃতপক্ষে মূল শিক্ষা কার্যক্রমের ১০% ও নয়। ফেসবুক সয়লাব করা হচ্ছে পুরানো ভিডিও দিয়ে, যেগুলো এমনকি এই শিক্ষাক্রমের জন্যেও নয়। প্রাইমারীর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ভিডিওকেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ছড়ানো হচ্ছে এই শিক্ষাক্রমের ভিডিও বলে। একটি সম্পূর্ণ মডিউল থেকে অংশ বিশেষ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে পুরো প্রক্রিয়াটিকে বানানো হচ্ছে হাস্যস্পদ। কিন্তু প্রশ্ন জাগে কেনো করা হচ্ছে এমন? কী লাভ এতে?

উত্তরটি সম্ভবত এই যে, নতুন শিক্ষাক্রম অনেকের পেটেই লাথি মারবে। অপ্রয়োজনীয় মুখস্থবিদ্যার চাপকে কমিয়ে দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষাকে ব্যবহারিকমুখী করার ফলে প্রাইভেট পড়ানো, ব্যাচ পড়ানোর মতো অনেক সংষ্কৃতি ইতোমধ্যেই হুমকির মুখে৷ বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রিন্ট ইন্ডাস্ট্রি সর্বমোট ছাপার কালিতে যা কিছু ছাপে এতো দিন তার ৩০% ছিলো গাইড ধর্মী বিভিন্ন বই। এই বইগুলো এখন বাজার হারাচ্ছে, কারণ অপ্রয়োজনীয় বোর্ড পরীক্ষার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার পথে হাঁটছে সরকার। পাঠ্যবইয়ে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনার ফলে এখন একটি বইকে বোঝার জন্যে আরেকটি বই আমদানীর মতো কাজ আর ছাত্রদের করতে হচ্ছে না। নাম্বারিঙের মাধ্যমে মূল্যায়ণের যে প্রক্রিয়াটি এমনিতে যথেষ্ট বিজ্ঞানসম্মত ছিলো, সেই প্রক্রিয়াটিকে বাংলাদেশে একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতা বানিয়ে ফেলা হয়েছিলো। এই বানানোর মূল দায় অভিভাবক শ্রেণীকেই নিতে হবে। আজ তাই নাম্বারিঙের চেয়েও আধুনিক পদ্ধতি আনা হয়েছে মূল্যায়ণের জন্য। এখন আর শিক্ষার্থীদের কোনো মার্কিং নেই,নেই কোনো গ্রেডিঙ। শুধুমাত্র বৃত্ত, ত্রিভূজ, চতুর্ভূজের মাধ্যমে একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীর অবস্থার মূল্যায়ণ জানাবেন এবং সেই অনুযায়ী তার উন্নতি ঘটিয়ে জবাবদিহি সম্পন্ন করবেন। অর্থাৎ এখন আর ব্যাচে না পড়লে মার্ক না দেওয়ার মতো সুযোগও কারো হাতে থাকছে না।

অর্থাৎ এই শিক্ষাক্রম চলমান থাকলে এবং আরো বাড়লে, অর্থাৎ এর আওতায় ক্লাস এইট, নাইন, টেন ঢুকে পড়লে কোচিংপ্রতিষ্ঠানগুলো হারাবে পিএসসি কোচিং, জেএসসি কোচিং,এসএসসি স্পেশাল কোচিং ধরণের বিভিন্ন ব্যবসার সুযোগ, গাইড বই প্রতিষ্ঠানগুলোকে হয় অন্য কিছু ছাপতে হবে, নয় বন্ধ করতে হবে দোকান, আর যে শিক্ষকরা আগে স্কুলে বিদ্যা বিততণের পরিবর্তে নিজ বাসায় বিদ্যা বিক্রয়ের কাজটি করতেন তাদের এখন দুটো কাজই একই জায়গায় করার বিকল্প থাকবে না। এছাড়াও মানসিক বৈকল্য বলতে একটি জিনিস তো রয়েছেই৷ নতুন কিছুকে বরণ করে নিতে বাঙালি বরাবরই অস্বস্তিতে ভোগে, যার ছাপ দেখা যায় এ ক্ষেত্রেও৷ প্রাচীণপন্থী শিক্ষকরা সহজে এই শিক্ষাক্রমকে বরণ করতে আগ্রহী নন। এই শিক্ষাক্রমকে কার্যকর করতে গেলে তাদের নিজস্ব অভিযোজনের প্রয়োজন হবে, যেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এইসব কিছুরই প্রতিক্রিয়া উদগীরিত হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। চেষ্টা করা হচ্ছে অপপ্রচারের মাধ্যমে বিতর্কিত করে তুলতে এই শিক্ষাক্রমকে। ইতোমধ্যে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অপরাধে মোট কমপক্ষে চারজন শিক্ষককে গ্রেফতারের আওতায় নিয়েছে ডিবি। লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গ্রুপ খুলে সংঘবদ্ধ ভাবে মিথ্যা তথ্য, ভুল ভিডিও ইত্যাদি ছড়ানো হচ্ছে। অর্থাৎ যে প্রতিক্রিয়া আমরা দেখতে পাচ্ছি বা যার অংশ নিজেকে করে তুলছি তার কতটা স্বতঃস্ফূর্ত আর কতোটা অংশ পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা নিয়ে গভীর পর্যবেক্ষণ প্রয়োজনীয়।

যাই হোক, সচেতন মানুষের একটি উদ্বেগ অবশ্য এই বিষয়েও রয়েছে যে এই শিক্ষাক্রম কতোটা প্রায়োগিক ক্ষেত্রে সফল হবে। যেহেতু ব্যবহারিক প্রয়োগ অত্যন্ত বেশি, তাই এটির বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। কিন্তু নিঃসন্দেহে বাস্তবায়নের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত শিক্ষাবোর্ড যে ধরণের আন্তরিকতা, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ণ প্রক্রিয়া চলমান রেখেছে তা প্রশংসার দাবীদার। শুধুমাত্র একটি সুষ্ঠু পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই মূলত এই নতুন শিক্ষাক্রম আলোচনায় উঠে আসার মতো অবস্থান আদায় করতে পেরেছে এটিও স্বীকার করতে হবে। তরুণ শিক্ষকদের আন্তরিকতা, নিয়মিত ও যথাযথ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আয়োজন ইত্যাদি এটিকে সফল করতে ভালো ভূমিকা রাখছে।

সামনের বছর থেকেই নতুন দুটি ক্লাস এই শিক্ষাক্রমের অন্তর্ভুক্ত হবে। এ ছাড়াও সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে সব ধরণের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা তুলে নেওয়ার এবং সাথে নীচের দিকের ক্লাসে কোনো প্রকার বিভাগপার্থক্য না রাখার ব্যাপারটি ফলপ্রসূ ভাবে কার্যকর করার জন্য। ২০২৭ সাল পর্যন্ত ধাপে ধাপে যে পরিকল্পনা সম্পন্ন করার লক্ষ্য সরকারের, সেটির সুফল এখনই দেখতে পেতে চাওয়াটা অযৌক্তিক ও অবিবেচকসুলভ হবে নিঃসন্দেহে। একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার ফলাফল দেখতে গেলেও ধৈর্য্য ধারণ করা ও আন্তরিকতা পোষণ করা প্রয়োজন। বিশেষত সেই ধৈর্য্য যদি আমাদের পরবর্তি প্রজন্মকে অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে মুক্তি দেয়, শেখাতে পারে নৈমিত্তিক জীবনের দৈনন্দিক কাজগুলো করতে পারার মানসিকতা, সবচেয়ে বড় কথা, মুখস্থ করা নয়, শেখার প্রবল আগ্রহই যে প্রকৃত শিক্ষা সেটা যদি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে উপলব্ধি করাতে পারে তবে নিশ্চয়ই সেই ধৈর্য্য ধরতে পারা আমাদের কর্তব্যেরই অংশ।

লেখক : সম্রাট দেব চৌধুরী, অনলাইন এক্টিভিস্ট


সর্বশেষ - রাজনীতি