বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও এর ফলাফল নিয়ে কোন কিছুই ভাবছে না বা অনুমান করছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন প্রশাসন বলছে, তাদের চাওয়া বাংলাদেশে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। যুক্তরাষ্ট্রের এই চাওয়াটা বাংলাদেশের জনগনও চায়। বর্তমানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তোরজোর চলছে। এরমধ্যে প্রার্থীদের বাছাই সম্পন্ন করেছে আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন দল। আসছে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই নির্বাচন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটস এর নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিও মিলার। আর এসময়েই ঘটে একটি বিব্রতকর ও লজ্জাজনক ঘটনা।
সোমবার অনুষ্ঠিত এই প্রেস ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার সাবেক ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ‘ভুয়া সাংবাদিক’ হিসেবে পরিচিত মুশফিক ফজল আনসারী প্রশ্ন করেন “মার্কিন সরকার বাংলাদেশের একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের সম্ভাবনাকে কিভাবে মূল্যায়ন করে?”
খালেদা জিয়ার সাবেক এই ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারির এমন প্রশ্নে বেশ বিরক্তবোধ করেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিও মিলার।
তিনি বলেন “আবারও আমাকে? আমি নই, তারপরও আমাকে বলতে হবে? এই প্রশ্নের পর আর নয়। আমি এগিয়ে যেতে চাই, আমাদের হাতে খুবই কম সময়। এই সময়ের মধ্যে আপনাদের অনেকের প্রশ্ন আছে আমি এবং তাদের জবাব দিতে চাই। আমরা বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করতে চাই না। আমরা এখনও তাই বলবো যা আগেও আমরা বেশ কয়েকবার বলেছি৷ আমরা বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে যা বাংলাদেশের জনগণেরও চাওয়া।
আমরা বলেছি সরকার, বিরোধী দল,সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা অব্যাহত থাকবে। আমরা সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য তাদেরকে আহবান জানাতে থাকবো তারা যেন বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে শান্তিপূর্ন ভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে কাজ করে৷
মূলত ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটস এর নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার সাবেক এই ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি নানান বিতর্কিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রশ্ন করে বাংলাদেশে মার্কিন সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এমনই এক পরিস্থিতিতে সোমবার একই প্রশ্নের শেষে আরেকটি প্রশ্ন করতে গেলে ‘ভুয়া সাংবাদিক’ আনসারীর মাইক বন্ধ করে দিয়ে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়।