আন্তর্জাতিক সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ওমানের জাদ আল রাহিল ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি সুলতানাত থেকে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। প্রতি লিটারের জন্য খরচ হবে ১৩৭ টাকা ৯৪ পয়সা। সব মিলে দুই কোটি ৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার দর প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
রমজান মাসের চাহিদা মেটাতে সরকার দুই কোটি ৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও আট হাজার টন মসুর ডাল কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ক্রয় কমিটির নিয়মিত বৈঠকে এই দর প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সরকারি বিপণনকারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এসব পণ্য কিনে সাশ্রয়ী দামে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করবে। তেল ও মসুর ডাল কিনতে সরকারের ব্যয় হবে মোট ৩৩৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
বর্তমানে টিসিবির অধীনে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড আছে। এর আওতায় একজন কার্ডধারীর কাছে সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৬০ টাকা, এক কেজি মসুর ডাল ৭০ টাকা ও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ভারতের আরবেল বাকলিয়াত হুবুবাত সান্তিক এএস থেকে আট হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যয় হবে ৮১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।