স্বপ্নের মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। নির্ধারিত সময়ের দুই বছর আগেই যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে মেট্রোরেল। বিদ্যুতচালিত এই রেলের উদ্বোধন করা হবে ২৮ ডিসেম্বর, চলবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে।
জাপানের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে রাজধানীর এই মেট্রোরেলে, যা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম। এমনকি সেই প্রযুক্তি জাপানেও নেই।
জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি টমোহুদি জানিয়েছেন, বিদ্যুতচালিত এই ট্রেনের সঙ্গে থাকছে ব্যাটারির ব্যাকআপ। যেটাকে বলা হচ্ছে এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম।
তিনি জানান, যদি কোনো কারণে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ হয়ে যায়, তখন ট্রেনকে পরবর্তী স্টেশন পর্যন্ত টেনে নেবে এই প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। এছাড়াও এই ট্রেনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তা জাপানেও নেই।
জাইকার এই কর্মকর্তা জানান, মেট্রোরেলে ইএসএস সিস্টেম বা এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম আছে। যা ট্রেন চলাচলের সময়ই শক্তি সঞ্চয় করে রাখবে। এই শক্তি জমা থাকবে দুটি বগির নিচে থাকা ব্যাটারিতে। কোনো কারণে বিদ্যুৎ চলে গেলে জমা রাখা সেই শক্তি ব্যবহার করে রেলটি পরের স্টেশন পর্যন্ত যেতে পারবে।
একই সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে ট্রেনে। যা শুধু বগির ভেতর নয়, প্ল্যাটফর্ম ও স্টেশনের ওপরও নজর রাখবে।
তিনি জানান, নিরপত্তা নিশ্চিতের জন্য এরিমধ্যে ৩০ জন বাংলাদেশি প্রকৌশলীকে জাপানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের জন্য যে যন্ত্র যুক্ত করা হয়েছে সেটি এখনও জাপানেও ব্যবহার হয়নি।
প্রতিটি রেলে ছয়টি বগি থাকছে। তবে প্রয়োজনে বাড়তি আরও দুটি বগি যুক্ত করারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানান জাইকার এই কর্মকর্তা।