শীতজুড়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রামরাই দিঘি অতিথি পাখির আনাগোনায় মুখরিত থাকে। পরিযায়ী এসব পাখির আগমনে পাঁচশ বছরের পুরোনো জেলার সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহত্তর এই দিঘির সৌন্দর্যে বাড়তি মাত্রা যোগ হয়েছে।
জেলা শহর থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দূরে অপূর্ব সৌন্দর্যে ঘেরা রামরাই দিঘির জলে পানচিল, পানকৌড়ি, পাতিহাঁসসহ নানা প্রজাতির হাজার হাজার পাখির আগমনে দিঘির সৌন্দর্য আরও ফুটে উঠেছে।
পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর ওড়াউড়ির দৃশ্যধারণের চেষ্টায় মেতেছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা। কেউ কেউ আবার নৌকায় চড়ে পাখিদের খুনসুটি ক্যামেরায় ধারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। রামরাই দিঘির জলকেলিতে অতিথি পাখির অবাদ বিচরণ এখন নজর কাড়ছে সবার।
দর্শনার্থীরা জানান, অতিথি পাখির আগমনে জায়গাটির সৌন্দর্য আরও ফুটে উঠেছে। অপরূপ সুন্দর লাগছে পাখির অবাধ বিচরণ। মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করতে পেরে খুশি সবাই।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির জানান, অতিথি পাখির অভয়াশ্রম রামরাই দিঘি। কেউ যেন পাখি শিকার করতে না পারে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
৪২ একর জমিজুড়ে রামরাই দিঘিটি অবস্থিত। আর এখানে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি দর্শনার্থী আসেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে।