1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

‘স্মার্ট বাংলাদেশে’র ঘোষণা শেখ হাসিনার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২২

ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে এবার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২ এর উদ্বোধনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন তিনি।

নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সরকার ২০২১ সালের লক্ষ‌্যমাত্রা পূরণ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। সেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এজন্য ৪টি বিষয়কে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। এক. আমাদের জনগণ প্রযুক্তি ব‌্যবহারে দক্ষ হবে। দুই. স্মার্ট অর্থনীতি অর্থাৎ সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আমরা প্রযুক্তি ব‌্যবহার করে করবো। তিন. স্মার্ট সরকার, ইতিমধ‌্যে আমরা অনেকটা করে ফেলেছি। বাকিটাও করে ফেলবো। চার.আমাদের পুরো সমাজই হবে স্মার্ট সোসাইটি।

২১০০ সালের ‘ডেল্টা প্ল্যান’ করে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘২০২১ থেকে ৪১’ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দিয়ে গেলাম। কিভাবে দেশের উন্নয়নটা হবে তার একটা কাঠামো পরিকল্পনা প্রণয়ন করে সেটা বাংলাদেশের জনগণের জন‌্য আমি রেখে যাচ্ছি। আর ২১০০ সালের এই ব-দ্বীপ প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন এই ব-দ্বীপে জলবায়ুর অভিঘাত থেকে রক্ষা পায়, দেশ উন্নত হয় এবং উন্নত দেশে স্বাধীনভাবে সুন্দরভাবে যেন স্মার্টভাবে বাঁচতে পারে সেই ব‌্যবস্থা করে দিয়ে গেলাম।’

শেখ হাসিনা বলেন, এখন সব নির্ভর করছে আমাদের তরুণ প্রজন্মের ওপর। তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের উন্নতি, এটাই ছিলো আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার। আমরা সেই কাজই করে যাচ্ছি।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের প্রযুক্তিতে বিপ্লব ঘটানোর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বলেছিলাম প্রত‌্যেকটি ফাইল কম্পিউটারে আসতে হবে। এর আগে কম্পিউটার কেউ ব‌্যবহার করতো না।

’৯২ সালে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক‌্যাবলের মাধ‌্যমে ইন্টারনেটে যুক্ত হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করায় বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, এতে আন্তর্জাতিক লিংক থেকে বাংলাদেশ দূরে সরে ছিলো। ৯২ সালে আমরা একটা সুযোগ পেয়েছিলাম সাবমেরিন ক‌্যাবল যখন ভারতসহ আশপাশের দেশগুলো সংযুক্ত হয়। বাংলাদেশ সেই সুযোগ পেলেও খালেদা জিয়া নেয়নি। এতে সব তথ‌্য নাকি বিদেশি চলে যাবে। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে সাবমেরিন ক‌্যাবলে যুক্ত হলো বাংলাদেশ।

সরকার নেদারল‌্যান্ডস থেকে দশ হাজার কম্পিউটার আমদানির চুক্তি বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে বাতিল করে দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপের নামে নেদারল‌্যান্ডের একটি কোম্পানির শুধু নাম মিলে যাওয়ায় সেই চুক্তি বাতিল করে খালেদা জিয়া। এতে দেশের প্রায় ৬২ কোটি টাকা গচ্চা যায়।

বাংলাদেশে প্রযুক্তিতে যে বিপ্লব এবং ব‌্যাপক ব‌্যবহার হয়েছে, সেজন‌্য নিজের ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনা ও ভূমিকার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, জয়ের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা কম্পিটারের আমদানির ওপর থেকে শুল্ক প্রত‌্যাহার করার কারণে ব‌্যাপক ব‌্যবহার শুরু হয়। জয়ের পরামর্শে জিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করি এবং বাস্তবায়ন করি।

নিজেও ছেলের কাছ থেকে কম্পিউটারে জ্ঞান আহরন এবং শিখেছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজকে সারাদেশে ব্রডব‌্যান্ড সেবা পৌঁছে গেছে। জয় পরামর্শ না দিলে এটা করা সম্ভব হতো না। ডিজিটাল বাংলাদেশে আজ প্রত‌্যন্ত অঞ্চলেও কানেক্টেভিটি আছে। ডিজটাল বাংলাদেশ গড়ার কারণে করোনাকালীন সবকিছু চলেছে। মানুষ কাজ করতে পেরেছে।

এ সময় ফ্রিল‌্যান্সাররা যাতে তাদের সার্বিক কর্মকাণ্ড ও কাজ নিবিড় ও ঝামেলাহীনভাবে করতে পারেন সেজন‌্য সরকারের সহায়ক বিভিন্ন পদক্ষেপও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তার সরকার ইন্টারনেট ব‌্যান্ডউইথের দাম কমিয়ে ইন্টারনেট ব‌্যবহার আরও সহজলভ‌্য করেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।


সর্বশেষ - রাজনীতি