1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ফরিদপুরে ঔষধি গুণসমৃদ্ধ ‘ব্ল্যাক রাইস’ চাষে সফল কৃষক

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২

ফরিদপুরে পরীক্ষামূলকভাবে ঔষধি ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ‘ব্ল্যাক রাইস’ চাষ করে আশানুরূপ ফল পেয়েছেন সারোয়ার ব্যাপারী (৩৬)। ফরিদপুর পৌরসভার উত্তর শোভারামপুর ব্যাপারী পাড়ায় ফসিল মাঠে ১০ শতাংশ ক্ষেতে তিনি এ ধান চাষ করেন।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সারোয়ার ধানক্ষেতে একজন শ্রমিক নিয়ে ধান কাটছেন। ব্ল্যাক রাইসের ঔষধি গুণই তাকে এ ধান চাষে বেশ আগ্রহী করে তুলেছে বলে জানান তিনি।

সারোয়ার ফরিদপুর শহরের কৃষি কলেজ এলাকার গিয়াসউদ্দিনের কাছ থেকে এ ধানের বীজ সংগ্রহ করেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তা ও সহযোগিতায় দশ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছেন। এখন ক্ষেত থেকে ৬ থেক ৭ মণ ধান পাওয়ার আশা করছেন।

ব্ল্যাক রাইস পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ও বাজারে দাম বেশি হওয়ায় দিন দিন কালো ধানের আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা। যা এই এলাকায় ‘কালো ধান’ নামে পরিচিত।

সারোয়ার ব্যাপারী বলেন, গত জুলাই মাসের শেষের দিকে এ ধানের বীজ জমিতে রোপন করি। ২ হাজার টাকা কেজি দরে ব্ল্যাক রাইস ধানের বীজ সংগ্রহ করি। ধান সংগ্রহ করার পর প্রথমে বীজতলা তৈরি করি। সেখানে একটি একটি করে ধান বপন করে চারা তৈরি করতে বীজতলা করি। প্রায় প্রতিটা ধান থেকে অঙ্কুর বের হয়। ২ সপ্তাহ পর বীজ তলা থেকে চারা সংগ্রহ করে দশ শতাংশ জমিতে ব্ল্যাক রাইস ধানের চারা রোপন করেছিলাম। ৬ থেক ৭ মণ ধান পাওয়া যাবে আশা করি। চারা রোপণের ৯০ দিনের মধ্যেই ধান ঘরে তোলা যায়। অন্যান্য ধানের তুলনায় রোগবালাইও কম।

তিনি বলেন, এর গাছ অন্যান্য ধান গাছের মত সবুজাভ। তবে ধানের রঙটা কালো হওয়ায় একে আলাদা করা সম্ভব হয়। ব্ল্যাক রাইস চালটা একটু মোটা হয়। তবে স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তের উপ-পরিচালক  মো. জিয়াউল হক বলেন, সারোয়ারের ব্ল্যাক রাইস ধানের ক্ষেতের ফলন খুবই ভাল হয়েছে। আমরা বিষয়টি সম্পর্কে খেয়াল রেখেছি। ওই ক্ষেতে আগে কিছু পোকার আক্রমণ হয়েছিল। তা ওষুধ প্রয়োগে ঠিক হয়ে গেছে। এ ধান আমন মৌসুমে এবং একই উপায়ে রোপন করা হয়ে থাকে। বিঘা প্রতি ফলন হয় ১৮ থেকে ২০ মণ।

তিনি বলেন, এই এলাকায় এ ধান নতুন। কিন্তু ঔষধি ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ হওয়ায় এ ধান চাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করছি। কৃষকদের আগ্রহ থাকলে এ ধানের বীজ এ অঞ্চল ও আশেপাশের অঞ্চলের কৃষককে সরবরাহ করব। এর ফলে কৃষক কম দামে এ ধান সংগ্রহ করতে পারবে। এই ধানের চালের ভাত খেলে অনেক রোগ কমে যায়।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ ধানের চেয়ে কালো ধানের দাম ও চাহিদা অনেক বেশি। কালো ধানে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগপ্রতিরাধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ফাইবার হার্টকে রাখে সুস্থ। এছাড়া ডায়াবেটিস, চোখের রোগ প্রতিরোধ, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধে এই ধানের চাল ভূমিকা রাখে।


সর্বশেষ - রাজনীতি