অর্থনৈতিক অঞ্চলের সংযোগ সড়ক হিসেবে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে বাংলাদেশকে ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। দেশের ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে যুক্ত করতে ঢাকা-ময়মনসিংহ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বা ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিবে এডিবি। প্রতি ডলার ১০৫ টাকা ধরে হিসেব করলে ঋণের পরিমাণ ধারায় ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার এডিবির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এসব ঋণের টাকায় দেশের অন্যতম ব্যস্ত অর্থনৈতিক করিডর হিসেবে পরিচিত ঢাকা-জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক নির্মাণ করা হবে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
যার মাধ্যমে সড়কটির আশপাশের ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভারি ট্রাক চলাচলে সুবিধা হবে। ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি যানজট নিরসন ও সড়ক নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে। সড়ক বিভাগের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা-জয়দেবপুর চার লেনের সড়ককে এক্সপ্রেসওয়েতে পরিণত করা হবে। যার উভয় পাশে স্থানীয় যানবাহনের জন্য সার্ভিস লেন রাখা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় গাড়ি চলাচলে যেন অসুবিধা না হয় সে দিকটি খেয়াল রাখা হবে বলে জানানো হয়। ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল যুক্ত হলে এ সড়কে ব্যাপক যানবাহন চলাচল শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমানে ঢাকা-জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রুটে ৮৭ দশমিক ১৮ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় এই সড়ককে ১০ লেনের আন্তর্জাতিক মানের এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করা হবে। এখনকার চার লেনের পাশাপাশি ১০ ফুট প্রশস্ত করে দুই পাশে ব্যারিয়ার দিয়ে ইমার্জেন্সি লেন নির্মাণ করা হবে, যা দিয়ে শুধু অ্যাম্বুলেন্স, নিরাপত্তা গাড়ি, ভিআইপিসহ যে কোনো জরুরি কাজে নিয়োজিত গাড়ি চলাচল করবে।
এরপর আরও ১৮ থেকে ২৪ ফুট করে স্বল্প গতির যান চলাচলের জন্য আলাদা দুটি করে লেন করা হবে দুই পাশে। সব মিলিয়ে একপাশে পাঁচটি সড়ক লেনসহ দুপাশে ১০ লেনের সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। দুপাশের অন্য সড়ক থেকে এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে উঠতে ও বের হতে প্রতি ২-৩ কিলোমিটার পর পর আন্ডারপাস ইউটার্ন নির্মিত হবে। এই সড়কটি দেশের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সংযোগ তৈরি করবে।