1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশ

রেজাউল করিম খোকন : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১

বাংলাদেশের অর্থনীতি দিনে দিনে ক্রমেই শক্তিশালী এবং বড় হচ্ছে। অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সব বাধাবিঘ্ন, ষড়যন্ত্র, প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করছে বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব। বাংলাদেশের এই এগিয়ে চলা কোনোভাবেই থামানো যাবে না।

দিনে দিনে সামাজিক, রাজনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো। এটা আরোপিতভাবে নয়, স্বাভাবিক নিয়মেই ঘটেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্থনীতিতে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। কৃষিনির্ভর অর্থনীতি ছিল এক সময়ে এ অঞ্চলে। কিন্তু সেই কৃষিনির্ভর অর্থনীতি থেকে ক্রমেই বেরিয়ে এসে শিল্প ও সেবা খাতমুখী হয়েছে আমাদের অর্থনীতি। উন্নয়নের মহাসড়কে ছুটেচলা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ এখন সাহায্য গ্রহীতা নয়, সাহায্য দাতার কাতারে উঠে এসেছে। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে লাল-সবুজের বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উত্তরণের সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের মধ্যদিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এখন চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটল বাংলাদেশের। এলডিসি থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর প্রস্তুতির সময় পাওয়া যাবে। সাধারণত প্রস্তুতির জন্য তিন বছর সময় দেওয়া হলেও মহামারি করোনার কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো। এটিকে বাংলাদেশের ‘ঐতিহাসিক অর্জন’ বলা যায়, এই অর্জন বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার এক মহান মাইলফলক। তবে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এর মধ্যে প্রস্তুতিও শুরু করেছে সরকার। এলডিসি থেকে বের হলে আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ক্রেডিট রেটিং আগের চেয়ে বাড়বে এবং এখনকার চেয়ে কম সুদে ঋণ পাওয়া যেতে পারে। আর্থিক বাজারের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে আরও ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে। অন্যদিকে, চ্যালেঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে উলেস্নখযোগ্য হলো এলডিসি হিসেবে পাওয়া শুল্কমুক্ত ও বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা থাকবে না। এর ফলে রপ্তানি বিশেষত, তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। অন্যদিকে, কৃষিতে ভর্তুকি সুবিধা সীমিত করতে হবে। জলবায়ু অর্থায়নে প্রাধিকার থাকবে না। ওষুধশিল্প পেটেন্ট-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিধিবিধান থেকে এত দিন যে অব্যাহতি পেয়ে আসছে, তা থাকবে না। অন্যান্য ক্ষেত্রেও মেধাস্বত্বের আন্তর্জাতিক নীতিগুলো পালন করতে হবে। এ সব চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে বাংলাদেশকে একটি উত্তরণ কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। এলডিসি থেকে মসৃণ ও টেকসই উত্তরণ নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নেতৃত্বে বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় নীতিকৌশল ও পদক্ষেপ প্রণয়ন করা হচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পর, বাংলাদেশের জন্য অসংখ্য সম্ভাবনা তৈরি হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও রপ্তানি খাতে চাহিদা তৈরি হবে নতুন পণ্যের। অর্থনীতির আকারও বড় হবে। সরকারের নেওয়া নানা অবকাঠামো প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ হলে বিদেশি বিনিয়োগও বাড়বে। তখন পণ্য পরিবহণ, বন্দরের সক্ষমতাও বাড়াতে হবে। এ সবকিছুকে বিবেচনা করে আগামী দশকে অর্থনীতির চাহিদার সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় কর্মকৌশল নির্ধারণ করতে মাস্টারপস্ন্যান তৈরি করছে। এলডিসি উত্তরণে পণ্য রপ্তানিসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাত থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি হলেও সুযোগও তৈরি হবে অনেক। সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে হবে। এলডিসি উত্তরণের ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে বেশি সুদে হলেও ঋণ নিয়ে অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়নে অধিক খরচ করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সিগুলোর দেওয়া রেটিং বাড়বে, যা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক হবে। এই অর্জন বড় ভূমিকা রাখবে দেশের ব্র্যান্ডিংয়ে। এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়াবে। দেশের ভাবমূর্তি ব্র্যান্ডিংয়ে বড় ভূমিকা রাখবে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এটি দেশের জন্য বড় অর্জন- মন্তব্য করে তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, প্রবাসে যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন তাদের জন্যও এ অর্জন সহায়ক হবে। এ ছাড়া সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই পেতে যে ক্রেডিট রেটিংয়ের প্রয়োজন সে ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

ভিশন-২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশকে উন্নত দেশের মহাসড়কে নিতে কাজ চলছে ১০টি মেগা প্রকল্পের। পদ্মা সেতু প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্র, রামপাল বিদু্যৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী বিদু্যৎকেন্দ্র মেট্রোরেল প্রকল্প, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প, কর্ণফুলী টানেল (‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’) : এ ছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। সড়ক ও সেতু বিভাগ কর্ণফুলীর মোহনায় (বঙ্গোপসাগর ও নদীর মিলনস্থল) ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ নির্মাণ করছে। করোনা মহামারির মধ্যেও মেগা প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফাস্ট ট্র্যাংক মনিটরিং টাস্কফোর্স কাজগুলো তদারকি করছে। এ সব প্রকল্পে বাংলাদেশসহ বিদেশি অনেক কর্মী কাজ করছে। করোনাকালের প্রথমদিকে কাজের গতি একটু মন্থর থাকলেও এখন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিটি প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। বর্তমানে পদ্মা বহুমুখী সেতুসহ বেশকিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। এর বাইরে চলছে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের কাজ। খুব শিগরিই এ সব প্রকল্পের সুফল পাবে জনগণ। দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উন্নয়নের সঙ্গে দেশের অগ্রযাত্রাও জড়িত। প্রকৃত উন্নয়ন হলে কেউ অগ্রযাত্রাকে থামাতে পারবে না। বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন বাংলাদেশকে তুলে ধরার উদ্দেশ্য ‘বাংলাদেশ ডিসকভার লিমিটলেস অপারচুনিটিজ’ শীর্ষক একটি ট্যাগলাইনসহ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। দুই দিনের আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে সব মিলিয়ে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার বা সাড়ে ৪২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রতিশ্রম্নতি পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য তার সরকারের দেওয়া সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা লুফে নিতে বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশে একটি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে আমরা অবকাঠামো উন্নয়নসহ সব নীতি সহায়তা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ। বিনিয়োগের জন্য আমরা সম্ভাবনাময় ১১টি খাত চিহ্নিত করেছি। এ সব হচ্ছে, অবকাঠামো, পুঁজিবাজার ও ফাইন্যান্সিয়াল সেবা, তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেক্ট্রনিকস উৎপাদন, চামড়া, স্বয়ংক্রিয় ও হালকা প্রকৌশল, কৃষিপণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ, পাট-বস্ত্র, এবং বস্নু-ইকোনমি। বিশ্বে বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার সৃষ্টি হবে এবং বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ আকর্ষণে সক্ষম হবে। ২০০৮ সাল থেকে পরপর তিনদফা নির্বাচনে জয়লাভের ফলে দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দক্ষ-পরিশ্রমী জনসম্পদ সৃষ্টি, আকর্ষণীয় প্রণোদনার মাধ্যমে উদার বিনিয়োগ-নীতি এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশাল বাজারের মধ্যবর্তী ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গুরুত্ব দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতি আস্থার ফলে ৬০ শতাংশের বেশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আসছে পুনঃবিনিয়োগের মাধ্যমে। গত চার বছরে বাংলাদেশের জিডিপির আকার চারগুণ বেড়েছে। এখানে শিক্ষিত, উদ্যমী, পরিশ্রমী জনশক্তি রয়েছে। লজিস্টিকস খাতের সামগ্রিক উন্নয়ন ও বিকাশে বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দুটি কর্মকৌশলের উপর ভিত্তি করে ২০২৩ সালের মধ্যে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- অধিকতর সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ ও বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণ। এ দুটি কৌশল সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে প্রয়োজন একটি গতিশীল লজিস্টিক খাত। লজিস্টিক খাতের উন্নয়নে অধিকতর বেসরকারি বিনিয়োগ আনয়নে সরকার প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। লজিস্টিকস খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অপরিসীম। ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের পরিবহণ ও অবকাঠামো খাতে প্রায় ২৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। এবং এ খাতগুলোর প্রদত্ত সেবার জন্য বছরে প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার রয়েছে। ব্যবসার আয়তন বৃদ্ধির সঙ্গে এ বাজারও আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির মূল্য বর্তমানের ৩৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার হতে অচিরেই বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৫ সালে প্রায় ৫৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। এ ছাড়া আমদানি পণ্যের মূল্যও বর্তমানের ৫১ বিলিয়ন ডলার হতে বৃদ্ধি পেয়ে ৮৩ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্যবসা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধির সঙ্গে পণ্যাগার, সংরক্ষণাগার, কোল্ড চেইন ব্যবসা, সড়ক, নৌ, সমুদ্র এবং বিমানপথে পণ্য পরিবহণ, নৌ, বিমান ও স্থলবন্দরের কার্যক্রম আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাবে। ২০২২ সালের মধ্যে এ ব্যবসার প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় ৬৪ শতাংশ। এ কারণে এফ শ্রেণির বিমান, যেমন এ-৩৮০, বি ৭৪৭-৮এফ ইত্যাদির অবতরণ ও উড্ডয়ন সহজতর করার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বিনিয়োগ সেবার মান উন্নত করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, অধিক বিনিয়োগ মানে অধিক কর্মসংস্থান এবং উন্নয়নের পথে আরও এগিয়ে যাওয়া। অমিত সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিপুল আয়োজন নিয়ে অপেক্ষা করে আছে। বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগের জন্য যোগাযোগ করছে। এ তালিকায় সিঙ্গাপুর ও দুবাই রয়েছে এমনকি আমেরিকা থেকেও বিনিয়োগের জন্য যোগাযোগ করছে। আমরা গরিব দেশ নই, উন্নয়নশীল ও বিনিয়োগবান্ধব- এটা সবাইকে বোঝাতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নানামুখী উদ্যোগে দেশ ক্রমেই সমৃদ্ধি এবং সাফল্যের নতুন নতুন ধাপ অতিক্রম করে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে সুবর্ণ অবস্থানের দিকে। সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে বিদেশি বিনিয়োগকারিদের কাছে বাংলাদেশে নতুন নতুন বিনিয়োগের ব্যাপারে তিনি যে আহ্বান জানিয়েছেন তা ইতিমধ্যেই দারুণ সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে। এখানে বিনিয়োগ করে বিদেশি বিনিয়োগকারিরা লাভবান হবেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের উজ্জ্বল সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে- এটা তার আহ্বানে সুস্পষ্ট করছেন। তার গৃহীত নানা পদক্ষেপে অমিত সম্ভাবনার নতুন বাংলাদেশকে তিনি বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছেন। আগামী দিনের বাংলাদেশ, অমিত সম্ভাবনার একটি দেশ-আজ এটা সবার কাছে স্পষ্ট।

বাংলাদেশের অর্থনীতি দিনে দিনে ক্রমেই শক্তিশালী এবং বড় হচ্ছে। অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সব বাধাবিঘ্ন, ষড়যন্ত্র, প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করছে বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব। বাংলাদেশের এই এগিয়ে চলা কোনোভাবেই থামানো যাবে না।

লেখক: রেজাউল করিম খোকন – অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার, কলাম লেখক।


সর্বশেষ - রাজনীতি