1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মাদক কমাতে মদ-গাঁজা ছাড়ে আলোচনা সংসদীয় কমিটিতে

নাজিম আজাদ : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১

দেশে মাদকের ব্যবহার কমাতে মদে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

গত ৭ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির ১৮তম সভায় এসব আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত কমিটির ১৯তম বৈঠকে ওই কার্যবিবরণী অনুমোদন দেওয়া হয়।

সংসদীয় কমিটির আলোচনায় বলা হয়—মাদক নির্মূল করতে হলে কিছু পলিসি পরিবর্তন করতে হবে। মাদকের বিকল্প কিছু একটা সামনে নিয়ে আসতে হবে। এজন্য অ্যালকোহল, মদ, গাঁজা এগুলো সম্পর্কে আরও চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে। অ্যালকোহলে কিছুটা ছাড় দিলে মাদক সেবন কিছুটা কমতে পারে। আলোচনায় মদ, বিয়ার বা অ্যালকোহলের ওপর ট্যাক্স কমানোর প্রস্তাব করা হয়।

ওই কমিটির বৈঠকে এসব নিয়ে আলোচনা হলেও বিষয়টি পুরোপুরি সুপারিশে আসেনি। কমিটি তার সুপারিশে শতকরা পাঁচ ভাগের নিচে অ্যালকোহলযুক্ত সব পানীয়ের বোতল/ক্যানে (হান্টার ও বিয়ারসহ) দৃশ্যমান করে, অ্যালকোহলের পরিমাণ উল্লেখ করে ‍মুদ্রণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উৎপাদনকারী এবং আমদানিকারকদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিতে বলেছে।

যুব সমাজকে মাদক থেকে সরিয়ে আনতে বিকল্প ব্যবস্থা অবশ্যই দরকার বলে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সব বিষয়ের ওপর সরকার সার্বিক বিবেচনা করেই পদক্ষেপ নেবে।

সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু অ্যালকোহল সেবন উন্মুক্ত করার বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর বলে মন্তব্য করেন।

এ বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন, “ড্রাগ এবং অ্যালকোহল দুটি ভিন্ন জিনিস। অ্যালকোহলের প্রতি কিছুটা ছাড় দিলে ড্রাগ সেবন কিছুটা কমতে পারে।’ এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট মতামত ও সুপারিশ প্রয়োজন বলে তিনি মত দেন।”

সভায় র‍্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আমেরিকা ও কানাডা গাঁজা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। বাংলাদেশে মাদক কখনও বন্ধ করা যাবে না। তবে হয়তো কিছু দিনের জন্য কমিয়ে আনা যেতে পারে। কারণ, মাদকের বিকল্প কিছু একটা সামনে নিয়ে আসতে হবে।”

তাই অ্যালকোহল, মদ, গাঁজা এগুলো সম্পর্কে আরও চিন্তাভাবনা করা উচিত বলে তিনি মত দেন।

কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু বলেন, “অ্যালকোহল সেবন উন্মুক্ত করার বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। অ্যালকোহল আমদানিতে ট্যাক্স কমানোর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মত নেওয়া যায়। সেই সঙ্গে চোরাই পথে বা অবৈধ পথে আমদানি হলে লাইসেন্স বাতিলসহ আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। অ্যালকোহল কী পরিমাণ মাত্রায় সেবন করা যায়, তার জন্য বিভিন্ন নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞ রয়েছে। ড্রাগ অর্থাৎ মাদক বলতে যেটা বোঝাচ্ছে, সেটার কারণে দেশের তরুণ সমাজ ধ্বংস হচ্ছে। যেসব মাদক সেবন করলে যুব সমাজ নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে, যেমন- ইয়াবা, এলএসডি, আইস, হেরোইন ইত্যাদি বন্ধ করার জন্য কঠোর হতে হবে।”

তিনি বলেন, “৫%-এর নিচে অ্যালকোহলযুক্ত বেভারেজ/পানীয় যেসব প্রতিষ্ঠান বাজারজাত করছে, তাদের নির্দেশ দেওয়া দরকার যে সেসব বোতল বা ক্যানে অবশ্যই দৃশ্যামান করে অ্যালকোহলের মাত্রা লিখে দিতে হবে, যাতে অনুমোদিত মাত্রার অ্যালকোহল নিশ্চিত হলেও কেউ অজান্তে অ্যালকোহল গ্রহণ করতে না পারে।”

মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে ‍বৃহস্পতিবারের বৈঠকে কমিটি সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ অংশগ্রহণ করেন।


সর্বশেষ - রাজনীতি