1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বাংলাদেশের এগিয়ে চলা

নাফিসা বানু : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের নিগড় থেকে বের হয়ে স্বাধীন সত্তা নিয়ে বেঁচে থাকার লক্ষ্যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার জনগণ ঝঁপিয়ে পড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে। ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ দেশ হয় শত্রুমুক্ত। বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের। ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান ও দুই লাখ মা-বোনের সল্ফ্ভ্রমের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আজ স্বাধীন দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে লাল-সবুজের পতাকার দেশ হিসেবে পরিচিত। এ বছর ৫০ বছর পূর্তি হলো আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের। পাশাপাশি সারাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। সেই তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের পরিচিতির দরজায়। জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। স্বাধীনতার পর নতুন স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের যাত্রাপথ ছিল কণ্টকাকীর্ণ, বিপদসংকুল। সেখান থেকে আজ বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সম্মানজনক দেশ ও রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এর কৃতিত্ব বাংলার খেটে খাওয়া মানুষের, আর এই খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য কাজের পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় দিবস উদযাপন করি। ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দিনটিকে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। স্বাধীনতার পর ক্রমান্বয়ে জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত প্রায় সব দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তবে সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দেয় ভুটান। আমাদের জাতীয় জীবনে ১৬ ডিসেম্বর আনন্দ ও গৌরবের একটি দিন। এই দিনটি আমরা জাতীয়ভাবে উদযাপন করে থাকি নানা আয়োজনের মাধ্যমে। বিজয় অবশ্যই আনন্দের, কিন্তু এই বিজয়ের পেছনের ইতিহাস বড়ই কষ্টের। এই বিজয় অর্জনের পথ ছিল বন্ধুর।

১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতীয় উপমহাদেশ দখল করে। পরবর্তী সময়ে ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান ও ভারতের পৃথক্‌করণের মাধ্যমে পাকিস্তান রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। তখন এ অঞ্চলটি অর্থাৎ বাংলাদেশ নবগঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত হয়। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়-অবিচার বাঙালির মনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই ক্ষোভকেই বঙ্গবন্ধু অসীম ধৈর্যের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনায় রূপান্তরিত করেন। বাঙালির স্বাধিকারের ন্যায্য দাবিকে চিরতরে নির্মূল করার জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক জান্তা বাঙালি নিধনের নিষ্ঠুরতা শুরু করে। সেই সময় বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার জন্য রুখে দাঁড়ায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। গড়ে ওঠে মুক্তিবাহিনী। প্রকৃতপক্ষে ৭ মার্চেই বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে বাংলার স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। এই ভাষণে তিনি বাঙালিদের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। সেই ডাকে সাড়া দিয়েই পরবর্তী সময়ে আপামর জনগণ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাস রক্ষক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়ে দেশ ভৌগোলিকভাবে স্বাধীন হয়। নিউজউইক ম্যাগাজিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ৭ মার্চের ভাষণের জন্য রাজনীতির কবি হিসেবে আখ্যায়িত করে। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে নানা অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করে তুলেছেন। বাংলাদেশ এখন অনেকের কাছে অনুসরণযোগ্য।

লেখক: নাফিসা বানু – সদস্য (অর্থ) নির্বাহী বোর্ড, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ।


সর্বশেষ - রাজনীতি