1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

নৃশংসতার ভয়ংকরতম উদাহরণ মার্কিন পুলিশ

অশোক আখন্দ : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১

পুলিশকে বলা হয় ‘জনগণের বন্ধু’। মানুষের জান ও মালের রক্ষক। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে এই কথাটা কোনোভাবেই মেলানো যায় না। জান বাঁচানোর চেয়ে প্রাণ নেওয়াতেই যেন তাদের উৎসাহ বেশি। ‘ভয়ংকর বর্বর’ শব্দযুগল যেন মানানসই। প্রতিদিনই কোনো না কোনো নাগরিককে গুলি করে মারছে পুলিশ। প্রিয় সন্তানকে হারাচ্ছেন কোনো বাবা-মা। এতিম হচ্ছে কোনো কোনো শিশু। এভাবে প্রতি বছর দেশটির হাজারও নিরস্ত্র মানুষ জীবন হারাচ্ছে পুলিশের হাতে। কিন্তু হত্যা ও নির্যাতনের মতো অপরাধের পরও বিচার-শাস্তি নেই বললেই চলে। ফলে দিনদিন আরও বেপরোয়া হয়েছে তারা। সারা বিশ্বে মানবাধিকার নিয়ে অত্যন্ত সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্র সরকার। নিজেদের গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে অন্তঃপ্রাণ দেখাতে নানা তৎপরতা প্রদর্শন করেন দেশটির কর্মকর্তারা। কিন্তু আলোর নিচেই যেন অন্ধকার। খোদ এই দেশটির প্রতি মুহূর্তে নজিরবিহীন সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে চলেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ আর জঘন্যতম হচ্ছে পুলিশি বর্বরতা। এই বর্বরতার তালিকায় রয়েছে হেফাজতে হত্যা, নির্মম নির্যাতন-নিপীড়ন ও প্রকাশ্যে-অপ্রকাশে (গুম) গুলি করে হত্যার মতো রোমহর্ষক সব ধরন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য মতে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন পুলিশের গুলিতে গড়ে তিনজনের বেশি নাগরিক প্রাণ হারাচ্ছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার ৯৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদন মতে, ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৭ বছরে সাড়ে ৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে এক হাজারের বেশি মানুষ তাদের মূল্যবান জীবন হারিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নৃশংসতা নিয়ে সারা বিশ্বেই ব্যাপক হতাশা ও ক্ষোভ রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন পুলিশের হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যা বেড়েছে। বিশেষ করে বেশি বেশি হত্যা শিকার হচ্ছেন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকরা। গত বছর দুই সন্তানের বাবা কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর থেকে বিশ্বজুড়ে বহু প্রতিবাদ-বিক্ষোভও হয়েছে। তবুও পুলিশি হত্যা কমার কোনো লক্ষণই নেই। ২০২০ সালের মে মাসে রাস্তার ওপর ফেলে ঘাড়ে চেপে জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করে পুলিশ। ব্যাপক বিক্ষোভ-প্রতিবাদ সত্ত্বেও পরবর্তী এক বছর অর্থাৎ ২০২০-এর মে থেকে চলতি ২০২১-এর মে পর্যন্ত ১ হাজার ৬৮ জন হত্যার শিকার হয়েছে। গবেষণা ও আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘ম্যাপিং পুলিশ ভায়োলেন্স’র তথ্য মতে, ২০১৩ থেকে ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত হিসাব করে পুলিশির হত্যাকাণ্ডের শিকার মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১৭৯ জনে। টিআরটির প্রতিবেদনে যে ৭ বছরের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তার মধ্যে ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৪৩ জন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। আর ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে বছরে গড় প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় ১১০০ জন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে কমপক্ষে ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি কৃষ্ণাঙ্গ পুলিশের গুলিতে হতাহত হয়েছেন। এই পরিসংখ্যানে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু অথবা অন্য পদ্ধতিতে নিহত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।


সর্বশেষ - রাজনীতি

নির্বাচিত

কানাডায় পোশাক রপ্তানিতে ২০৩৪ পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা

প্রস্তুত চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ২ ঘণ্টার পথ যেতে লাগবে ২০ মিনিট

দেশের রপ্তানি আয় ইতিবাচক ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে

আখচাষে সাফল্য পেয়েছেন নীলফামারীর কৃষকরা

ইউক্রেনকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা দেবে সৌদি আরব

নিয়ম করে পর্নোগ্রাফি দেখতেন রফিকুল মাদানী

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত : সেনাপ্রধান

ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে দেশের সব বিভাগে : নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ছবির স্বত্ব জনগণ বা রাষ্ট্রের

‘সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন’ পুড়িয়ে সব ভস্ম করে দিলো হেফাজত কর্মীরা