1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ছাত্রদল-শিবিরের হাতে নিহতরা কবে ন্যায়বিচার পাবে?

জাফর ইকবাল : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১

শিক্ষাঙ্গনে ছাত্ররাজনীতির ১৫১তম বলি আবরার ফাহাদ। এর আগে আরো ১৫০ টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে যার কোনটিরই বিচার হয়নি। কয়েকটা মামলার রায় হলেও সাঁজা হয়নি। অধিকাংশ হত্যাকণ্ডের তদন্তই শেষ হয়নি। কেয়ামতের আগ পর্যন্ত শেষ হবে বলেও মনে হয় না। তবে আগেই বলেছিলাম শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দেবেন না। ছাড় দেয়নি। ২৫ আসামির ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড আর ৫ জনের যাবজ্জীবন সাঁজা হয়েছে। আপিলেও রায় তেমন নড়চড় হবে বলে মনে হয় না।

এই রায় উৎসৃঙ্খল ছাত্রনেতাদের জন্য একটি সতর্ক বার্তা। ছাত্রলীগটাকে যারা বাপ-দাদার সম্পত্তি মনে করেন তাদের জন্যও একটা বার্তা- ‘এটা শেখ মুজিবের সংগঠন, অপরাধীর প্রশ্রয় এই সংগঠন দেয় না। যে দলেরই হও, শেখ হাসিনার দেশে অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে না।’

শেখ হাসিনার কাছে আমরা বুয়েটে ঘটা আরো অন্তত দুইটি হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। একটি বুয়েট শিক্ষার্থী সাবিকুন নাহার সনি হত্যা এবং দ্বিতীয়টি বুয়েট শিক্ষার্থী আরিফ রায়হান দ্বীপ হত্যা। আশাকরি বুয়েটে ঘটা এই দুইটি হত্যাকাণ্ডের বিচারও তাদের পরিবার পাবে। এটা তাদের পরিবারের অধিকার।

আবরারের পরিবারকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ মাসে ৭৫ হাজার করে টাকা দিচ্ছে যা চলবে ১২ বছর পর্যন্ত। আবরারের মামলা লড়তে বুয়েটের খরচ হয়েছে ৫৫ লাখ টাকা। এটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। এই ক্ষেত্রে বুয়েট প্রশাসন অবশ্যই একজন শিক্ষার্থীর প্রকৃত অভিভাবকের ভূমিকা পালন করছেন এবং এটিই করা উচিত।

তবে সাবিকুন নাহার সনি এবং দ্বীপ হত্যার ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসন নিরব কেনো? সবগুলোই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। তাহলে তাদের পরিবার সমান সুযোগ সুবিধা পাবেন না কেনো? বুয়েট প্রশাসনের এমন দ্বিমুখী আচরণের কারণ কী?

শিক্ষার্থীদের ভুল শোধরানোর জন্যই শিক্ষাঙ্গনে পাঠানো হয়েছে। আবরারের হত্যাকাণ্ড চলে ৬ ঘণ্টা ধরে। এই ৬ ঘণ্টা বুয়েট প্রশাসন কোথায় ছিলো? হল প্রভোস্ট কোথায় ছিলো? প্রক্টর কোথায় ছিলো? শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঙ্গনে পাঠানো হয় পড়াশোনা করে মানুষ হওয়ার জন্য। লাশ অথবা আসামি হওয়ার জন্য নয়। দায়িত্ব অবহেলার দায়ে তাদের বিচার হলো না কেনো? আসামিদের চেয়ে এরা আরো বড় অপরাধী। আমরা বুয়েট প্রক্টর, ভিসি এবং হল প্রভোস্টেরও বিচার চাই। ২৫ জন শিক্ষার্থীকে আসামি বানানোর জন্য তাদের বিচার হওয়া উচিত। ২০ শিক্ষার্থীকে ফাঁসিতে ঝুলানোর পূর্বে হল প্রভোস্টের ফাঁসি হওয়া উচিত।

শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতার বিচার না হওয়ার দ্বারা প্রবর্তন করার জন্য জিয়াউর রহমানে নাম ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। জিয়াউর রহমানেই প্রথম মহসিন হলের সেভেন মার্ডারের ঘটনায় সাঁজাপ্রাপ্ত আসামি শফিউল আলম প্রধানকে মুক্তি দিয়ে তাকে রাজনীতিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

ছাত্র রাজনীতিকে পথভ্রষ্ট করার জন্যও সাবেক ডাকসু ভিপি আমানুল্লাহ আমানের নামও ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। নব্বয়ের দশকে যখন আমানুল্লাহ আমান ডাকসু’র ভিপি নির্বাচিত হন তখন তাকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্লোগান দেয়া হতো, ‘খালেদা জিয়ার কামান, আমানুল্লাহ আমান।’ এর আগে আমাদের ছাত্র রাজনীতির ছিলো গৌরবময় ইতিহাস।

লেখক: জাফর ইকবাল, সাংবাদিক ও বিতার্কিক।


সর্বশেষ - রাজনীতি