1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বেগম রোকেয়ার আদর্শ আজও আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায় : প্রধানমন্ত্রী

নাজিম আজাদ : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেগম রোকেয়া ছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন আধুনিক নারী। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন সমাজ তথা রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নের জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন। তার এই উপলব্ধি ও আদর্শ আজও আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়।

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি। একই দিনের কর্মসূচিতে নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় পাঁচজন বিশিষ্ট নারীকে ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২১’ দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আমি বাঙালি নারী শিক্ষার প্রসার ও নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। বেগম রোকেয়ার জীবনাচরণ নারী শিক্ষার প্রসারে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ বছর ‘বেগম রোকেয়া পদক’ পেয়েছেন আমি তাদের আন্তরিক অভিনন্দন  জানাচ্ছি।

বাংলাদেশে নারী শিক্ষার প্রসার ও নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পথিকৃৎ ছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এবং সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে নারীর সমান অধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া সম্ভব নয়। তাই তিনি নারীর সমান অধিকার, সমমর্যাদা, সাম্য ও স্বাধীনতার অপরিসীম গুরুত্ব অনুধাবন করে সংবিধানে নারীর ক্ষমতায়নের শক্ত ভিত রচনা করেছিলেন। জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষিত রাখার বিধান করেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭২ সালে চাকরির ক্ষেত্রে নারীদের জন্য শতকরা ১০ ভাগ কোটা সংরক্ষণ করেন এবং ১৯৭৩ সালে তার গৃহীত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নারীর জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেন।

আওয়ামী লীগ সরকার নারীর মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি সর্বত্র নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারীরা এখন নিজ নিজ ক্ষেত্রে সমহিমায় ও সক্ষমতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়নে নারীর অংশগ্রহণ এখন দৃশ্যমান। নারী উন্নয়নের স্বীকৃতি হিসেবে আমরা জাতিসংঘের ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছি। এসডিজি অর্জনে ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে থাকায় আমরা ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ অর্জন করেছি। তাই বাংলাদেশ আজ নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিশ্বের কাছে অনুকরণীয়।

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন যারা

নারী শিক্ষায় কুমিল্লার প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলা, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য যশোরের অর্চনা বিশ্বাস, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখায় কুমিল্লার শামসুন্নাহার রহমান পরাণ (মরণোত্তর), সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা এবং পল্লী উন্নয়নে কুষ্টিয়ার গবেষক ড. সারিয়া সুলতানা।

পদকপ্রাপ্তদের প্রত্যেকে রেপ্লিকাসহ ১৮ ক্যারেটের ২৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক ও সম্মাননাপত্র পেয়েছেন। এছাড়া তাদের চার লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদেরকে পদক ও সম্মাননাপত্র তুলে দেওয়া হয়। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘বেগম রোকেয়া দিবস’ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি তিনি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা তাদেরকে পদক তুলে দেন। উপমহাদেশে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর ‘বেগম রোকেয়া দিবস’ পালন করা হয়।


সর্বশেষ - রাজনীতি