মুজিববর্ষ উপলক্ষে নারীদের ক্ষমতায়নের অংশ হিসেবে পঞ্চগড়ে দরিদ্র ও মেধাবী কিশোরীদের সাইকেল উপহার দিয়ে ‘কন্যারত্ন’ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা এখন এই জেলার অ্যাম্বাসেডর।
জেলার ৪৩টি ইউনিয়ন পরিষদের কিশোরীদের সাইকেল উপহার দেয়ার জন্য চেয়ারম্যানদের অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এলজিএসপি প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা থেকে প্রত্যেক ইউনিয়নের ৪০ কিশোরীকে সাইকেল দেয়া হয়।
গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যাবর্তন দিবসে সাইকেল দেয়া কার্যক্রম শুরু হয়। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এক হাজার ৭২০ জনকে সাইকেল দেয়া হয়েছে।
এক কন্যারত্নের বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, তার মেয়েকে ‘কন্যারত্ন’ ঘোষণা করায় তিনি গর্বিত। নারীর মর্যাদা ও অধিকারে তার মেয়ে কাজ করছে।
‘আমাদের কন্যারত্ন, আমাদের অ্যাম্বাসেডর, সুস্থ কিশোরী নিরাপদ আগামী’ প্রতিপাদ্য নিয়ে জুম অ্যাপের মাধ্যমে কিশোরীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। বাল্যবিবাহ, যৌতুক, প্রজনন স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সচেতন করে তোলা হচ্ছে। তারা সচেতন করছেন পরিবার এবং এলাকার বাকি কিশোরী ও নারীদের।
তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ‘কন্যারত্ন’ রিয়া আকতার জানান, এই উদ্যোগ তাদের অনেক কিছু শেখাচ্ছে। সমাজে নারীর ওপর যে নির্যাতন ও প্রতিবন্ধকতা, তা তারা এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিরোধ করতে চান।
তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে স্বনামধন্য সফল নারীরা জুম অ্যাপের মাধ্যমে উঠান বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।
সম্প্রতি আলোচনায় অংশ নেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তারা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক সাবিনা জানান, তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ফেসবুক লাইভ ও স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। ফলে ওই কিশোরীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবক ও এলাকাবাসীও বিষয়গুলো সম্পর্কে সতেচন হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বলেন, ‘নারীদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে সারা দেশেই এমন পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।’