1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

হার না মানা লড়াকু নেতৃত্ব শেখ হাসিনা

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩

সাধারণ নির্বাচন এসে গেলো। জনগণ আসন্ন নির্বাচনের পরিবেশ যেমনটা দেখছে, এতে ধারণা করা যায়, যারা নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছিল তাদের পক্ষে ‘নির্বাচন-২৪’ আর ঠেকানো যাবে না। আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বাড়বে। তৃণমূলে বসবাস করা মানুষ ‘ভোট’ প্রয়োগ করতে চায়। বিএনপির প্রতীক ধানের শীষে ভোট দেয়ার আগ্রহ থাকা সমর্থকদের ভেতরও বিকল্প চিন্তা তৈরি হয়েছে। উচ্চপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা, সচিব পর্যায়ের প্রশাসনের উচ্চপদস্থ মানুষ, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ধারণা পাওয়া যায়, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। বিএনপির অনেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন- এমন হিসেব চলছে বিভিন্ন স্তরে।

তৃণমূলে হাট-বাজারের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মাঠে-ঘাটে, শহর-বন্দরে সর্বত্র মানুষের মুখে একমাত্র আলোচনা ‘নির্বাচন’। কে প্রার্থী হচ্ছে, কীভাবে প্রার্থী হচ্ছে, এমনকি স্বতন্ত্রপ্রার্থীর নামও উচ্চারিত হচ্ছে মানুষের মুখে। বিভিন্ন ছোট ছোট দল ও নানা রকম রাজনৈতিক জোট নির্বাচনে যোগ দেবে। প্রার্থী নিয়ে হিসাব-নিকাশ করা হচ্ছে। জনগণ বুঝে গেছে, আন্দোলনের নামে সরকার উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা ছিল বিএনপি-জামায়াতের। এ কারণেই শেখ হাসিনার সরকার কঠোর হয়ে পড়ে। জনগণের অনুমান এটা যে, বিএনপির গাঁথা মালায় বিএনপিই গর্তে পড়েছে এখন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগ, পার্লামেন্ট বিলুপ্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে বিএনপির আন্দোলন ছিল দীর্ঘদিন। এখন আর এদিকে মানুষের আকর্ষণ নেই। বিএনপি নির্বাচনে না এলেও নির্বাচন হবে- এমন দৃঢ়তা এখন অনেকেরই। বিএনপিকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দলটি নির্বাচনে আসুক, কার কতো দৌড়, তা দেখা যাক। জনগণ কাকে চায়, তা যাচাই করা যাক। বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এসব কথা বলেছেন শেখ হাসিনা। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা নির্বাচনে আসবে না। নির্বাচনে আসার মতো তাদের আস্থা-বিশ্বাস নেই। একটা দলের মাথা কোথায়? বিএনপি কি বাংলাদেশে একজন নেতাও পেলো না, যাকে তারা দলের চেয়ারম্যান করতে পারে? ইতোমধ্যে যেসব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে, তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, সন্দেহ নেই।’

আগামী নির্বাচন রুখে দেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব। অবশ্য এ হুঙ্কার এদেশের জনগণ বহুবার শুনেছিল। বিএনপি নেতৃত্বাধীন যারা অতীতে এমন হুঙ্কার দিয়ে নির্বাচনের বিরোধিতা করেছিল তাদের পরিণতিও জনগণ দেখেছে। আর হঙ্কারদাতাদের এখনকার অবস্থাও মানুষ দেখছে। বিএনপির কৌশল ও কর্মকাণ্ডে জনগণ ক্ষুব্ধ।

নির্বাচন কমিশনের আইন শুনতে হবে, মানতেও হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের বহু সুযোগ এসেছিল বিএনপির। গাড়ি পুড়িয়ে, মানুষ পুড়িয়ে, অবরোধের নামে অগ্নিসংযোগ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। আমরা জানি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম পূরণের একটি নির্দেশিকা রয়েছে। প্রত্যেক প্রার্থীকেই এই ফরম পূরণ করতে হয়। আইনে রয়েছে, নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে প্রার্থী কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে থাকলে মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হতে হবে। এবার হিসেব করুন কেউ। সুতরাং আইন তার স্বাভাবিক গতিতেই চলবে। এটা সবাই জানে, নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে, অর্থাৎ দুর্নীতি মামলায়ও খালেদা জিয়া দণ্ডিত। তিনি জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলা ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্র্প্তা। খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানও দণ্ডিত। দুর্নীতির দুটি মামলায় তার যথাক্রমে ৭ এবং ১০ বছর কারাদণ্ড হলেও তা ছাপিয়ে ভয়ঙ্কর একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় তার সাজা হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সুতরাং টালবাহানা করার দরকার আছে কি? বিএনপির বহু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যানবাহন ভাঙচুর করা, ত্রাস সৃষ্টি, সন্ত্রাস, অন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা মামলা, এ ধরনের কয়েকটি ঘটনার বিচার হয়ে গেছে, বিচার চলছে। বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নেতা-কর্মীর সাজা হচ্ছে। তারা অনেকেই এখন দণ্ডিত। দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান অবৈধ অস্ত্র ও হত্যাকাণ্ডসহ চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন মামলায় আগেই দণ্ডিত হয়েছিলেন। ইসির আইন অনুযায়ী দণ্ডিত ব্যক্তির নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।

আসলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচন করতে না পারলে নির্বাচনে যাবেইবা কেন বিএনপি। দলটি তো তাদের পকেটের। দলে যোগ্য ও সিনিয়র বহু নেতা থাকলেও তারা কেউই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হতে পারেননি দলের। কারণটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারা কঠিন নয়।

মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগ বিএনপির বিরুদ্ধে। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুখ্যাত জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব নেন খালেদা জিয়া। তিনি রাজাকার ও আলবদর নেতাদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেন।

বাস্তবতা অনেক কঠিন। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আইনের মাধ্যমে আগেভাগেই অপরাধী ও খুনিদের বিচারের মুখোমুখী করতে হবে। জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা দীর্ঘদিন থেকেই করে আসছে বিএনপি-জামায়াতসহ কিছু ইসলামপন্থী সমমনা দল। পুলিশ হত্যা করে, সাংবাদিকের ওপর নির্যাতন-হামলা চালিয়ে আর জনগণের ওপর পেট্রলবোমা নিক্ষেপ, গ্রেনেড, বোমা নিক্ষেপ, সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও করে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না।

লেখক : দীপক চৌধুরী – সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট, কথাসাহিত্যিক ও ফিল্মমেকার


সর্বশেষ - রাজনীতি