1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

খুলনার উন্নয়নে পাঁচ মেগা প্রকল্প

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর খুলনার অর্থনীতিকে গতিশীল করা ও উন্নয়নের মহাসড়কে এই বিভাগকে তুলে ধরতে বাস্তবায়ন হয়েছে পাঁচ মেগা প্রকল্প। এর মধ্যে মোংলা বন্দরের উন্নয়নের ফলে এখান দিয়ে পোশাক শিল্পের চালান যাচ্ছে ইউরোপে। এই বন্দর দিয়ে বেড়েছে গাড়ি আমদানি। বন্দরের আশপাশে গড়ে উঠেছে শিল্প-কারখানা। একইসঙ্গে বন্দরকেন্দ্রিক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে চালু হচ্ছে খুলনা-মোংলা রেললাইন।

এদিকে, খুলনা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়নে খুলনা অঞ্চলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে।

মোংলা বন্দরের উন্নয়ন

আমদানি-রফতানির চাপ সামলাতে বন্দরে সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ৭৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দরে ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পে বন্দরের পশুর চ্যানেলের ইনার বারে জয়মণি ঘোল থেকে বন্দর জেটি পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রায় ৬ হাজার ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘আপগ্রেডেশন অব মোংলা পোর্ট’ প্রকল্পে জেটিতে কনটেইনার টার্মিনাল, হ্যান্ডলিং ইয়ার্ড, ডেলিভারি ইয়ার্ড নির্মাণ, সার্ভিস ভেসেল জেটি শেড, ইকুইপমেন্ট ইয়ার্ড, হারবার ক্রাফট কেনা হচ্ছে।

খুলনা-মোংলা রেললাইন

৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত খুলনা-মোংলা রেললাইন গত ৯ নভেম্বর উদ্বোধন হয়েছে। রেললাইন চালুর মধ্য দিয়ে এই বন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভারত, নেপাল ভুটানের সঙ্গেও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হবে। আমদানিকারকরা বলছেন, বন্দরের সঙ্গে রেলসংযোগ না থাকায় পণ্য পরিবহনে ভোগান্তিতে এতদিন বড় মালবাহী জাহাজ বন্দরে ভেড়েনি। এ অবস্থায় মোংলা বন্দরকে রেল সেবার আওতায় আনা হচ্ছে। যা আঞ্চলিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত

৬০৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে খুলনা নগরীর ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাসহ নতুন-পুরনো রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, করোনা সংকট ও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছুটা দেরি হয়েছে। এখনও নগরীতে ২৫০-৩০০ রাস্তা ড্রেন খাল সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে। শহরের উন্নয়নে সবাই যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতা করতে হবে।

সুপেয় পানি সরবরাহ

২ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীতে সুপেয় পানি সরবরাহ প্রকল্প চালু করেছে খুলনা ওয়াসা। প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাটের মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে পানি আনা হচ্ছে ট্রিটমেন্ট প্লান্টে। এখান থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে নগরবাসীকে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প

৮২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে খুলনা নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছে সিটি করপোরেশন। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে নগরবাসী।

খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেন, এ অঞ্চলের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। মোংলা বন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যের বিকাশ ঘটেছে। ২৪টি এলপিজি ফ্যাক্টরি হয়েছে মোংলায়। ইপিজেড তৈরি হয়েছে। খুলনা-মোংলা ছয় লেনের কাজ চলছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থনীতির দরজা খুলছে।

খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর খুলনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। যা খুলনা অঞ্চলের অর্থনীতির উত্থানের অমিত সম্ভাবনা তৈরি এবং আবারও শিল্পনগরীতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। অর্থাৎ এই একটি সেতুই হবে ভবিষ্যৎ খুলনার উন্নয়নের অন্যতম প্রধান ‘অনুঘটক’।

বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাতিজা শেখ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে খুলনার মাটি ও আত্মার একটা সম্পর্ক আছে। আমরা না চাইতেই প্রধানমন্ত্রী দিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী খুলনার মানুষকে অনেক ভালোবাসেন। পদ্মার এপারের মানুষ ওনাকেও খুব বিশ্বাস করে। খুলনার মানুষ নির্বাচনে ওনাকে ভোট দিয়ে প্রমাণ করবে যে তারা ওনার সঙ্গে রয়েছে।


সর্বশেষ - রাজনীতি