1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ: ভুটানের সব ও ভারতের আসবে ৬০ পণ্য

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ চালুর মধ্য দিয়ে দুদেশের বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এমনটাই আশা করছেন ব্যবসায়ী সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে এ লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে। অনুমতি মিলেছে ভুটানে উৎপাদিত সব পণ্য (সুতা ও আলু ব্যতীত) ও ভারত থেকে আমদানি করা হবে ৬০টি পণ্য। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের পণ্য উল্লেখিত রেলপথ দিয়ে রফতানি করা যাবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপন থেকে আমদানির-রফতানির এ তথ্য জানা গেছে।

অনুমোদিত আমদানিযোগ্য পণ্য হলো- গবাদি পশু, মাছের পোনা, তাজা ফলমূল, গাছগাছড়া, বীজ, চাল, গম, পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, বলকে, কোয়ার্টজ, শুঁটকি মাছ, সাতকরা, আগরবাতি, জিরা, তরল রাবার, মেইজ, বড় পাথর, সয়াবিন বীজ, বাঁশ জাতীয় পণ্য,অর্জুন গাছের পাউডার, পান,সিএনজি অটোরিক্সা পার্স, কাজু বাদাম, কাগজ, চিনি, জেনারেটর, ভাঙ্গা কাঁচ, চকোলেট, বেবি ওয়াইপার, কনফেকশনারি দ্রব্যাদি, বিটুমিন, পান, টমেটো, মেথি বীজ, শুকনা তেঁতুল, শুকনা কুল, ফ্লাই অ্যাশ, সকল প্রকার খৈল, ফায়ার ক্লে, থান ক্লে, মার্বেল চিপস, তিল, সরিষা, সুপারি, স্ক্র্যাপ অ্যান্ড ওয়েস্ট (আয়রন/স্টিল), গ্রানাইট স্ল্যাব, ডাল, গমের ভুসি, ছোলা ও বাঁশ। তবে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ইতোপূর্বে এসব পণ্য আমদানির অনুমতি ছিল। এ প্রজ্ঞাপনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আরও চারটি পণ্য আমদানির অনুমতি মিলেছে, তা হলো- ভুসি, ডাল, বুট ও বাঁশ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন এ প্রজ্ঞাপন জারির কারণে ব্যবসায়িদের মধ্যে কিছুটা আগ্রহ বেড়েছে। রেলপথের আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হলে কয়েক মাসের মধ্যেই ভারত থেকে পণ্য আমদানি শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা।

আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন চালু হলে দুদেশের বাণিজ্যে আরও গতি আসবে। বিশেষ করে ভূটান ও ভারত থেকে পাথর ও গম আমদানি আমাদের জন্য সহজ হবে। পাশাপাশি রেলপথে ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে পরিবহন ব্যয় অনেকটা কমে আসবে।

তিনি আরও বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে ইতিমধ্যেই পণ্য আমদানি-রফতানির জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে ভারতে রেললাইনের কিছু অংশের কাজ বাকি থাকায় এখনই বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না। আশা করছি কয়েক মাসের মধ্যে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হবে। এতে করে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেন বাবুল বলেন, ‘আখাউড়া স্থলবন্দরের বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। তবে রেলপথ দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানির অনুমতি মেলায় এখন বাণিজ্যে নতুন ধারা ফিরে আসবে। ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত হয়ে দুদেশের মধ্যে রেল যোগাযোগের উদ্বোধন হয়েছে ১ নভেম্বর। বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দুদেশের মধ্যে আরও একটি রেল যোগাযোগ স্থাপন হলো।

এদিকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য মুখিয়ে আছেন ভারতীয়রা। বিশেষ করে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার যাওয়াটা তাদের জন্য সহজ হবে। এছাড়া ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ মনে করছেন বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে কলকাতা হয়ে সেদেশের বিভিন্নস্থানে গেলে তাদের অনেক সময় বেঁচে যাবে। তবে এখনই এটা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ বাংলাদেশ হয়ে আগরতলা-কলকাতা ট্রেন চলাচল করার ক্ষেত্রে বাধা মিটার গেজ রেললাইন। এর কারণ হচ্ছে, আখাউড়া থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার পুরোটাই এখনও মিটার গেজ রয়ে গেছে। এক্ষেত্রে যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই পথটুকু ব্রডগেজ লাইনে পরিণত না করা হয়, ততক্ষণ বাংলাদেশ হয়ে সরাসরি আগরতলা থেকে কলকাতা যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ভারতের অভ্যন্তরের পুরোটাই ব্রজগেজ বিধায় বাংলাদেশ থেকেও যাওয়া সম্ভব না।

আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন ডুয়েল গেজ প্রকল্পের পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া জানান, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে আগরতলা থেকে কলকাতা দ্রুত সময়ে ট্রেন চলাচলের সম্ভাবনা নেই। কারণ এই পথটি চালু করতে হলে আখাউড়া থেকে টঙ্গী পর্যন্ত পুরোটা অংশে ব্রডগেজ লাইন করতে হবে। এ অংশটি এখনও ব্রডগেজে রূপান্তরিত করার বাকি আছে। এটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার বলেও জানান তিনি।

২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রথমে প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ১৮ মাস। এরপর করোনার প্রভাবসহ নানা কারণে পাঁচ দফা এর মেয়াদ বাড়ানোর পর এই রেলপথের উদ্বোধন হয়।

আখাউড়া-আগরতলা দুই দেশের রেলপথের দৈঘর্য ১২.২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬.৭৮ কিলোমিটার। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।


সর্বশেষ - রাজনীতি