1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পেঁপে চাষ: বছরে লাভ ১০ লাখ টাকা

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২২

দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করা সবার নজর কাড়ছে দৃষ্টিনন্দন এক পেঁপে বাগান। লালমাটির ঘন জঙ্গলে ঘেরা উঁচু পাহাড়। একসময় এ জঙ্গলে মানুষের যাতায়াত ছিল না বললেই চলে। সন্ধ্যা নামলেই ঘটতো ডাকাতি। তবে সেই জঙ্গল এখন রূপ পেয়েছে দৃষ্টিনন্দন পেঁপে বাগানে। সারিবদ্ধ গাছে ঝুলে আছে সবুজ পেঁপে। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার নিতাইশা মোড়ে গড়ে ওঠেছে এ পেঁপে বাগান। স্থানীয় বদরুল আলম বুলু ও নাজিমুদ্দিন এখানে পেঁপে চাষ করেছেন। প্রত্যাশা করছেন এ বাগান থেকে বছরে লাভ হবে অন্তত ১০ লাখ টাকা।

প্রায় চার বছর আগে নিজ বাড়িতে ছোট পরিসরে রেডলেডি জাতের পেঁপে চাষ করে সফলতা পান বুলু। সেই সফলতার অনুপ্রেরণায় নাজিমুদ্দিন নামে একজনকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন টপলেডি জাতের পেঁপে চাষ। এ জন্য ৪০ হাজার টাকায় দুবছরের জন্য একখণ্ড জমি লিজ নেন তারা।

সরেজমিন দেখা যায়, প্রায় সাড়ে ৭শ পেঁপে গাছ রয়েছে বাগানটিতে। গাছে গাছে ঝুলছে বিভিন্ন আকৃতির পেঁপে। চোখ শীতল করা সবুজের ভিড়ে কিছু পেঁপে হালকা হলুদ বর্ণ হয়েছে। হলুদ বর্ণ ধারণ করা পেঁপেগুলো গাছ থেকে সংগ্রহ করছেন দুজন শ্রমিক। এসব পেঁপে যাচ্ছে ঘোড়াঘাটসহ আশপাশের উপজেলার ফলের দোকানগুলোতে।

বগুড়া থেকে হাইব্রিড জাতের এ টপলেডি পেঁপের চারা সংগ্রহ করেছেন বুলু। তিনি ২৫ টাকা দরে প্রায় ৮০০ চারা কিনেছেন। তার মধ্যে নানা কারণে ৩০-৩৫টি নষ্ট হয়ে গেছে। দুবছর পর্যন্ত ফল দেবে এ পেঁপে গাছ। গাছপ্রতি বছরে ৫০ কেজি ফল পাওয়ার প্রত্যাশা বদরুল আলম বুলু ও নাজিমুদ্দিনের।

বদরুল আলম বুলু বলেন, ‘আমি কৃষিতে ডিপ্লোমা শেষ করে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করছি। বাগানে আমাদের প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি দুবছরে এসব গাছ থেকে ৮০ হাজার কেজি পেঁপে সংগ্রহ করতে পারব। প্রাথমিকভাবে আমরা ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা মণ দরে স্থানীয় ফলের দোকান ও সবজির দোকানে বিক্রি করছি। তাতে এ বছর ১০ লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই আমাদের বাগানে আসছেন এবং দেখেশুনে পেঁপে চাষে আগ্রহ প্রকাশ করে বিভিন্ন পরামর্শ নিচ্ছেন। তবে আমাদের পেঁপে চাষে কৃষি বিভাগ বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে বলেই আমাদের কাজ আরও সহজ হয়েছে।’

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইখলাছ হোসেন সরকার বলেন, ‘ঘোড়াঘাটের আবহাওয়া ও মাটি বিভিন্ন জাতের পেঁপে চাষের জন্য বেশ উপযোগী। বর্তমানে এ উপজেলায় দুই হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ হচ্ছে। পেঁপে চাষের সবচেয়ে সুবিধার দিক হলো মিলিবাগ রোগ ছাড়া আর তেমন কোনো রোগবালাই নেই। নিয়মিত এ রোগের প্রতিরোধক কীটনাশক স্প্রে করলে মিলিবাগ থেকে পেঁপেকে রক্ষা করা খুব সহজ। আমরা চাষিদের নানাভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।’


সর্বশেষ - রাজনীতি