1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বিক্রির আশায় বাংলাবাজার ঘাটে অর্ধশত স্পিডবোট

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২২

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর জনশূন্য এক বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার ঘাট। নৌরুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলো বিকল্প নৌরুটে স্থানান্তর করা হয়েছে এরই মধ্যে।

নৌরুটের দ্রুতগতির বাহন হিসেবে পরিচিত স্পিডবোটগুলো কিছু বিক্রি হলেও বাকিগুলো পড়ে আছে ঘাটে। স্পিডবোট মালিকদের অনেকেই ঘাট বন্ধ হওয়ার আগেই নিজেদের বোট বিক্রি করে দিয়েছেন। ঘাট বন্ধের পর কিছু কিছু বোট বিক্রি হয়েছে। তবে বিক্রি না হওয়ায় এখনো বাংলাবাজার ঘাটে বেশ কিছু বোট পড়ে আছে। সেগুলোকে বিক্রির চেষ্টা করছেন মালিকেরা।

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঘাটে পড়ে থাকা স্পিডবোটগুলোর মধ্যে বেশিরভাগের ইঞ্জিনে ত্রুটি থাকায় বিক্রি হয়নি। ত্রুটি সারিয়ে বিক্রি করার তেমন আগ্রহ নেই মালিকদের। তাছাড়া পুরোনো বোটের ক্রেতাও সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না।

জানা গেছে, এক সময়ের ব্যস্ততম ঘাটটি এখন জনমানব শূন্য। তুলনামূলক কম দামেই বিক্রি হয় পুরোনো বোটগুলো।

নৌরুটে থাকা ৮৭টি লঞ্চের বেশিরভাগই দেশের অন্য একাধিক নৌরুটে স্থানান্তর করা হয়েছে। লঞ্চ ও ফেরি ঘাটের পন্টুন আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে সর্বশেষ অনুমতিপ্রাপ্ত প্রায় দেড় শতাধিক স্পিডবোট ছিল। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর শিমুলিয়া প্রান্তের স্পিডবোটগুলোর বেশিরভাগই বিক্রি করে দিয়েছেন মালিকেরা। এছাড়া বাংলাবাজার ঘাটের কিছু বোট বিক্রি করে দিলেও অর্ধশত স্পিডবোট এখনো রয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

মো. সলেমান নামে স্থানীয় এক স্পিডবোটচালক জানান, সেতু চালু হওয়ার পর ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের কিছু বোট বিক্রি করা হয়েছে। কিছু বোটের শুধু ইঞ্জিন বিক্রির পর বডি রয়ে গেছে। প্রায় দুই ডজন স্পিডবোট এখনো ঘাটে রয়েছে। ঘাটের এক পাশে বেঁধে রাখা হয়েছে বোটগুলো। ক্রেতা পেলেই বিক্রি করে দেওয়া হবে।

আব্দুস শুকুর নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, স্পিডবোটচালকদের অনেকেই ঢাকা চলে গেছেন। কেউ রঙের কাজ করেন ঢাকায়। গ্রামে অনেকে ইজিবাইক চালাচ্ছেন।

বাংলাবাজার লঞ্চ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ৮৭টি স্পিডবোট চলাচল করত। বাংলাবাজার, কাঁঠালবাড়ী এলাকার স্পিডবোটের ব্যবসা রয়েছে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দেশের বিভিন্ন নৌরুটে এ ঘাটের কিছু স্পিডবোট স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকিগুলোও অন্যত্র চালানোর চেষ্টা চলছে।

বাংলাবাজার ঘাট স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি ও পাঁচ্চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হাওলাদার বলেন, সেতু চালুর পর স্বাভাবিকভাবেই ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। ঘাটে আমাদের শতাধিক স্পিডবোট ছিল। যেগুলোর বেশ কিছু বিক্রি হয়ে গেছে। কিছু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ঘাটে পড়ে আছে। এছাড়া বেশ কিছু বোট বিক্রি হয়নি। বিক্রির চেষ্টা করছেন মালিকেরা। সেগুলো ঘাটেই বেঁধে রাখা হয়েছে। ক্রেতা পেলে বিক্রি করা হবে সেগুলো।

বাংলাবাজার এলাকার স্পিডবোটচালক মো. শাহিন আলম জানান, ৪০ সিসি ইঞ্জিনের স্পিডবোটের দাম সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখের মধ্যে, ৭৫ সিসি ইঞ্জিনের বোটের দাম আট লাখ টাকার মতো এবং ২০০ সিসি বিক্রি হয় ১৪ লাখ টাকায়। এর মধ্যে বাংলাবাজার ঘাটের ৪০ সিসি ও ৭৫ সিসির কিছু বোট অর্ধেক দামে বিক্রি করতে পেরেছেন মালিকেরা। বাকিগুলো পড়ে আছে। তাছাড়া ৭৫ ও ২০০ সিসির বোট অর্ধেক দামেও কিনতে চান না কেউ।


সর্বশেষ - রাজনীতি