1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

নৌবাহিনী সদস্য রনিকে খুন করা হয়েছে : পিবিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২

তিন বছর আগে নৌবাহিনীর সদস্য রনি মিয়ার খণ্ডিত মৃতদেহ পাওয়া যায় রাজধানীর বনানী এলাকার রেললাইনে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা বলে ধারণা করা হয়। তবে পরে বেরিয়ে আসে ভিন্ন ঘটনা। তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা বলছেন, বাগ্‌বিতণ্ডার জের ধরে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর হত্যাকাণ্ড আড়াল করতে লাশ ফেলে রাখা হয় রেললাইনে। এতে জড়িত দু’জনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ ও নানামুখী তদন্তে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।পিবিআই অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের (দক্ষিণ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারওয়ার জাহান বলেন, রনি হত্যায় জড়িত ছিল চারজন। তাদের মধ্যে ইয়াছিন আরাফাত ও শেখ রেজাউল করিম শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে ও পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে অপরাধ স্বীকার করেছে। জড়িত অপর দু’জনের ঠিকানা না পাওয়ায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর বনানীর গলফ ক্লাবের প্রাচীর-সংলগ্ন রেললাইনে রনি মিয়ার রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা জানান, বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশার-এ বেসিক এয়ার ইন্টেলিজেন্স কোর্স করছিলেন রনি মিয়া। ঘটনার আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। লাশ উদ্ধারের পর প্রথমে ধারণা করা হয়, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে মৃতদেহ যেভাবে পাওয়া গেছে, সেই ভঙ্গিটি সন্দেহের জন্ম দেয়।

এর মধ্যে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রেনে কাটা পড়ার আগেই শ্বাসরোধে তাঁর মৃত্যু হয়। এ পর্যায়ে কীভাবে, কী ঘটেছে তা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়। পুলিশ সদরদপ্তরের নির্দেশে ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পিবিআই এ মামলার তদন্ত শুরু করে।

যেভাবে হত্যাকাণ্ড

আদালতে দেওয়া ইয়াছিনের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, কমলাপুর রেলস্টেশনে গজল গেয়ে ভিক্ষা করত সে। হত্যায় জড়িত শামীম, মিন্টু ও আকলিমাও স্টেশনে থাকে। সেই সূত্রেই তাদের পরিচয়।

ঘটনার আগের রাতে শামীম তাকে বনানী নিয়ে যায়। তারা রেললাইনের পাশের বাগানে গিয়ে দেখতে পায়, মিন্টু ও আকলিমা গাঁজা সেবন করছে। তখন রনিও সেখানে ছিলেন। মাদক সেবনের ওই স্পটে তাঁর যাতায়াত ছিল। সেই রাতে তারা ওখানেই ঘুমায়। ভোরে রেললাইন ধরে হাঁটার সময় রনির কাছে টাকা চায় শামীম। তিনি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বাগ্‌বিতণ্ডা বাধে। এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। তখন চারজন মিলে রনিকে মাটিতে ফেলে দেয়।

ইয়াছিন ও মিন্টু তাঁর দুই পা এবং আকলিমা মাথা চেপে ধরে। শামীম দুই হাত দিয়ে গলা টিপে শ্বাসরোধ করলে রনির মৃত্যু হয়। এর কয়েক মিনিট পরই কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা তিস্তা এক্সপ্রেস বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল। তখন তারা তড়িঘড়ি করে মৃতদেহটি রেললাইনে ফেলে রাখে। পরে মৃতের মানিব্যাগ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা ও তাঁর মোবাইল ফোন ইয়াছিনের হাতে দেওয়া হয়। সে ওইদিনই গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে চলে যায়। তার তথ্যের ভিত্তিতে ২৯ মার্চ ময়মনসিংহের তারাকান্দা থেকে শামীমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে অপরাধ স্বীকার করে এবং সরেজমিনে কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তা দেখায়।


সর্বশেষ - রাজনীতি