1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সাশ্রয়ী বীজ বপন যন্ত্র উদ্ভাবন করলো ব্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২

রাইস ট্রান্সপ্লান্টার বা ধানের চারা রোপণ যন্ত্রের উপযোগী ট্রে’তে ম্যাট টাইপ চারা উৎপাদনে একটি সাশ্রয়ী বীজ বপন যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের বিজ্ঞানীরা।

শনিবার (১২ নভেম্বর) সকালে ব্রির ফার্ম মেশিনারি বিভাগের সভাকক্ষে এক কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক, দেশীয় উদ্যোক্তা ও ব্যবহারকারী কৃষদের মাঝে যন্ত্রটি হস্তান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা অনুবিভাগ) মাহবুবুল হক পাটওয়ারী।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ‘যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে খামার যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ (এসএফএমআরএ) প্রকল্পের’ পরিচালক ও ব্রি’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম।

তিনি জানান, ট্রে’তে কম সময়, স্বল্প শ্রম এবং সমভাবে বীজ ছিটানোর জন্য এই বীজ বপন যন্ত্র উদ্ভাবন করা হয়েছে। প্রচলিত পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণে অধিক শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। যন্ত্রের সাহায্যে ধানের চারা রোপণের ব্যবহার দিনদিন বাড়ছে। রোপণ যন্ত্রে ব্যবহারের জন্য ম্যাট টাইপ পদ্ধতিতে চারা তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বর্তমানে উদ্যোক্তা ও ব্যবহারকারী কৃষকদের এই কাজটি হাতে করতে হয়। হাতে বীজ ছিটানো শ্রমসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল কাজ। তাছাড়া এতে সমভাবে বীজ ছিটানো যায় না। কৃষকের শ্রম লাঘবের জন্য যন্ত্রের সাহায্যে ম্যাট টাইপ চারা তৈরিতে সমভাবে বীজ ছিটানো অত্যাবশ্যকীয়। সমভাবে বীজ না ছিটালে মিসিং হিলের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই কাজকে সহজ ও দ্রুত করার জন্য এই যন্ত্রটি কমিউনিটি বেজ চারা তৈরির মাধ্যমে গ্রামীণ উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।

ড. সাইফুল ইসলাম জানান, যন্ত্রটি স্থানীয় ওয়ার্কশপে সহজলভ্য কাঁচামাল দিয়ে খুব সহজে তৈরি করা যায়। যন্ত্রটি স্বল্প প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারী/পুরুষ চালাতে পারেন। প্রতি ট্রে’তে অঙ্কুরিত বীজ ছিটাতে এক সেকেন্ড সময় লাগে। যন্ত্রটি দিয়ে প্রতি ট্রে’তে ৯৫ থেকে ১৬০ গ্রাম অংকুরিত বীজ বপন করা যায়। একজন শ্রমিক প্রতিদিন ১৪ হাজার ৪০০টি ট্রে’তে বীজ বপন করতে পারেন। যন্ত্রটির সাহায্যে বীজ বপনের পর ঝুরঝুরে মাটি দিয়ে ওপরের স্তর (৬ মিলিমিটার) কভার করা যায়। বিভিন্ন জাতের ধানের জন্য বীজ বপনের হার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যন্ত্রের ওজন (৯ কেজি) কম হওয়ায় সহজেই হাতে বহন করা যায়। হপারের বীজ ধারণক্ষমতা ৯ কেজি হওয়ায় প্রতিবার ৬০ থেকে ৭৫টি ট্রে তৈরি করা যায়। যন্ত্রটির আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা মাত্র।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া বলেন, পৃথিবীর প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে ব্যবহারিক দিককে গুরুত্ব দিয়ে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করতে হবে। আমদানি নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজের যে বিশাল বাজার তা নিজেরাই ব্যবহার করতে হবে। তাহলে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক, দেশীয় উদ্যোক্তা ও ব্যবহারকারী কৃষক সবাই লাভবান হবেন।

কর্মশালা শেষে ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর প্রাথমিকভাবে রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়ায় মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে বীজ বপন যন্ত্র হস্তান্তর করেন। পরে উদ্যোক্তা ও ব্যবহারকারী কৃষকদের মাঝেও যন্ত্রটি বিতরণ করা হয়।


সর্বশেষ - রাজনীতি