1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সংবিধানের বার্তা দেশের জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে

ডা. সারওয়ার আলী : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২

১৯৭২ সালের সংবিধান ৫০ বছর পরে আজও আধুনিক। এই সংবিধানের মূলনীতি এবং অনুচ্ছেদগুলোর উৎপত্তি হয়েছিল পাকিস্তানের শাসনামলের বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সহযোগীরা যে চিন্তাধারায় রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন, তার প্রতিফলন ঘটেছে ওই সংবিধানে। এজন্য প্রথম সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সাধুবাদ প্রাপ্য।

তবে উল্লেখ করা প্রয়োজন, মূল সংবিধানটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রথমে ইংরেজিতে প্রণীত হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় অনূদিত হয়। তখনই বলা হয়েছিল, সংবিধানের মূল বিষয় হিসেবে বাংলা ভাষায় অনূদিত ভাষ্য প্রাধান্য পাবে। সংবিধানে কতগুলো মূলনীতি রয়েছে।
এগুলো বাস্তবায়নের জন্য কতগুলো অনুচ্ছেদ গৃহীত হয়। স্বাভাবিকভাবে নীতিসমূহ লঙ্ঘিত হলে তা সংবিধান বিরোধী বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। এ কারণে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক শাসনের মাধ্যমে সংবিধানে যেসব সংশোধনী গৃহীত হয়েছিল, সেগুলো সংবিধানের মূলনীতিগুলোই লঙ্ঘন করেছে। ফলে বাংলাদেশ যার ভিত্তিতে স্বাধীন হয়েছিল তার বিপরীত ধর্মী রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়াও উন্মুক্ত হয়। সুতরাং সংবিধানের মূলনীতিগুলোকে অক্ষুণ্ণ রাখার বিরুদ্ধে যে কোনো পদক্ষেপ স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির মূল লক্ষ্যকে বিচ্যুত করে। প্রথমে এ বিষয়টি ঠিক করা জাতীয় কর্তব্য হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।

দ্বিতীয় যে বিষয়টি সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে তা হলো নীতিগুলো সংবিধানে প্রতিস্থাপিত হলেই রাষ্ট্র ও সমাজ সংবিধানসম্মতভাবে পরিচালিত নাও হতে পারে। কারণ নীতিগুলো প্রতিষ্ঠার পরে গত কয়েক বছরে যে অঘটন সংঘটিত হয়েছে তাতে আশঙ্কা করা যায়, সমাজে এই নীতিগুলো প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় সরকার এই মৌলিক বিষয়গুলো এড়িয়ে চলেছে বা বিরোধী অপশক্তির সঙ্গে সমঝোতা বা তাদের সামলে চলেছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৯৭২ সালের সংবিধানের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং সমাজে নীতিগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ গ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। এর দায় শুধু সরকারের নয়, এ দায় সচেতন জনগণেরও। জনগণকে সচেতনভাবে প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে, যাতে যে সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপর ভিত্তি করে সংবিধান কার্যকর থাকে এবং পরিচালিত হয় তার দুর্বলতা ও সীমবদ্ধাগুলো চিহ্নিত করে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়।

এ বিষয়টি স্মরণে রাখা উচিত যে কেবল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নয়, রাষ্ট্রের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা উচিত। কারণ লক্ষ্য করা যায় যে, গত কয়েক বছর ধরে যাঁর যতটুকু ক্ষমতা আছে তিনি তার সবটুকুই অপব্যবহার করেন। এতে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মনে হতে পারে বিষয়টি সাংবিধানিক বিষয় নয়, কিন্তু এটিই জনগণের জন্য মৌলিক বিষয় এবং অপরিহার্য।

মৌলিকভাবে সকলকে সংবিধানের মূলনীতি, অনুচ্ছেদ, উপ-অনুচ্ছেদ এবং বিধি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। তার ব্যত্যয় ঘটলে প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশ সংবিধানের শক্তির ভিত হচ্ছে, রাষ্ট্রের মালিক জনগণ।

লেখক : ডা. সারওয়ার আলী – ট্রাস্টি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।


সর্বশেষ - রাজনীতি