কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১৫শতাংশ পরিবারই পুরুষ শূন্য—নারী ও শিশুরা এসব পরিবারে প্রধান হিসেবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর সিনিয়র ইমার্জেন্সি কো-অর্ডিনেটর লুইস অবিন।
গতকাল সন্ধ্যায় কক্সবাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান লুইস অবিন।
তিনি জানান, ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে নতুন-পুরনো রোহিঙ্গাদের মধ্য নিজস্ব জরিপ চলছে—এরমধ্যেই ৭২ হাজার পরিবারের সঙ্গে আলাপ হয়েছে, এদের মধ্যে বেশ কয়েক হাজার পুরুষশূণ্য পরিবার রয়েছে।
পুরুষরা নিখোঁজ, হত্যার শিকার ও বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে এসব পরিবার পুরুষশূন্য বলে জানা গেছে— এসব পরিবারে নারীই পরিবার প্রধান।
পাশাপাশি পাঁচ হাজার শিশুও নিজ নিজ পরিবারের দেখভাল করছে— এসময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন লুইস অবিন।
তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর এখনও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে— তারা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে যে কারণে এখনও তারা বাংলাদেশমুখী।
ব্রিফিংয়ে লুইস বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গারা এখনও অনিরাপদ বোধ করছে— তারা সব সময় নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস করছে, তারা রাখাইনে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে না, আতঙ্কের মধ্যে থাকে। পরিবারের সিংহভাগই যেহেতু বাংলাদেশে চলে এসেছে, এ কারণে রোহিঙ্গারা এখনও বাংলাদেশ সীমান্তমুখী। তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। রাখাইনের পরিস্থিতি যতদিন উন্নতি না হয় অথবা স্বাধীনভাবে থাকার পরিবেশ সৃষ্টি না হয় ততোদিন রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসা থামবে না।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের আলোচনা চলছে— ইউএনএইচআর আশা করে, মিয়ানমারের সঙ্গে এমনভাবে বাংলাদেশের চুক্তি হোক যাতে রোহিঙ্গারা রাখাইনে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে ফেরত যেতে পারে, তারা যাতে স্বাধীনভাবে রাখাইনে বসবাস করতে পারে এ ব্যাপারে ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গাদের সবসময় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
অতীতে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানো হলেও তারা বার বার সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে চলে এসেছে— এবারের প্রত্যাবাসন চুক্তি যাতে আগের মতো না হয় সে প্রত্যাশার কথাও জানান তিনি।
গতকাল সন্ধ্যায় কক্সবাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান লুইস অবিন।
তিনি জানান, ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে নতুন-পুরনো রোহিঙ্গাদের মধ্য নিজস্ব জরিপ চলছে—এরমধ্যেই ৭২ হাজার পরিবারের সঙ্গে আলাপ হয়েছে, এদের মধ্যে বেশ কয়েক হাজার পুরুষশূণ্য পরিবার রয়েছে।
পুরুষরা নিখোঁজ, হত্যার শিকার ও বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে এসব পরিবার পুরুষশূন্য বলে জানা গেছে— এসব পরিবারে নারীই পরিবার প্রধান।
পাশাপাশি পাঁচ হাজার শিশুও নিজ নিজ পরিবারের দেখভাল করছে— এসময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন লুইস অবিন।
তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর এখনও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে— তারা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে যে কারণে এখনও তারা বাংলাদেশমুখী।
ব্রিফিংয়ে লুইস বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গারা এখনও অনিরাপদ বোধ করছে— তারা সব সময় নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস করছে, তারা রাখাইনে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে না, আতঙ্কের মধ্যে থাকে। পরিবারের সিংহভাগই যেহেতু বাংলাদেশে চলে এসেছে, এ কারণে রোহিঙ্গারা এখনও বাংলাদেশ সীমান্তমুখী। তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। রাখাইনের পরিস্থিতি যতদিন উন্নতি না হয় অথবা স্বাধীনভাবে থাকার পরিবেশ সৃষ্টি না হয় ততোদিন রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসা থামবে না।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের আলোচনা চলছে— ইউএনএইচআর আশা করে, মিয়ানমারের সঙ্গে এমনভাবে বাংলাদেশের চুক্তি হোক যাতে রোহিঙ্গারা রাখাইনে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে ফেরত যেতে পারে, তারা যাতে স্বাধীনভাবে রাখাইনে বসবাস করতে পারে এ ব্যাপারে ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গাদের সবসময় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
অতীতে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানো হলেও তারা বার বার সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে চলে এসেছে— এবারের প্রত্যাবাসন চুক্তি যাতে আগের মতো না হয় সে প্রত্যাশার কথাও জানান তিনি।
লুইস বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার ও রাখাইনে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে— রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।’
ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে গড়ে সাড়ে সাত ভাগ অর্থাৎ প্রায় ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। একই সঙ্গে পালিয়ে আসা ২৫ ভাগ রোহিঙ্গা অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগছে।’
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৫ আগষ্ট থেকে এই পর্যন্ত ৬ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।