কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন (সিপিএ)-ভুক্ত বিভিন্ন সদস্য দেশের সংসদ সদস্যরা রোববার রোহিঙ্গা সমস্যা অবিলম্বে সমাধানে মিয়ানমারের উপর চাপ বাড়াতে সংস্থার সাধারণ সভায় একটি প্রস্তাব গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্রিফিয় শেষে প্রশ্নোত্তর অধিবেশনে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, মিযানমারকে তার নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবিলম্বে একটি প্রস্তাব ও অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তৎপর হতে হবে।
সিপিএ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী প্রেসব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, ‘আপনারা অবগত আছেন যে, প্রতিবেশী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে নজিরবিহীনভাবে আসা রোহিঙ্গা জনস্রোতের কারণে বাংলাদেশ বর্তমানে বিরাট চ্যালেঞ্জেরে সম্মুখীন।’
তিনি বলেন, এসব লোক- যাদের অধিকাংশই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ- নিজের দেশে জাতিগত নিধনযজ্ঞ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, এ বছরের ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে।
তিনি বলেন, এসব বাস্তুচ্যুত আতঙ্কগ্রস্ত, ক্ষুধার্ত এবং এরা অনেকে গুলি, ছুরিকাঘাত, অগ্নিদগ্ধ ও ভূমি মাইনে আহত।
তিনি বলেন, এর আগেও বিভিন্ন সময় ৪ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলেছে, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে জীবিকা অর্জনের উপায়গুলো পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে এবং লোকজনকে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।
বিশ্ব নেতৃবৃন্দের অবস্থান উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মানবাধিকার বিষয়ক ৩৬তম কাউন্সিলে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনের জ্বলন্ত উদাহরণ’ হিসেবে অভিহিত করেন।