ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার জেলার ৫৬০ কৃষককে প্রণোদনার সূর্যমুখী বীজ ও দুই রকমের সার দিচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় আসন্ন রবি মৌসুমে এসব বীজ-সার প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আ. কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
গোপালগঞ্জ জেলার কৃষি সম্প্রসারণের ওই কর্মকর্তা বলেন, গোপালগঞ্জ জেলায় মোট ৫৬০ জন কৃষক সূর্যমুখীতে প্রণোদনার বীজ-সার পাচ্ছেন। এরমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০০ জন, মুকসুদপুর উপজেলায় ১০০ জন, কাশিয়ানী উপজেলায় ১০০ জন, কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৩০ জন ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ১৩০ জন কৃষককে বীজ-সারের সহায়তা প্রদান করা হবে।
কৃষক প্রতি ১ কেজি করে সূর্যমুখী বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার বিতরণ করা হবে।বিতরণের জন্য ৫৬০ কেজি সূর্যমুখী বীজ, ৫ হাজার ৬০০ কেজি ডিএপি সার ও ৫৬০০ কেজি এমওপি সার সরকার বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, সরকার ভ্জ্যো তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে উদ্যোগ নিয়েছে। তাই সরকার তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। সেই আলোকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০০ জন কৃষককে সূর্যমুথী উৎপাদনের জন্য ১০০ কেজি বীজ ১ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ১ হাজার কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। তারা ১০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষাবাদ করে তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, প্রণোদনার বীজ-সার দিয়ে গোপালগঞ্জ জেলার ৫৬০ জন কৃষক ৫৬০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করবেন। তারা ভোজ্য তেলের আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে দেশে তেলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবদান রাখবেন।
কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী গ্রামের কৃষক শৌরেন্দ্র নাথ অধিকারী বলেন, সরকার আমাকে ১ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষাবাদে সহযোগিতা করছে। কিন্তু আমি আন্তত ১০ বিঘা জমিতে লাভজনক সূর্যমুখীর চাষাবাদ করব। আমাদের ইউনিয়নের অনেক চাষীই অন্তত ২০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষাবাদ করবেন। কারণ বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বেশ ভাল। আর সূর্যমুখী তেলের দাম আরও বেশী। তাই সূর্যমুখী চাষ লাভজনক। আমার জানামতে সরকারি প্রণোদনার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে এ বছর সূর্যমূখীর চাষাবাদ হবে।