1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ইসরায়েলকে মার্কিন সমর্থনের ধর্মীয় কারণ

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩

কেন আমেরিকা অন্ধভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, এর পেছনে বেশকিছু কারণ রয়েছে। তবে প্রধানতম কারণ হচ্ছে ধর্মীয়। ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন বন্ধ করবো, এটা বলার পর কেউ আমেরিকার সিংহাসনে বসার স্বপ্ন দেখতে পারবে না। ইসরায়েলের প্রতি আমেরিকার সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে, তাই ক্ষমতা ধরে রাখতে আমেরিকাকে অবশ্যই ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে হবে। আর শুরুতেই বলেছি, এই সমর্থনের অন্যতম কারণ ধর্মীয়। ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টান সম্প্রদায় হলো আমেরিকার সবচেয়ে বড় একক ধর্মীয় গোষ্ঠী যারা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ, মূলত দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে তারা বাস করে।

ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টানদের ইজরায়েলের কট্টর সমর্থক হওয়ার কারণ তারা মনে করে ইহুদিরা জেরুজালেমে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত পৃথিবীতে যিশুখ্রিস্টের পুনরাগমন হবে না। মুসলমানদের মতো এরাও যিশুখ্রিস্টের (ঈসা ইবনে মারিয়াম) পুনরুত্থানে বিশ্বাসী। তারা মনে করে যীশু খ্রীষ্ট পুনরায় পৃথিবীতে এসে আরমাগেডনের যুদ্ধে শয়তানকে (খ্রিস্টারি, দাজ্জাল) পরাজিত করবে ও ইহুদিরা খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবে। এরপর এক হাজার বছর পৃথিবীতে শান্তি বিরাজ করবে। এই বিশ্বাসের কারণে ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টানেরা সবসময়ই ফিলিস্তিনে ইহুদি বসতি স্থাপনের কট্টর সমর্থক।

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিগ্যান ১৯৮৩ সালে চার্চের জেম বেকারের সঙ্গে আলাপ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আপনি একটু চিন্তা করুন, রোমান সাম্রাজ্যের পুনর্গঠনের পর (পাশ্চাত্য ইউরোপ যা ১৯৯৩ সালে আরও সুসংগঠিত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নামে একক পতাকা, একক মুদ্রা, ভিসাহীন ভ্রমণ) মাসীহ পুনরায় সেই লোকগুলোর উপর আক্রমণ চালাবে, যারা তাদের নগরী জেরুজালেমকে ধ্বংস করেছিল। তারপর তিনি সেই বাহিনীগুলোর উপর আক্রমণ চালাবেন, যারা মেগডন ও আরমাগেডনের উপত্যকায় সমবেত হবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, জেরুজালেম পর্যন্ত এতো রক্ত প্রবাহিত হবে যে, রক্ত ঘোড়ার লাগামের সমান হয়ে যাবে। এসব উপত্যকা যুদ্ধ সরঞ্জাম, জীবজন্তু, মানুষের জীবন্ত দেহ ও রক্তে ভরে যাবে।

প্রাক্তন মার্কিন সিনেটর মার্ক হেটফিল্ড বলেছেন, ‘পবিত্র ভূমিতে (জেরুজালেমে) ইহুদীদের পুনরাগমনকে আমি এই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছি যে, এটি মাসীহ যুগের আগমনের লক্ষণ, যে যুগে গোটা মানবতা একটি আদর্শ সমাজের কল্যাণে সুখময় জীবন লাভ করবে। তোমরা শুনিয়াছ যে, খ্রিস্টারি আসিতেছে।’-১ যোহন ২:১৮। খ্রিস্টান ধর্মে মসীহকে বলা হয় ‘খ্রিস্ট’। খ্রিস্টানেরা বিশ্বাস করেন নবী যীশু হচ্ছেন একমাত্র মশীহ এবং মসীহ বিন দাউদ যাকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে তিনি ফিরে আসবেন, খ্রিস্টারির (দাজ্জাল) সঙ্গে লড়াই করে তাকে হত্যা করবেন এবং পৃথিবীতে তাঁর রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষে শীর্ষে থাকা আমেরিকানরা যে বিষয়টিকে কল্পকাহিনী মনে করে না, সেখানে আমাদের মতো অজ্ঞ গোঁড়া মুসলমানরা বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছি।

লেখক : জিল্লুর রহমান – সাংবাদিক


সর্বশেষ - রাজনীতি