বাজারে আপেলের কেজি ২০০ টাকা বা তার বেশি। সেই আপেলের দাম এক কেজি আপেলের দাম নিলামে ২০ টাকার নিলামে উঠেছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা। অথচ আপেলের সংরক্ষিত দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৬ টাকা কেজি।
বৃহস্পতিবার ২৫ টন ৪৯৯ কেজি আপেল নিলামে তোলে চট্টগ্রাম কাস্টমস। নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মাসুম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান আপেলের দর দেয় পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার টাকা। এতে প্রতিকেজি আপেলের দাম হয় ১৯ টাকা ৮০ পয়সা।
অন্যদিকে ১১২ টাকা কেজির প্রিমিয়াম এনজাইম সলিউশন নামের ১২ টন টেক্সটাইল রাসায়নিক পদার্থের সর্বোচ্চ দর ওঠে তিন লাখ ২০ হাজার টাকা। হাজী ফেরদৌস আলম নামের একটি প্রতিষ্ঠান এ দর দেয়। এতে প্রতি কেজি এ রাসায়নিক পদার্থের সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২৬ টাকা ৬৭ পয়সা। অথচ চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এসব রাসায়নিকের সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করে ১৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬২৫ টাকা।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার মো. আবদুল হান্নান বলেন, বন্দর ইয়ার্ডে নিলামযোগ্য অনেক পণ্যের কনটেইনার জমে গেছে। ইয়ার্ড খালি করার স্বার্থে আমরা পচনশীল পণ্য দ্রুত নিলামের উদ্যোগ নিয়েছি। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, নির্ধারিত সময়ে খালাস না নেওয়ায় পচনশীল পণ্যের শত শত কনটেইনার পড়ে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। সঠিক সময়ে এসব পণ্য নিলামে না তোলার কারণে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যথাযথ মূল্য পাচ্ছে না। শুধুমাত্র কাস্টমসের গাফিলতির কারণে এসব পণ্য কনটেইনারে পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সবশেষ ৯ অক্টোবর প্রায় ২৮ টন হিমায়িত মহিষের মাংস নিলাম দেয় কাস্টমস। কিন্তু আড়াই কোটি টাকার এসব মাংসের দাম ওঠে মাত্র চার লাখ টাকা।
অন্যদিকে কাস্টমসের নিলাম শাখায় বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যারা সিন্ডিকেট করে নিলামে অংশ নেয়। এতে করে নিলাম পণ্যের যথাযথ দর পাচ্ছে না কাস্টমস।