1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মেহেরপুরে আগাম জাতের শিম চাষে সফল চাষিরা

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩

রঙিন ফুল আর সবুজ ফলের সঙ্গে শিম চাষির মুখে ফুটে উঠেছে মিষ্টি হাসি। বেগুনি রঙের মনোমুগ্ধকর ফুলে প্রকৃতি সেজেছে দারুণ মুগ্ধতায়। মৌসুম শুরুর আগেই মাচায় ভরে গেছে এলাকার শিম বাগান। চলতি রবি মৌসুমে শিমের মাচায় দুলছে চাষির স্বপ্ন।

আগাম শিম চাষ করে ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কৃষকেরা।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম শিম। বছর পাঁচেক ধরে এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আগাম জাতের শিম। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে বেশী লাভ হওয়ায় দিন দিন এই আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। আগাম বাজারে নামাতে পারলে ভালো দাম পাওয়া যাবে এমন প্রত্যাশা কৃষকদের। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৯৭০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হচ্ছে। তাছাড়া প্রায় প্রতিটি বাড়িতে মাচা কিংবা গাছে শোভা পাচ্ছে শিম। গৃহিনীরা সাংসারিক প্রয়োজন মেটানোর পর শিম বিক্রি করে তারা বাড়তি টাকা আয় করছেন।

বানিয়া পুকুর গ্রামের শিম চাষি হাফিজুল ইসলাম জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে সাড়ে ১২ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত উৎপাদিত শিম বিক্রি হয়েছে সাড়ে ২৮ হাজার টাকা। আরও ১৫ হাজার টাকার শিম বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া শিম চাষের উপযোগী হওয়ায় ভালো ফলন হয়েছে। অন্যদিকে চাহিদা থাকায় দামও আশানুরূপ। প্রতি কেজি শিম বিক্রি করছি ১৫০ টাকা কেজি। আগামীতে আরও এক বিঘা জমিতে আগাম জাতের শিম চাষ করবেন বলে জানান তিনি।

ভবানিপুর গ্রামের শিম চাষি নুরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর বিভিন্ন জাতের আগাম সবজি চাষ করি। গেল বছর ভালো দাম পেয়েছিলাম। চলতি মৌসুমে দেড় বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষে খরচও আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। তবে দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, চারা গজানোর ২৫ থেকে ৩০ দিনের মাথায় ফুল আসে। এরপর দেড় মাস পর থেকেই শিম তোলা শুরু হয়। প্রতি তিন থেকে ৪ দিন পরপর শিম তুলে বাজারে বিক্রি করা হয়। একটানা ৬ মাস পর্যন্ত শিম উঠানো যায়।

বামন্দী বাজারের সবজি ব্যবসায়ি আরিফ বলেন, চলতি মৌসুমে শিমের চাহিদা রয়েছে। ক্রেতারা টাটকা সবজি কিনে নিচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকদের ক্ষেত থেকে তুলে বিক্রি করায় খরচ কম হচ্ছে এবং বেচা বিক্রিতে ভালো লাভও হচ্ছে। একই কথা বলেছেন, সবজি ব্যবসায়ী হেমায়েতপুরের মনিরুল ও আকরাম আলী।

গাংনী কাচা বাজারের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, শুধু কাঁচা শিমই নয়, পাকা শিম কিনে তা থেকে বীজ বের করে বীজ হিসেবে ও মানুষের মুখরোচক খাবার হিসেবেও বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এখন কাচা শিমের চাহিদা অনেক বেশি আবার দামও ভালো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরান হোসেন বলেন, এখানকার মাটি সবজি চাষের উপযোগী হওয়ায় কৃষকরা সহজেই এর চাষ করতে পারে। কৃষি বিভাগও সার্বিক পরামর্শ দিচ্ছে। বিশেষ করে বালাইনাশক ব্যবহার ও শিম বাজারজাত করণে সব সময় চাষিদের পাশে আছে কৃষি বিভাগ।


সর্বশেষ - রাজনীতি