1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পূজার কেনাকাটা

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩

দুর্গাপূজার বাকি আর মাত্র ৬ দিন। এরই মধ্যে জমে উঠেছে পূজার কেনাকাটা। প্রতিবছরই দুর্গাপূজা ঘিরে শপিংমলগুলোতে থাকে বাড়তি চাপ। এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। ব্র্যান্ড ও নন-ব্র্যান্ড আবহাওয়া বিবেচনায় নিয়ে এসেছে নিত্য-নতুন সব পোশাক।

অনেকেই এরই মধ্যে কেনাকাটা সেরেছেন। অনেকেই আসছেন নতুন করে কিনতে। কেউবা আসছেন টুকিটাকি কেনাকাটার জন্য। তবে শেষ সময়ে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে জুয়েলারি আইটেম, কসমেটিকস, জুতো ও সেন্ডেল। পোশাক কেনাকাটাও ছিল চোখে পড়ার মতো।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর মৌচাক, মালিবাগ ও মগবাজার এলাকার বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

এসব এলাকায় মার্কেটে রয়েছে স্পেশাল ডিজাইনের পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, জামদানি শাড়ি, সিল্ক শাড়ি, সুতি শাড়ি এবং মসলিন শাড়ি আছে। উন্নত মানের সালোয়ার-কামিজ এনেছে, রয়েছে মা ও মেয়ের একই ধরনের কম্পো পোশাক। এগুলো ১৮০০ টাকা থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে রয়েছে। ১৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে ছেলে ও বাবার একই রঙের পাঞ্জাবি রয়েছে। আবার নরমাল এসব পণ্য ১ হাজার টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে।

বয়েল কটনের শাড়ি ও পাঞ্জাবির কম্বো ফ্যামিলি (ছেলে-মেয়ে-মা-বাবা) রয়েছে। পূজা উপলক্ষে এসব পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ৩৫০০ টাকা থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়া কটন ও মসলিন শাড়ি রয়েছে স্পেশাল রেটে। রয়েছে হাফ সিল্ক ফতুয়া, বাচ্চাদের ম্যাচিং সেট ও বড় বাচ্চাদের ম্যাচিং বিভিন্ন রঙের পোশাক।

পূজা উপলক্ষে প্রদিপ পোশাক কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, অনেক কিছুই কেনাকাটা করেছি পরিবারের জন্য। আমারটা বাকি ছিল সেটা আজ সেরে নিয়েছি। দরদামের বিষয়ে তিনি বলেন, এবার আহামরি দাম নেই, বলা যায় স্বাভাবিক দামেই পাওয়া যাচ্ছে সব পণ্য।

এবার পূজায় পোশাক বিক্রি নিয়ে মৌচাক রোড সাইট অঞ্জনসের ম্যানেজার মো. ইয়াসিন বলেন, আমরা এবার পূজায় আবহাওয়ার সঙ্গে ম্যাচিং করে নতুন সব পোশাক এনেছি। ক্রেতার চাহিদা ও সাধ্যের মধ্যে এসব পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।

মৌচাক মালিবাগ এলাকায় জুতা-সেন্ডেল ও জুয়েলারি আইটেম বিক্রি বেশি দেখা গেছে। পূজায় নতুন ধরনের ভ্যানিটি ব্যাগও রয়েছে। এসব এলাকার মার্কেটগুলোয় বিভিন্ন জুতা-সেন্ডেল পাওয়া যাচ্ছে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। কারুকাজা করা মেয়েদের সেন্ডেল পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ টাকায়। ভ্যানিটি ব্যাগ পাওয়া যাচ্ছে ৩৫০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে।

পূজোয় বিক্রি বেড়েছে জুয়েলারি আইটেমের। এসব মার্কেটে আসা বেশিরভাগ নারীই হাত, কান, নাক এবং গলার ইমিটেশন জুয়েলারি কিনছেন। এসব মার্কেটে কানের দুল পাওয়া যাচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে, নাক ফুল ও হাতের আংটি মিলছে ৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে, গলার হার ১০০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। রয়েছে স্পেশাল পূজা উপলক্ষে গহনা সেট। এসব গহনা সেট পাওয়া যাচ্ছে ৭৫০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে।

বিক্রেতা আহসানুল জানান, ইমিটেশন জুয়েলারির দাম কম, আবার দেখতেও সুন্দর। এ কারণে উৎসব-পার্বণে ইমিটেশন জুয়েলারি বেশ জনপ্রিয়। ক্রেতা লিটন দাশ বলেন, স্বর্ণের দাম বেশি। পরিবারের সবার জন্য স্বর্ণের গহনা কেনায় বাড়তি চাপ পড়বে। ইমিটেশন হলে সহজে কেনা যায় আবার দেখতেও ভালো। উৎসবে চুরির সম্ভাবনাও থাকে। সবমিলে এসব পণ্য কিনেছি পুরো পরিবারের জন্য।


সর্বশেষ - রাজনীতি