1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ইসরায়েলের সাহায্যে ছুটে যাচ্ছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩

৭৫ বছরের মধ্যে শনিবার সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার শিকার হয় মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। ঘনিষ্ঠ এই মার্কিন মিত্রের আক্রান্ত হওয়ার পরপরই অঞ্চলটির উদ্দেশে বিমানবাহী রণতরীসহ বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ ও জঙ্গিবিমান পাঠানোর ঘোষনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ফিলিস্তিনিদের হত্যায় তেলআবিবকে প্রচুর সামরিক সহায়তার ঘোষণাও দিয়েছে ওয়াশিংটন ডিসি।

স্থানীয় সময় সকাল থেকেই ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে মুহূর্মুহু রকেট ছুড়তে শুরু করে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারপর অপারেশন আল আকসা স্টর্ম নামে সামরিক অভিযানও শুরু করে দলটির সশস্ত্র শাখা আল কাসসাম ব্রিগেডের সদস্যরা। গ্রেপ্তার করা হয় সেনা কর্মকর্তাসহ বহু বেসামরিক নাগরিককে।

ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যায় নেতানিয়াহু সরকার। পরিস্থিতি নিজেদের পক্ষে নিতে অপারেশন আয়রন সোর্ড নামে পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এমনকি দেশজুড়ে যুদ্ধ পরিস্থিতিও ঘোষণা করে তারা। অন্যদিকে হামাসের সমর্থনে লেবানন থেকে হামলা চালায় আরেক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ফলে দিশেহারা হয়ে উঠে ইসরায়েল বাহিনী।

এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলিদের আত্মরক্ষার পূর্ণ অধিকার রয়েছে বলে ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, এরই মধ্যে ইসরায়েলের জন্য অতিরিক্ত সামরিক সহায়তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানান, ইসরায়েলকে আরও সামরিক সহায়তা ও প্রচুর গোলাবারুদ সরবরাহ করবে তার দেশ। বলেন, এরই মধ্যে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড বিমানবাহী রণতারীসহ মার্কিন মিসাইল ক্রুজার ও মিসাইল ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজ। এমনকি আলাদা করে মার্কিন জঙ্গিবিমানও পাঠানো হচ্ছে ইসরায়েলের সহায়তায়। লয়েড বলেন, ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যকার চলমান শান্তি আলোচনা বিঘ্নিত করতে এই হামলা চালাতে পারে হামাস। এ সময় রোববার থেকে ইসরায়েলে অতিরিক্ত মার্কিন সামরিক সহায়তা পাঠানো শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

আমেরিকার এমন ঘোষণাকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বলে আখ্যা দেয় হামাস। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, আমেরিকার এই ঘোষনা প্রমাণ করে যে তারা দখলদারদের সমর্থনে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করে এবং আমাদের জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফিলিস্তিনি সংগঠনটি জানায়, জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদেই এই সামরিক অভিযান শুরু করে তারা, এমনকি তেলআবিবের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের ঘোষণাও দেয় হামাস।


সর্বশেষ - রাজনীতি

নির্বাচিত