1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ডব্লিউএইচও’র পরিচালক পদে পুতুলের মনোনয়নকে অ্যান্ডির সমর্থন, ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের (এসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক পদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে দেয়া মনোনয়নকে সমর্থন জানিয়েছেন অটিজম স্পিকসের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অ্যান্ডি শিহ। তার এ সমর্থনের বিষয়ে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) অ্যান্ডিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুতুল। সেইসঙ্গে তাকে সমর্থন করে লেখা অ্যান্ডির চিঠির একটি অংশ উল্লেখ করে চিঠিটিও পোস্ট করেছেন তিনি।

সম্প্রতি ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের (এসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক পদে সরকার সায়মা ওয়াজেদকে মনোনয়ন দিয়েছে। এসইএআরও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছয়টি আঞ্চলিক অফিসের মধ্যে একটি, যা সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত।

এ বিষয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর পুতুলকে সমর্থন করে চিঠিতে অ্যান্ডি লিখেন, ‘আমি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশের সায়মা ওয়াজেদের মনোনয়নকে সমর্থন করছি।’

অটিজম স্পিকসের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা লিখেন, ‘আমি প্রায় দুই দশক ধরে সায়মাকে চিনি এবং তার কাজের প্রশংসা করি। বাংলাদেশে এবং বিশ্ব মঞ্চে অটিজম সচেতনতা বাড়াতে আমরা প্রথম ২০১০ সালের শুরুর দিকে একসঙ্গে কাজ শুরু করি। তার নেতৃত্বে অটিজম সম্পর্কিত একটি জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি গঠন এবং গোটা সমাজে সচেতনতা প্রচারের লক্ষ্যে অনেক সুবিধা পেয়েছি।’

‘দক্ষিণ এশিয়ায় অটিজম নেটওয়ার্কের উন্নয়নে তার দূরদর্শী প্রচেষ্টায় ২০১১ সালে ঢাকায় একটি ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সম্মান অর্জন করেছি। এটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পরিবারের আর্থ-সামাজিক চাহিদাগুলোকে সম্বোধন করে অটিজমের ওপর জাতিসংঘের একটি দ্বিতীয় প্রস্তাবের ভিত্তি স্থাপন করেছে, যা বাংলাদেশ প্রস্তাব করেছিল এবং ২০১২ সালে সাধারণ পরিষদ অনুমোদন দিয়েছিল’, উল্লেখ করেন অ্যান্ডি।

তিনি লিখেন, ‘এটা স্পষ্ট যে সায়মা একজন মনোবিজ্ঞানী, কার্যকর মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তার অধিকারী। একজন আঞ্চলিক পরিচালকের সাফল্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে রাজনীতির ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। এই চরিত্রে সায়মা অত্যন্ত মেধাবী এবং ভালো অবস্থানে আছেন।’

তিনি আরও লিখেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিবারগুলো সায়মাকে ‘পরিবারের সদস্য’ হিসাবে বিবেচনা করে এবং তাদের জীবন ও তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ পরিবর্তনে তার নেতৃত্বকে স্বাদরে গ্রহণ করে।

‘ওপরের সব অসাধারণ গুণাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরবর্তী ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে আমি কোনো দ্বিধা ছাড়াই সায়মা ওয়াজেদকে সমর্থন করি’, যোগ করেন অ্যান্ডি।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন ১৯৯৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

সায়মা ওয়াজেদ ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়ুবিক জটিলতা সংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ করছেন। তিনি ২০১১ সালে ঢাকায় অটিজম বিষয়ক প্রথম দক্ষিণ এশীয় সম্মেলন আয়োজন করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৪ সালে বিশ্ব সংস্থার দেয়া ডব্লিউএইচও অ্যাক্সিলেন্স পুরস্কারে ভূষিত হন।


সর্বশেষ - রাজনীতি