বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার দুপুরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন।
রাশিয়ার সহায়তায় নির্মীয়মান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। এতে থাকবে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট। প্রথমটি এ বছরই উৎপাদন শুরু করবে। দ্বিতীয়টি ২০২৪ সালে উৎপাদনে যাবে।
বর্তমানে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারকারী ৩২টি দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, ইউক্রেন, জার্মানি, জাপান, স্পেন, সুইডেন, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, ভারত, চেক প্রজাতন্ত্র, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, বুলগেরিয়া, পাকিস্তান, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, মেক্সিকো, রোমানিয়া, আর্জেন্টিনা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বেলারুশ, স্লোভেনিয়া, নেদারল্যান্ডস, ইরান ও আর্মেনিয়া।
রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোসাটম এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র (আরএনপিপি) নির্মাণে নিয়োজিত। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একক প্রকল্প, যাতে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের পারমাণবিক জ্বালানি তাজা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর জানান, রাশিয়া থেকে একটি বিশেষ এয়ার কার্গোর মাধ্যমে চালানটি ঢাকায় এসে পৌঁছায়। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।