1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বান্দরবানে ২৩০টি পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের মাচাংঘর

বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২

বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে বসবাসরত ভূমিহীন ২৩০টি পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জুমিয়া পরিবার পাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মাচাংঘর। এলাকার ঐতিহ্য ও কৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাঁশ কাঠ টিন ও ছন দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে নির্মিত হচ্ছে এসব মাচাংঘর। প্রতিটি মাচাংঘর নির্মাণের প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭০ টাকা।

ভূমিহীন পরিবারের জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ের আওতায় বর্তমানে বান্দরবান সদর উপজেলায় ৯টি, আলীকদম উপজেলায় ১টি, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১৫ টি রোয়াংছড়ি উপজেলার ৪৫টি, লামা উপজেলায় ১৫টি, রুমা উপজেলায় ১০০টি এবং থানছি উপজেলায় ৪৫টি মাচাংঘর নির্মিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানে ৪১৩৩টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় গৃহনির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ‍্যে ৩ হাজার ৫৬০টি গৃহনির্মাণের জন্য ৭০ কোটি ৩৩ লাখ ৭ হাজার ১০০ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে ২ হাজার ৯৬৮টি সেমিপাকা ঘর ভূমিহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ২৩০টি মাচাংঘরসহ সর্বমোট ৫৯২টি গৃহ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে।

এদিকে পাহাড়িদের জন্য সেমিপাকা ঘরের পরিবর্তে মাচাংঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ায় খুশি দরিদ্র জুমিয়া পরিবারগুলো। কারণ বংশ পরম্পরায় বাঁশ কাঠের মাচাংঘরেই বসবাস করে আসছে এসব জুমিয়ারা। মাচাং ঘরে থাকতে একদিকে যেমন সুবিধা তেমনি মাচাং ঘরের নিচে বিভিন্ন গৃহপালিত পশু পালন এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতি রাখার সুবিধা রয়েছে এছাড়াও মাচাংঘর ভূমি থেকে উঁচুতে হওয়ায় বিভিন্ন পোকামাকড় ও জীব জন্তুর আক্রমণ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। তাই নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাসের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নিজেদের ঐতিহ্য বাহী মাচাং ঘর বেঁধে দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়েছে জুমিয়া পরিবারগুলো।

বান্দরবান সদর উপজেলার জামছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক‍্যসিংশৈ জানান, প্রত্যন্ত এলাকার পাহাড়ি জনগণ সেমিপাকা ঘরের চেয়ে মাচাংঘরকে বেশি পছন্দ করছেন। এতে মাচাংয়ের নিচে গৃহপালিত পশু পালনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী সারা বছর সংরক্ষণ করা যায়। দুর্যোগ সহনীয় ও পরিবেশবান্ধব এ মাচাংঘরে আলো বাতাস চলাচলের অবারিত সুযোগ রয়েছে।

তিনি জানান, তার ইউনিয়ন পরিষদে সর্বপ্রথম মডেল হিসেবে নির্মিত হচ্ছে মাচাংঘর। তবে এ খাতে সরকারি বরাদ্দ যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, একটি টেকসই মাচাংঘর নির্মাণের জন্য কমপক্ষে চার লাখ টাকা বরাদ্দ করা প্রয়োজন।

জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে এসব মাচাংঘর নির্মাণের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়। এ প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি প্রতিনিধিদল বান্দরবান পরিদর্শন শেষে মাচাংঘর নির্মাণের যৌক্তিকতা বিবেচনায় এনে বিষয়টি অনুমোদন করে। তার ধারাবাহিকতায় বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে প্রথম এ মাচাংঘর তৈরি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে এসব ঘর হস্তান্তর করা হবে।


সর্বশেষ - রাজনীতি